———–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————–—
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য কিছু টিপস নিয়ে আজকের টিউন।
আজকাল অধিকাংশ স্মার্টফোনই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চালিত। যদি আপনাকে বলা হয় আপনার প্রিয় ডিভাইস কোনটি? হয়তো উত্তর আশাকরিয়ে দেওয়ার জন্য এই টিউনটি করলাম!
গুগল প্লে থেকে অ্যাপস ইন্সটল করুনঃ
- অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপস এর জন্য সবচেয়ে উত্তম যায়গা হচ্ছে প্লে স্টোর। তাই যে কোন ডেভেলপার তার অ্যাপসটি প্লে স্টোরেই প্রথমে ছাড়েন। কিন্তু জাতি হিসেবে শৌখিন তো তাই সেগুলো সংরক্ষন করতে বিভিন্ন সাইট থেকে ডাউনলোড করে থাকি! যার কারনে মোবাইল এ ভাইরাস প্রবেশের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু আপনি প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করা অ্যাপস গুলো সংরক্ষন করে রাখতে পারেন। এজন্য নিচের পদ্দতিটি আনুসরন করতে পারেন।
- প্লে স্টোর থেকে ES FileExplorer আপসটি ইন্সটল করুন। তারপর চিত্রের মতো কাজ করলেই হবে। তাহলে আপনার অ্যাপসটি মেমোরিতে সেভ হয়ে যাবে। এবং যখন ইচ্ছে তখন ইন্সটল করতে পারবেন।
- আপনি যদি কোন একটি অ্যাপস ডাটা সহ সংরক্ষন করতে চান (eg. কোন খেলায় কত পয়েন্ট করেছেন) তাহলে আপসটির সেটিংস্-এ গিয়ে Apps অপশনটি সিলেক্ট করুন। তারপর Backup data অপশনটি সিলেক্ট করুন। তবে এর জন্য আপনার ডিভাইসটি রুট করে নিতে হবে।
- যদি এতোকিছু করতে মন না চায় তাহলে play store থেকে super backup অ্যাপটি ইনস্টল করতে পারেন!
মেমোরি নির্বাচনঃ
- মেমোরি নির্বাচন খুবই গুরত্বপূর্ণ। এখন অধিকাংশ মোবাইল এ ক্যামেরাগুলো 8 মেগাপিক্সেলের ওপরে হয়ে থাকে। যেগুলো HD অথবা Full HD ভিডিও রেকর্ডিং করতে সক্ষম। তাছাড়া অধিকাংশ ডিভাইসে ফোন মেমোরি কম থাকে। যার কারনে অতিরিক্ত মেমোরি যুক্ত করতে হয়। আজকাল বাজারে অনেক মেমোরি পাওয়া যায়। ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখবেন মেমোরিতে একটা বৃত্ত থাকে। যার ভেতরে (2), (4), (6), (10)ইত্যাদি লেখা থাকে। এটা ধারা সাধারনত প্রতি সেকেন্ডে ভিডিও রেকর্ডিং বা কোন ডাটা রেকর্ডিং স্পিড বুঝায়। যেসব মেমোরি (2), (4)চিহ্ন যুক্ত সেগুলোর ব্যবহার আপনার ডিভাইসকে স্লো করে দিতে পারে। যাহোক আপনার ডিভাইসটি যাতে স্লো না হয় তার জন্য (6)(10) Class এর মেমোরি ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও আরও উন্নত Class এর মেমোরি আছে। এই বিষয়ে ইন্টারনেটে অনেক বিস্তারিত জানতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে যেতে পারেন।
Root করা:
- এতি সাধারনত এডভান্স লেভেলের ইউজারদের জন্য। এই বিষয় নিয়ে অনেক টিউন আছে। তাই এই বিষয়ে আর লিখছিনা। তবে বলে রাখি পিসি অথবা মোবাইল দিয়ে রুট করার জন্য Kingo ROOT নামক একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস আনইন্সটল করে দিন তবে মোবাইল এর সাথে থাকা ডিফল্ট অ্যাপস আনইন্সটল করতে পারবেন না। তাই সেটিংস্এ গিয়ে অ্যাপ ম্যানাজার থেকে সেটি Disable করে দিন। আর যদি আপনার ডিভাইসটি রুট করা থাকে তাহলে আপনি সেগুলো ডিলিট করতে পারবেন।
- আপনার ডিভাইস মেমোরি যদি স্বল্প হয় তাহলে অ্যাপস(অ্যাপস সেটিং থেকে) এবং মিউজিক, ভিডিওগুলো মেমোরিতে সরিয়ে নিন। এতে ডিভাইসের কাজকর্মে অসুবিদা হবে না।
- হোম স্ক্রীন থেকে Widgets কমিয়ে ফেলুন। লাইভ ওয়েলপেপার না ব্যবহার করে সাধারন কোন ওয়েলপেপার ব্যবহার করুন। কেননা LiveWelpaper এবং Widgets ব্যবহারে ব্যাটারি চার্জ দ্রুত শেষ হয়। তাছাড়া লাইভ ওয়েলপেপার মোবাইলের গতি কমিয়ে দেয়।
- যদি কোন উইন্ডো বা অ্যাপস ওপেন হতে বেশি সময় লাগে তাহলে Animation Scale কমিয়ে দিন। মোবাইল-এ Developer অপশনটিতে এটি পাওয়া যাবে। যদি না থাকে তাহলে Settings থেকে About Phone-এ গিয়ে Build Number-এ ৫-৭ বার একটানা ক্লিক করুন। তাহলে Developer অপশনটি সক্রিয় হবে।
- আর নিয়মিত অ্যাপ Cache পরিষ্কার করুন। এর জন্য CleanMaster lite অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার ডিভাইসটি যদি 2 জিবি বা তার অধিক র্যাম এর হয় তাহলে কোনো ক্লিনার ব্যবহার না করাটাই ভালো!
- আর বেশি স্লো হলে ডিভাইসের ডাটা গুগল অ্যাকাউন্ট-এ Backup করে ডিভাইসটিকে রিসেট করতে পারেন।
এই তথ্যগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। তারপরও টিউনটি ভালো লাগলে মতামত জানাতে পারেন। সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এবং টেকটিউনস এর সাথে থাকুন!