অ্যান্ড্রয়েডের পরিচিত একটি ফিচার হলো "সেফ মোড"। অ্যাপ ক্র্যাশ, ফ্রিজ বা স্লো হওয়া সমস্যাগুলো সেফ মোড ব্যবহার করে সমাধান করা যায়। সাধারণত স্মার্টফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ এর ফলে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানার জন্য সেফ মোড ব্যবহার করা হয়।
অ্যান্ড্রয়েডে অ্যাপ বা উইজেটের সমস্যা থাকলে অ্যান্ড্রয়েডে সেফ মোড ব্যবহার করা হয়। সেফ মোডে ফোনের সবরকম থার্ড পার্টি অ্যাপ ডিজেবল থাকে। কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করে এন্ড্রয়েড এ সেফ মোড চালু করতে পারবেন। সেফ মোড থার্ড পার্টি অ্যাপ ছাড়াও বেশ কিছু হোম স্ক্রিন উইজেটকেও রিমুভ করে দেয়।
থার্ড পার্টি অ্যাপের এক্সেস ব্লক করে দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড সেফ মোড সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। এটি চালু করলে ডিভাইসের স্পিডও বৃদ্ধি পায়। তবে এই মোডে খুব অল্প কাজই করতে পারবেন আপনি।
স্মার্টফোনে সেফ মোড চালু করার অনেক মেথড আছে। দুটি মেথডের নিয়ম দেখানো হলো।
প্রথম মেথড
-পাওয়ার বাটন চাপ দিয়ে ধরে রাখুন
-অপশনস থেকে Power Off সিলেক্ট করুন
- Power Off অপশনে চেপে ধরে রাখলে Reboot to safe mode নামে একটি পপআপ অপশন দেখা যাবে।
- পুরো নির্দেশনাটি পড়ে Ok ক্লিক করুন
- অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সেফ মোড চালু হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় মেথড
প্রথম মেথডএ যদি সেফ মোড চালু করতে না পারেন সমস্যা নেই, বিকল্প পদ্ধতিতে জেনে নিন।
- পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরে রাখুন
- Power Off অপশনে ক্লিক করে ফোন বন্ধ করুন
- ফোনের লোগো দেখানো পর্যন্ত পাওয়ার বাটন চেপে করে ধরে রাখুন
- স্ক্রিনে লোগো দেখা গেলে ভলিউম ডাউন বাটনটি চেপে করে ধরুন
- ফোনটি আবার চালু হওয়া পর্যন্ত বাটন চেপে ধরে রাখুন
- এখন ফোনটি সেফ মোডে রি-স্টার্ট হবে।
বলে রাখা ভালো যে ডিভাইস সেফ মোডে থাকলে "Safe Mode" লেখাটি স্ক্রিনে দেখা যাবে ওভার-অল হিসেবে।
সেফ মোড চালু করার মতো সেফ মোড বন্ধ করাও খুবই সহজ। এজন্য পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরে Restart সিলেক্ট করুন। এভাবে ফোনে সেফ মোডটি অফ হয়ে যাবে ও ফোনটি সাধারণভাবে চালু হবে।
সেফ মোডে থার্ড পার্টি অ্যাপস ও গেমস ডিজেবল হয়ে যায়। তবে ডিফল্ট অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে কল কিংবা মেসেজ পাঠানো যায়। সেফ মোডে ব্যবহার করা যায় ব্রাউজার এবং প্রি-ইন্সটলড অ্যাপগুলো। গ্যালারির ছবি বা ভিডিও সেফ মোডে অনায়াসে চেক করা যাবে।
প্রধানত সেফ মোড ব্যবহার করা হয় হ্যাং, ল্যাগস, স্লো-জনিত কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে তা সমাধানের জন্য। যদি কোনো সমস্যা ছাড়া সেফ মোডে আপনার ফোন চলে, তাহলে বুঝবেন থার্ড পার্টি অ্যাপের কারণেই সমস্যাটি হচ্ছে। যদিও এক্সাক্ট কোন অ্যাপের কারণে ফোনে সমস্যা হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যাবেনা। এজন্য সর্বোত্তম সমাধান হলো যেসব অ্যাপ সন্দেহজনক সেগুলো আনইন্সটল করে যাচাই করে দেখা।
সেফ মোড অন করার পরও যদি ফোনের কোনো সমস্যা দূর না হয়, তবে সেটা ওএস বা হার্ডওয়্যার সম্পর্কিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে ফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট করে দেখতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় ভালো কোনো সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে দেখানো।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সেফ মোড নিয়ে কিছু সাধারণ তথ্য জেনে রাখা ভালো। এই ফিচারটির প্রধানত লক্ষ্য হলো ডিভাইস ক্র্যাশ অথবা দূর্বল পারফরম্যান্স করলে তার কারণ বের করা এবং সমাধানের চেষ্টা করা। এই ফিচারটিকে অ্যান্ড্রয়েডের সাময়িক ফ্যাক্টরি রিসেটও বলতে পারেন।
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে সেফ মোডে চালু করলে, নতুন অবস্থায় যেসব অ্যাপ ছিলো অর্থাৎ প্রি-ইন্সটলড অ্যাপ ছাড়া অন্য কোনো অ্যাপস দেখা যাবেনা। প্লেস্টোর বা থার্ডপার্টি থেকে ইনস্টল করা কোনো অ্যাপ সেফ মোড এ ব্যবহার করা যাবেনা।
অনেকেই আবার ভাবেন যে, সেফ মোডে কোনো ফাইল ডিলিট হয়ে যাবে কিনা। এব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকুন, সেফ মোড ফোনের কোনো ফাইল বা অ্যাপ ডিলিট করেনা। এটি শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সমস্যার কারণ খুঁজে বের করতে সাহায্যকারী একটি ফিচার। এই অবস্থায় বাড়তি কোনো অ্যাপ ইন্সটল করা যাবেনা।
উপরের দুটি মেথডেই যদি ফোনে সেফ মোড চালু করতে না পারেন, তবে ফ্যাক্টরি রিসেট দিয়ে ফোনের সকল ডাটা মুছে সমাধানের চেষ্টা করা যেতে পারে। রিসেট করার আগে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এর ব্যাক আপ নিতে ভুলবেন না। আর্টিকেলটি আপনার আপনার কাজে আসলে ধন্যবাদ হিসেবে বাংলা ম্যাগাজিন থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
আমি রাফিদ সাইফুল্লাহ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
বলার মতো পরিচয় তৈরি করার চেষ্টায় আছি সম্পাদনা করছি পাবলিকিয়ান ডটকম