আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন প্রিয় টেকটিউনস বন্ধুরা? আশা করছি সবাই ভালো আছেন।তো শুরু করা যাক টিউন।
আমরা যারা এন্ড্রয়েড
অপারেটিং সিস্টেম চালিত
স্মার্টফোন ব্যবহার করি
তারাসহ অনেকেই বিভিন্ন
ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফেসবুক পেইজ ও
গ্রুপ বা অন্য কোন মাধ্যম থেকে
রুট (ROOT) নামক একটা কিছু
শুনেছি এবং হয়তো এবিষয়ে
অনেকেই অল্প-বিস্তর জানি।
যারা এই বিষয়ে জানেনা
তাদের জন্য রুট কি এবং এর
সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে
প্রাথমিক আলোচনা করব আজ।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
রুট কি?
রুট কোন প্রকার অ্যাপ অথবা
সফটওয়্যার নয়। এটি জাস্ট একটা
পারমিট যা আপনাকে আপনার
ডিভাইস/সিস্টেম এর সম্পূর্ণ
কন্ট্রোল দিবে। যদি অল্প কথায়
বলি রুট ব্যাপার টি হচ্ছে
আপনার প্রিয় ডিভাইসটির
অ্যাডমিন প্রিভিলেজ হ্যাক
করা। হ্যাঁ, শব্দটি হ্যাক এবং রুট
এর মাধ্যমে আপনি আপনি
আপনার ডিভাইসটির মূল
কন্ট্রোল হ্যাক করতে চলেছেন।
আপনি যখন বাজার থেকে
আনকোরা নতুন এন্ড্রয়েড
সেটটি কিনে আনেন তখন
ব্যাপার টা এরকম থাকে যে
আপনার ইউজার প্রিভিলেজ
হচ্ছে গেসট ইউজার এর মত।
আপনি সবকিছুই করতে পারবেন
কিন্তু সিস্টেম ফাইল মডিফাই
করতে পারবেন না।বিষয়টি খুব
সহজভাবে বোঝার জন্য ছোট্ট
একটা উদাহরণ দিচ্ছি- ধরুণ
আপনি সিম্ফনি এক্সপ্লোরার
ডব্লিউ ৬৫ (SYMPHONY Xplorer w65)
ফোনটি কিনলেন। তার মানে
আপনি ফোনটির মালিক কিন্তু
অ্যাডমিন না। এই ফোনটির
অ্যাডমিন হচ্ছে সিম্ফনি। আর
রুট হচ্ছে সেই জিনিস যার
মাধ্যমে আপনি আপনার কেনা
এন্ড্রয়েড ফোনটির মালিকের
সাথে অ্যাডমিনও হয়ে
যাবেন।
ইংরেজিতে- Root means,
however, maximum freedom, infinite
possibilities and a few limits except
those of your skill and experience.
কেন করবেন রুট?
· রুট এক্সেস পাওয়া:
আপনার এন্ড্রয়েড
ডিভাইস টি রুট করলে
আপনি আপনার ডিভাইস
এর এডমিন এক্সেস পাবেন
যাকে এন্ড্রয়েড এর
ভাষায় রুট এক্সেস বলে
অনেকে। এই এক্সেস টি
আপনি রুট না করলে
পাবেন না। এই এক্সেস এর
সাহায্যে আপনি অনেক
কিছু করতে পারবেন এবং
পেতে হলে অবশ্যই
আপনাকে আপনার
ডিভাইস টি রুট করতেই
হবে মাস্ট।
· ইচ্ছামত অ্যাপ/সিস্টেম
অ্যাপস রিমুভ: রুট করার
ফলে আপনি এডমিন
এক্সেস পাচ্ছেন মানে
আপনার ডিভাইস এ
আপনার সম্পূর্ণ কন্ট্রোল
এসেছে। এখন আপনি
ইচ্ছামত আপনার ডিভাইস
এর অ্যাপ/সিস্টেম অ্যাপস
রিমুভ করতে পারবেন।
যেমন স্টক সিস্টেম এর
সাথে অনেক অ্যাপ আসে
যা আমাদের ভালো
লাগেনা ইউজ করতে
অথবা ওগুলো কখন ও ইউজ
করিনা। তো যেটা ইউজ
করিনা সেটা রেখে
লাভ কি? রুট করলে আপনি
সেই অ্যাপস গুলো রিমুভ
করতে পারবেন অথবা
ফোন মেমোরি থেকে
এসডি কার্ড এ মুভ করতে
পারবেন যা আপনি
নরমালি পারবেন না।
এতে করে আপনার
ডিভাইস এর ইন্টারনাল
মেমোরি ও RAM বাড়বে।
আর এই দুইটা বাড়ানো
মানে ডিভাইস এর স্পীড
বাড়ানো।
· ডিভাইস এর ফুল ব্যাকআপ
নিন: ডাটা আমাদের
কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আর সে জন্যে অনেক সময়
আমাদের মোবাইল অথবা
ট্যাব এর ডাটা ব্যাকআপ
করা লাগে। নরমালি
দেখা যায় একসাথে সব
ব্যাকআপ করা যায় না
অথবা গেলেও অনেক
কিছু মিসিং থাকে।
কারন আপনার ডিভাইস এর
এডমিন এক্সেস আপনার
নেই। আর এডমিন এক্সেস
পেতে হলে আপনার রুট
করতে হবে। আর রুট করলে
আপনি আপনার ডিভাইস
এর অ্যাপস ডাটা থেকে
শুরু করে সম্পূর্ণ রম ব্যাকআপ
করতে পারবেন। আমরা
প্লে ষ্টোর এ একটা অ্যাপ
দেখেছি Titanium Backup
নামক যা ব্যাকআপ এর
জন্যে সবচেয়ে ফেমাস
এবং এটি ব্যবহারে
আপনার রুট এক্সেস
লাগবে।
· ডিভাইস এর বাহ্যিক
সৌন্দর্য: এই কথাটি
দ্বারা আমি আপনার
ডিভাইস এর
কাভার,কেসিং,রঙ
বুঝাই নি। এই সৌন্দর্যের
মানে আপনার ডিভাইস
এর সিস্টেম এর সৌন্দর্য
বাড়ানো। রুট করলে
আপনি অনেক কিছু
এডিট,কাস্টমাইজ করতে
পারবেন যাতে করে
নরমাল ডিভাইস এর চেয়ে
আপনার ডিভাইস টি
থাকবে এক ধাপ এগিয়ে।
· পিক্সেল ডেনসিটি
পরিবর্তন: রুট করার
মাধ্যমে আপনি আপনার
ডিভাইস এর ইউজার
ইন্টারফেস চেঞ্জ করতে
পারবেন। স্মার্টফোন
মানেই অনেক স্মার্ট
ফিচার তার ভিতরে
থাকা। তবে স্ক্রিন সাইজ
ছোট হউয়ার কারনে
অনেক কিছু করতে অথবা
দেখতে আমাদের সমস্যা
হয়। তাই পিক্সেল
ডেনসিটি এর
পরিবর্তনের মাধ্যমে
ইন্টারনালি আপনার
ডিভাইস এর স্ক্রিন সাইজ
বাড়িয়ে নিতে পারেন
যা আপনাকে দিবে এক
অন্য রকম অভিজ্ঞতা।
· রুট কার্নেল এর ব্যবহার ও
পারফর্মেন্স ইমপ্রুভমেন্ট:
এই পয়েন্ট টি আমরা
অনেকেই শুনেছি তবে
আসলে সম্পূর্ণ টা
জানিনা। অনেক অ্যাপ
আছে যা আপনার
ডিভাইস এর বিভিন্ন
ফাইল মডিফাই করে
আপনার ডিভাইস এর স্পীড
ও পারফর্মেন্স একধাপ
বাড়াবে। এখন বলবেন
এটা কি আপনার ডিভাইস
এর মেমোরি, RAM,
প্রসেসর ইত্যাদি
বাড়াবে? না, এটি
আপনার হার্ডওয়্যার এর
পরিবর্তন করতে পারবে
না। তবে ফার্মওয়্যার এ
পরিবর্তন ও অপটিমাইজ
করে স্পীড বাড়াতে
পারবে। এখন আসি রুট
কার্নেল নিয়ে। রুট
কার্নেল এর সাহায্যে
আপনি আপনার ডিভাইস
এর প্রসেসর ক্লক স্পীড ও
হার্ডওয়্যার এর ব্যবহার
মডিফাই করতে পারবেন।
এই কাস্টম কার্নেল এর
সাহায্যে আপনি আপনার
ডিভাইস এর পারফর্মেন্স
বাড়াতে পারবেন তবে
আপনাকে এডভান্স
লেভেল এর ইউজার হতে
হবে। আজ রুট করলেন আর
কালই এটা নিয়ে ট্রাই
করলেন তাহলে হবেনা।
আগে আরও অনেক কিছু
নিয়ে জানতে হবে।
· কাস্টম রম ও রম মডিফাই: রম
(ROM) অথবা ফার্মওয়্যার
সিস্টেম যা ডিফল্ট
ভাবে আপনার ডিভাইস
এর সাথে এসেছে তা
আমরা অনেক সময় মডিফাই
করতে চাই। অথবা দেখা
যায় এটি আমার ভালো
লাগতেছেনা। ভালো
না লাগলে আর কি করার
পরিবর্তন করার ও কোন
উপায় নেই তো নতুন
মোবাইল কিনতে হবে।
কিন্তু না, রুট করলে আপনি
আপনার ডিভাইস এর
ডিফল্ট সিস্টেম অথবা রম
এ পরিবর্তন করতে পারবেন
ইচ্ছা মতো। অনেক ফিচার
এড করতে পারবেন যা
নরমালি আপনার ডিভাইস
এ পাবেন না। এছাড়াও
সম্পূর্ণ সিস্টেম পরিবর্তন
করতে পারবেন যা কাস্টম
রম নামে পরিচিত। এমন ও
দেখা যায় আপনার
মোবাইল এ কিছু একটা
ফিচার নেই যা দামি
একটি ডিভাইস এ আছে।
কাস্টম রম ব্যবহার এর
ফলে আপনি ওই ফিচার
টি ইউজ ও করতে পারেন।
· আলাদা অ্যাপ ইন্সটল ও
ব্যবহার: রুট করলে আপনি
আলাদা কিছু অ্যাপ ইন্সটল
করতে পারবেন যা
নরমালি আপনি ইন্সটল
করতে পারবেন না।
এছাড়াও নরমাল ভাবে
অনেক অ্যাপ এ অনেক
কাজ করতে পারেনা
এবং করতে রুট এক্সেস
চায়। যেমন ধরুন- টাস্ক
কিলার অ্যাপ। নরমাল
ইউজার রা এই টাইপের
অ্যাপ ইউজ করে আবার রুট
ইউজার রাও করে। সেইম
অ্যাপ ইউজ করে রুট ইউজার
বেশি সুবিধা পায় কারন
ওই অ্যাপ টি এডমিন
পারমিশন পায় যার ফলে
সিস্টেম ও হিডেন কিছু
টাস্ক কিল করতে পারে
যাতে করলে আপনার
ডিভাইস এর স্পীড
বাড়ছে।
· ইন্টারনাল Storage
বাড়ানো: যাদের
ফোনে ইন্টারনাল
মেমোরি কম তারা
চাইলে রুট করার মাধ্যমে
যেকোনো
অ্যাপ্লিকেশন SD
কার্ডে ট্রান্সফার করে
নিতে পারবেন। কিন্তু এই
কাজটির জন্য রুট করা
আবশ্যক। কিছু কিছু
অ্যাপ্লিকেশান Storage
ট্রান্সফার করার
ক্ষেত্রে স্বাধীনতা
দিলেও অনেক অ্যাপস
আছে যেগুলো রুট করা
ছাড়া ট্রান্সফার একরকম
অসম্ভব। যেমন আপনি
চাইছেন আপনার সেটে
জেলিবিন আপডেট
করবেন কিন্তু তার জন্য
আপনি সেটের ডাটা
ব্যাকআপ নিতে চাইছেন।
এখন আপনি যদি ব্যাকাপ
নেবার জন্য কোন বিশেষ
অ্যাপস ইন্সটল করতে চান
তার জন্য অবশ্যই আপনার
সেটটিকে রুট করে
নিতে হবে।
· ডিভাইস এর মূল মালিক: রুট
করা মানে আপনি
আপনার ডিভাইস এর প্রকৃত
মালিক হলেন। কারন রুট
করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত
আপনি আপনার ডিভাইস
এর এডমিন না। এডমিন হল
আপনার মোবাইল এর
কোম্পানি এবং তাদের
দেয়া ফার্মওয়্যার।
তাদের দেয়া সিস্টেম এ
যা যা জেভাবে আছে
আপনাকে সেইভাবেই
ডিভাইস টি ইউজ করতে
হবে। কিন্তু আমি যেহেতু
মালিক সুতরাং আমি
আমার মোবাইল ইচ্ছামত
ইউজ করবো তাহলে রুট
আপনাকে করতে হবেই। রুট
করার মাধ্যমে আপনি
আপনার ডিভাইস এর
সর্বোচ্চ কন্ট্রোল এক্সেস
পাবেন যার সাহায্যে
আপনি অনেক কিছুই করতে
পারবেন। যেমন ধরুন আপনি
সনি ইউজ করছেন। কিন্তু
Samsung এর ফিচার ও
স্টাইল গুলো ভালো
লাগে। তাহলে আপনি
আপনার ডিভাইস এর
ইন্টারফেস ও ফিচার
সেরকম করে পরিবর্তন করে
নিতে পারবেন।
এই ১০ টি হল পয়েন্ট টু রুট। এখন এই
১০ টি পয়েন্ট এর ভিতর আরও
হাজার হাজার পয়েন্ট ও
ফিচার আছে যা আপনি
পাবেন একমাত্র রুট করলেই।
রুট করলে আগের
সিস্টেম এ ফিরে
যাওয়া সম্ভব?
হাঁ, অবশ্যই পারবেন। তবে
ফিরে যাওয়ার মেথড
ডিপেন্ড করে আপনার
ডিভাইস ও মডেল এর উপর। অনেক
ডিভাইস ডিফল্ট ফার্মওয়্যার
দিয়ে আনরুট করা যায় অনেক
ডিভাইস আবার কিছু টুলস
ব্যবহার করে করতে হয়।
তবে রুট যেমন অনেক কারন আছে
ঠিক তেমনি না করারও বেশ
কারন আছে।
কেন রুট করবেন না?
রুট করলে আপনি অনেক সুবিধা
পাবেন তবুও চলুন দেখি রুট না
করার পিছনে কি কি কারন
থাকতে পারে-
রুট সবার জন্যে না: রুট করলে
আপনি অনেক সুবিধা পাবেন
সত্যি তবে যারা সবেমাত্র
এন্ড্রয়েড ওয়ার্ল্ড এ ঢুকেছেন
এবং টেকনিক্যাল ব্যাপারে
জ্ঞান কম তাদেরকে বলবো
আপনার রুট করার দরকার নেই।
কারন রুট করতে গিয়ে অথবা রুট
করার পর বিভিন্ন কিছু ট্রাই
করতে গিয়ে আপনার ডিভাইস
ড্যামেজ করে ফেলতে
পারেন। সুতরাং রুট সবার জন্যে
নয়।
রুট অনেক সময় আপনার ডিভাইস
রিসেট করে ফেলবে: একচুয়াল
টা বলা সম্ভব না তবে অনেক
সময় রুট করতে গিয়ে কোন
সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনার
ডিভাইস রিসেট সহ
অরিজিনাল ফার্মওয়্যার
দেয়া লাগতে পারে। এতে
করে আপনার অনেক ডাটা
হারানর একটা ভয় থেকে
যাচ্ছে। এছাড়াও রুট করার পর
ডিভাইস এ অনেক টাইপের
প্রবলেম হয়। তাই ডাটা হারানর
ভয় থেকেই যায়।
গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি
হারানো: এই টার্ম টা
অনেকেই জানেন আগে। রুট
প্রসেস টি আপনার ডিভাইস
কোম্পানি থেকে না করে
দেয়া হয়েছে। রুট করার পর
ডিভাইস কিছু হলে সেটার
দায়ভার কোম্পানি বহন করবে
না। এছাড়াও রুট করার সাথে
সাথে আপনার ডিভাইস এর
ওয়ারেন্টি অথবা গ্যারান্টি
যেটাই থাকুক না কেন তা নষ্ট
হয়ে যাবে। আমরা অনেকেই
দেখা যায় ১ বছরের জায়গায় ২
বছরের ওয়ারেন্টি নেই টাকা
বেশি দিয়ে। নিয়ে লাভ কি?
আপনি রুট করলে তা আর পাবেন
না।
ডাটা সিকিউরিটি কমে
যায়: রুট করার পর আপনার
কন্ট্রোল এ টোটাল ডিভাইস
এক্সেস এসে যায়। এবং দেখা
যায় আপনি ও আমি অনেক
টাইপের অ্যাপ ইন্সটল করি।
এতে করে কিছু কিছু অ্যাপ
ডিভাইস এর এডমিন এক্সেস
পেয়ে যায়। এডমিন এক্সেস
পেলে ওইসব অ্যাপ আপনাকে
না জানিয়ে আপনার ডিভাইস
এর যেকোনো ডাটা কপি করে
নিতে পারবে। এছাড়াও মুছেও
দিতে পারবে। রুট না করলে
এটার ভয় অনেক কম থাকে।
সুতরাং রুট করার ফলে আপনার
ডাটা ও ফাইল এর
সিকিউরিটি কমে যাবে।
অনেক প্রোগ্রাম চলতে বাধা
দিবে: এখানে একটু বলে নেই,
রুট করার ফলে আপনি অনেক
টাইপের অ্যাপ ও প্রোগ্রাম
ইউজ করতে পারবেন যা
নরমালি পারবেন না। তবে
প্লে ষ্টোর এ কিছু কিছু অ্যাপ
আছে যা আপনি নরমালি ইউজ
করতে পারবেন কিন্তু রুট করার
পর তা পারবেন না। অনেক
গেইম দেখা যাবে রুট করার পর
হতাথ করে ওপেন হতে গিয়ে
অফ হয়ে যাচ্ছে।
রুট সিস্টেম এর স্টেবিলিটি
কমায়: যদিও রুট করার ফলে
আপনি আপনার রম ও সিস্টেম এ
অনেক প্রকার কাস্টমাইজেশন
করতে পারবেন। তবে এখানে
একটু বলে রাখা ভালো যে রুট
করার ফলে আপনি এডমিন
এক্সেস পেয়ে এমন কিছু
কাস্টমাইজেশন করতে পারেন
যাতে কিনা আপনার ডিভাইস
এর স্টেবিলিটি কমে যাবে।
যেতে পারে না কমে
জাবেই। এতে করে মোবাইল
টা একটু লং লাইফ এর চেয়ে কম
লাইফ হবে।
OTA আপডেট পাবেন না: রুট
করার ফলে আপনার ডিভাইস
এর OTA আপডেট ফিচার টি অফ
হয়ে যাবে। তবে এটি সব
ডিভাইস এ না। কিছু কিছু
ডিভাইস এ এটি হবে। এতে
করে আপনি কাস্টম আপডেট
করতে হতে পারে আপনার
ডিভাইস।
কাস্টম রম ইউজ করে বিপদে
পড়া: রুট করার ফলে আপনি
এডমিন এক্সেস পেয়ে যাবেন।
এতে করে আপনি কাস্টম রম ইউজ
করতে পারবেন। রম মানে হল
মোবাইল এর সাথে আসা
অরিজিনাল সিস্টেম। সুতরাং
এই অরিজিনাল সিস্টেম এর
অনেক কাস্টম ভার্সন পাওয়া
যায়। যার মধ্যে Cyanogen MOD
অন্যতম। যাই হোক কাস্টম রম এ
আপনি অনেক ফিচার পাবেন।
তবে এতে করে রিস্ক থাকে
বেশি। দেখা যায় অনেক সময়
আপনার ডিভাইস এর ক্যামেরা
কাজ করতেছে, ভাইব্রেশন
কাজ করতেছেন, কল করা
যাচ্ছেনা, মাঝে মাঝে কল
করে কথা শুনা যাচ্ছে না এরকম
আরও অনেকে প্রবলেম দেখা
যায় অনেকের ডিভাইস এ।
কারন কাস্টম রম এ অনেক বাগ
থাকে।
রুট খামখেয়ালি অথবা মজা
করার জিনিস না: আমরা
দেখা যায় অনেকে রুট করি শুধু
মাত্র কিছু অ্যাপ ও ফিচার
স্টাইল ইউজ করার জন্যে।
ডিভাইস এর চেহারা পরিবর্তন
করার জন্যে। এতে করে একটু
মজা পাওয়া যায়। তবে আপনি
জানেন কি?? রুট কোন প্রকার
মজা করার জিনিস না। এই রুট
করার কারনে আপনার ডিভাইস
এর এডমিন এক্সেস যেকোনো
অ্যাপ সহজে নিয়ে নিতে
পারে। এতে করে দেখা যায়
আপনি যেকোনো প্রকার হ্যাক
এর ভিক্টিম হতে পারেন।
এছাড়াও আপনার ডিভাইস এ
যেকোনো প্রকার ড্যামেজ ও
ডাটা হারাতে পারেন। তাই
যদি না বুঝেন তাইলে রুট
কইরেন না। মজা করতে হলে অন্য
কিছু নিয়ে করেন।
পাইরেট অ্যাপ ইন্সটল: প্রতিদিন
লাখ লাখ ইউজার এন্ড্রয়েড
নিচ্ছে এবং এন্ড্রয়েড এ
আসতেছে। অ্যাপল যারা ইউজ
করেন তারা হয়তো জানেন
JAILBREAK এর কথা। JAILBREAK
করার ফলে আপনি অনেক
পাইরেটেড অ্যাপ ও ফিচার
ইউজ করতে পারবেন। তো
অনেকে এন্ড্রয়েড এ মনে করে
যে পাইরেটেড অ্যাপ ইউজ
করতে হলে মনে হয় রুট ও আনলক
করতে হবে। আরে না!! আপনি
যা ইচ্ছা ইউজ করেন অ্যাপ
সেটার জন্যে আপনাকে রুট
করতে হবেনা। এন্ড্রয়েড একটি
ওপেন সোর্স অপারেটিং
সিস্টেম। এখানে আপনি
ইচ্ছামতো অ্যাপ ইউজ করতে
পারবেন। আপনাকে বাধা
দেয়ার অধিকার নেই গুগল এর।
যাই হোক, অনেকে ওইসব
পাইরেটেড অ্যাপ ইউজ করতেজড়
গিয়ে অনেক বিপদের সম্মুখীন
হয়েছেন কারন ওই অ্যাপ গুলো
থার্ড পার্টি সাইট থেকে
নেয়া এবং তাতে ভাইরাস
থেকে যায় মাঝে মাঝে যা
এডমিন এক্সেস নিয়ে
আপনাকে এটাক করবে। রুট না
করলে কিন্তু ওইসব অ্যাপ এডমিন।
এক্সেস পাচ্ছে না। এতে করে
আপনার ভয় থেকে যাচ্ছে কম।
রাং আপনার প্রিয় এন্ড্রয়েড
ডিভাইসটি রুট করার আগে
ভালভাবে জানুন এবং বুঝুন যে
রুট আপনার জন্যে দরকারি
নাকি ক্ষতিকর।এটা প্রথম টিউন।আজ এপর্যন্তই।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আমি আদিল ইবনে সোলাইমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অনেক ধন্যবাদ, এই তথ্যবহুল টিউনটি করার জন্য