ব্যাটারি ব্যাকআপ নিয়ে যাদের সমস্যা তারা মনযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন,কাজে লাগলেও লাগতে পারে।

১. ওয়ালপেপার - আমরা অনেকেই লাইভ ওয়ালপেপার ইউজ করতে পছন্দ করি। কারন এর অ্যানিমেশন আমাদের মুগ্ধ করে। কিন্তু এই লাইভ ওয়ালপেপার কিন্তু প্রচুর চার্জ খায়। লাইভ ওয়ালপেপারের এই অ্যানিমেশনের পিছনে কিন্তু CPU, GPU, RAM সবকিছুই ভালভাবে কাজ করে। তাই এইগুলোর চাহিদা পুরণের জন্য ব্যাটারির চার্জ তাড়াতাড়ি ফুরায়। তাই, সবসময় লাইভ ওয়ালপেপার বর্জন করার চেষ্টা করবেন। শুধু সাধারন ওয়ালপেপার ব্যবহার করবেন।আর যারা অ্যামোলেড ডিসপ্লের সেট ইউজ করেন তারা সাধারন ওয়ালপেপারের মধ্যেও একটু বাছ বিচার করতে হবে। কারন অ্যামোলেড স্ক্রিনের পিক্সেল নিজেই লাইট উৎপন্ন করে। এতে চার্জও বেশি খরচ হয়। কিন্তু ওয়ালপেপার যত ব্ল্যাক হবে পিক্সেল তত কম লাইট উৎপন্ন করবে। তাই অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে যত পারা যায় ব্ল্যাক ওয়ালপেপার, থিম ইত্যাদি ব্যবহার করুন। অ্যামোলেডে ব্ল্যাকের পার্সেন্টেজ যত বাড়াতে পারবেন,ব্যাটারি খরচের পার্সেন্টেজ তত কমাতে পারবেন। কিন্তু আই পি এস,টি এফ টি বা অন্য ডিসপ্লের সেটে এই পদ্ধতি ব্যবহার করার দরকার নাই।

২. ব্রাইটনেস - ব্রাইটনেস সম্পর্কে সবাই জানি যে ডিসপ্লের ব্রাইটনেস যত কম হবে,ব্যাটারির চার্জ তত বেশি সময় থাকবে।কিন্তু আমার মত অনেকের একটা ভুল ধারনা যে অটো ব্রাইটনেস অন করে রাখলে মনে হয় চার্জ কম খায়। আসলে এতে আরো চার্জ বেশি খায়। আর সবসময় কমা বাড়া করতে থাকা একটা বিরক্তিকর জিনিসও বটে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন স্ক্রিন ব্রাইটনেস যত কমিয়ে রাখা যায়, এতে ব্যাটারি ব্যাকআপ ভাল পাবেন। আর একবার অভ্যস্ত হয়ে পড়লে কম ব্রাইটনেসেও কোন সমস্যা হবে না। আর ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কন্ট্রোলিংকে আলটিমেট পর্যায় নিয়ে যেতে lux auto brightness,darker pro,twilight ইত্যাদি অ্যাপস ইউজ করতে পারেন। এতে ব্যাটারি ব্যাকআপ আরো বাড়বে।তবে যে অ্যাপসই ইউজ করেন,খেয়াল করে দেখবেন সেটা কতটুকু র্যাম খাচ্ছে। যেমন: lux auto brightness একটি জনপ্রিয় এবং প্লে স্টোরে ভাল রেটিং প্রাপ্ত কার্যকরী অ্যাপস।কিন্তু এটি ৩৬-৩৭ মেগাবাইট র্যাম খায়। এখন আপনার ৫১২ মেগাবাইট র্যামের ৩৬-৩৭ মেগাবাইট যদি অলটাইম একটা অ্যাপসই খায় তাহলে ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়া করবেন কি? আর display timeout ও চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব কম দেওয়া যায়।

৩. অ্যানিমেশন - এক অ্যাপস থেকে অন্য অ্যাপসে যাওয়ার সময়, ব্যাক,মেনু, হোম ইত্যাদি বাটন চাপার পর যে অ্যানিমেশন হয় তাতে কিন্তু চার্জ খায়। কারন এই অ্যানিমেশনের ফ্রেম তৈরি করার জন্য GPU ব্যবহৃত হয় (সম্ভবত CPU ও)। আর এই GPU সচল থেকে আপনার ব্যাটারি ড্রেইন করে। তাই, settings>developer options এ গিয়ে windows animation scales, transition animation scale ইত্যাদি ইত্যাদি অ্যানিমেশন সম্পর্কে যা যা আছে সবগুলো অফ করে দেন। এতে চার্জ খরচ কিছুটা হলেও কমবে।

৪. WIDGETS - অনেকেরই আমার মত ডিসপ্লেতে শুধু WIDGETS দিতে মন চায়। কিন্তু এই WIDGETS এর পিছনে RAM,CPU সবই চলে এবং তার ফলে ব্যাটারিও ভালই খরচ হয়। তাই হোমস্ক্রিনে চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব কম WIDGETS রাখা যায়।আর হোমস্ক্রিনে একটা WIDGETS ও যদি ব্যবহার করা না হয় তাহলেও তো কোন সমস্যা হয় না। আর WIDGETS গুলো সবসময় নিজেদেরকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে আপডেট রাখে, তাই ফোনকে বিভিন্ন সময় চলতে হয় এবং বিভিন্ন অ্যাপসও এর কারনে ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু হয়, যা ব্যাটারিতে বিশাল প্রভাব ফেলে। তাই, যতটা সম্ভব WIDGETS কে পরিহার করুন এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ান। আর বেশিরভাগই WIDGETS ই টাইম টু টাইম বিভিন্ন তথ্য আপডেট নেয়, এগুলো অটোমেটিক না করে ম্যানুয়ালি করলে ব্যাটারি খরচ কমবে।

৫. CONNECTIVITY & AUTO ROTATION - আমরা অনেকেই অকারনে WIFI, DATA -CONNECTION, BLUETOOTH, GPS,NFC, AUTO SYNC, AUTO ROTATION ইত্যাদি অন করে রাখি। আর এগুলো যত বেশি অন থাকবে ব্যাটারির চার্জও তত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাবে। তাই,চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব এইসব সার্ভিসগুলো অফ করে রাখতে, এতে আপনার ব্যাটারির চার্জ অনেকাংশে সাশ্রয় হবে। আর প্রয়োজন না হলে সিমে 3G সার্ভিস অন করে রাখবেন না। কারন, সিমে 3G অ্যাক্টিভ থাকলে চার্জ দ্রুত শেষ হয়। আর AUTO ROTATION এর বেলায় তো আমরা একদম উদাসীন। ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়াতে হলে এইসব উদাসীনতা দূর করে একটু সচেতন হতে হবে।

৬. Haptic feedback,vibration etc - ফোনে টাচ করলেই টকাস টকাস করে সাউন্ড করে, কোন জায়গায় টাচ করলাম তার চিহ্ন দেখায়, ব্যাক,হোম,মেনু এইসব বাটনে টাচ করলে, লকস্ক্রিন খুললে ভাইব্রেশন দেয়, খুবতো মজাই লাগে। কিন্তু এতেও ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যায়। তাই এইসব আজাইরা সার্ভিসগুলো বন্ধ করুন, ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়বে।

৭. বিভিন্ন ধরনের ধরনের Smart features যেমন smart pause,smart scrolling,smart stay ইত্যাদি যাদের সেটে আছে তারা খুব প্রয়োজন না হলে এগুলো ON করে রাখবেন না।এগুলো ব্যবহার যত কম করবেন,ব্যাটারি ব্যাকআপ তত বাড়াতে পারবেন।

৮.অ্যাপস কন্ট্রোলিং - ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়াতে হলে আপনার ফোনে ইনস্টলকৃত অ্যাপগুলোকে কন্ট্রোল করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নাই।অ্যাপসগুলোকে কয়েকভাবে কন্ট্রোল করতে হবে।

(1) প্রথমে অপ্রয়োজনীয় সব অ্যাপসগুলো (SYSTEM APPS সহ) আনইনস্টল করুন। কারন অ্যাপস যত বেশি হবে আপনার সেটের RAM,CPU,GPU তত বেশি ব্যবহৃত হবে আর চার্জও বেশি খরচ হবে। তাই,অ্যাপস কমিয়ে এমন পর্যায়ে আনুন যা না ব্যবহার করলেই নয়।এতে ব্যাটারি ব্যাকআপ + পারফর্মেন্স দুটোই বাড়বে। অপ্রয়োজনীয় SYSTEM অ্যাপস চিহ্নিত করতে নিচের লিঙ্কে যান এবং ঐ অনুসারে সব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসগুলো আনইনস্টল করুন।

Removable System Apps: http://forum.xda-developers.com/showthread.php?t=1207407

[LIST] System Apps that are SAFE* to remove!:

http://forum.xda-developers.com/showthread.php?t=1487073

যেকোন একটা অ্যাপস দিয়ে SYSTEM অ্যাপসগুলো আনইনস্টল করুন।

(2) এখন যে অ্যাপসগুলো ইনস্টল করা আছে এগুলোকেও কন্ট্রোল করতে হবে। আমরা যেসব অ্যাপস সেটে ইনস্টল করে রাখি তার বেশিরভাগই আমরা না চালালেও অটোমেটিকালি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে, সেটের RAM এবং CPU ব্যবহার করে চার্জও নষ্ট করে। তাই ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়াতে হলে এই ব্যাকগ্রাউন্ডে চলাকে বন্ধ করতে হবে। uucleaner বা greenify যেকোন একটি অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপসগুলোকে হাইবারনেট করুন। এতে পারফর্মেন্স + ব্যাটারি ব্যাকআপ দুটোই বাড়বে। আর uucleaner ইউজ করলে তা দিয়ে notifications ও কন্ট্রোল করুন। যেসব অ্যাপসের notifications আপনার দরকার নাই, সেগুলো বন্ধ করে দেন, এতে বিরক্তিও কমবে,ব্যাটারি ব্যাকআপও বাড়বে।

(3) এবার নিচের লিঙ্ক থেকে better battery stats অ্যাপটা ডাউনলোড করেন।

http://forum.xda-developers.com/showthread.php?t=1179809

এই অ্যাপসটা দিয়ে ভালমত চেক করুন,আপনার ব্যাটারির চার্জগুলো কিসে কিসে খাচ্ছে। কোন অ্যাপস তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাচ্ছে বলে মনে হলে তা আনইনস্টল করে অল্টারনেটিভ কোন অ্যাপস ইউজ করেন। এক্ষত্রে আপনি অন্য কোনও অ্যাপও ইউজ করতে পারেন। তবে যা ই ইউজ করেন তা দিয়ে কোন অ্যাপস ডিসপ্লে বন্ধ থাকার পরও ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে ব্যাটারির বারোটা বাজাচ্ছে, কোন অ্যাপস কতটুকু চার্জ ইউজ করতেছে তা যেন বিস্তারিত দেখা যায়।পরে সেই অ্যাপসের উপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিবেন।

(4) সবসময় ইনস্টল করা অ্যাপগুলোকে আপ টু ডেট রাখতে চেষ্টা করুন। কারন কোন অ্যাপ আপডেট দিলে তা সাধারণত কম র্যাম ও ব্যাটারির চার্জ ইউজ করে। কারন, পূর্বের ভার্সনে এইসব কোন সমস্যা ধরা পড়লে ডেভেলপাররা তা ফিক্স করার চেষ্টা করেন।

(5) সবসময় অ্যাপসগুলোর ad free ভার্সন ইউজ করবেন, এতে ইন্টারনেট ব্যবহার না করার জন্য ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়বে। অথবা afwall, droidwall, no root firewall এগুলোর যেকোন একটি অ্যাপ ইউজ করে যেসব অ্যাপসগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ দরকার নাই,সেগুলো থেকে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এতে ইন্টারনেট খরচ কমবে এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়বে।

৯. সেট এমন জায়গায় রাখবেন যাতে সিম ফুল নেটওয়ার্ক পায়। কারন সিম ফুল নেটওয়ার্ক না পেলে তা পাওয়ার জন্য বেশি চার্জ খরচ করে।

১০. প্রসেসর (CPU) কন্ট্রোলিং-ভাল পারফর্মেন্স,ব্যাটারি ব্যাকআপ ইত্যাদি যা ই আপনি চান না কেন, এসব কিছু করতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রসেসরকে কন্ট্রোল করতেই হবে। কারন, যেকোন অ্যাপস বা কোন কিছু সেটে চললেই তার পিছনে প্রসেসরও কাজ করে। আর প্রসেসর চললে ব্যাটারির চার্জও ফুরাতে থাকে। তাই প্রসেসর যত কম ব্যবহৃত হবে ব্যাটারি ব্যাকআপ তত ভাল পাবেন। প্রসেসরকে বিভিন্নভাবে কন্ট্রোল করতে পারেন। CPU কন্ট্রোলিং যেকোন অ্যাপস দিয়ে আপনি CPU governor powersave দিয়ে দিলেও ব্যাটারি সেভ হবে। কিন্তু এতে সেট স্লো হয়ে যাবে এবং চালাতে পারবেন না। তাই tasker,antutu cpu master pro,set cpu ইত্যাদি অ্যাপস দিয়ে আপনি বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে CPU এর governor অটোমেটিক চেঞ্জ করে অনেক ব্যাটারির সাশ্রয় করতে পারবেন। যেমন, রাত ১২ টা থেকে সকাল ৬ টা, বা ডিসপ্লের আলো বন্ধ হয়ে গেলে ইত্যাদি সময়ে আপনার CPU এর কোন কাজ করার দরকার নাই। তাই এসময় যদি আপনি CPU এর ফ্রিকোয়েন্সি সবচেয়ে কম দিয়ে রাখেন,তাহলে নিজের কাজের ক্ষেত্রেও কোন সমস্যা হবে না এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ অভূতপূর্বভাবে বাড়বে। তাই,অপ্রয়োজনীয় সময়ে CPU ফ্রিকোয়েন্সি একদম কমিয়ে রাখুন এবং অবিশ্বাস্য ব্যাটারি ব্যাকআপ উপভোগ করুন।আর এই অ্যাপসগুলো চালানোও একদম সহজ। একটু চেষ্টা করলে সহজেই CPU কে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারবেন। বিভিন্ন প্রকার CPU governor এবং i/o schedulers সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে,নিচের লিঙ্কগুলোতে যান।

CPU Governors explained

http://forum.xda-developers.com/showthread.php?t=1736168

[SHARE] CPU Governors and I/O Schedulers Explained 12/23

http://forum.xda-developers.com/showthread.php?t=1950084

CPU Governors explained

http://forum.xda-developers.com/showthread.php?t=1663809

১১. Upgrade Android - আপনার এন্ড্রয়েড ভার্সন পারলে আপগ্রেড করুন। কারন, সাধারনত অপারেটিং সিস্টেম আপগ্রেড করার সাথে সাথে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ে। ব্যাটারি বেশি ড্রেইন হওয়ার কোন কারন কোন এন্ড্রয়েড ভার্সনে পেলে গুগল তার পরবর্তী ভার্সনে তা ফিক্সড করার চেষ্টা করে।

১২. কাস্টম রম - কাস্টম রমগুলোতে সাধারনত ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি ভাল পাওয়া যায়। স্টক রমে এ ধরনের কোন সমস্যা থাকলে ডেভেলপাররা তা কাস্টম রমে ফিক্স করার চেষ্টা করেন। সব কাষ্টম রমই যে ভাল ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয় তা ও না, কোন কোনটার ব্যাটারি ব্যাকআপ তো স্টক রমের চেয়েও জঘন্য। তাই যেই রমে ব্যাটারি ব্যাকআপ ভাল, সেই রম ইউজ করুন।

১৩. কাস্টম কার্নেল - কাস্টম রমের মতই স্টক কার্নেলের চেয়ে বেশি ফিচার নিয়ে কাস্টম কার্নেল তৈরি করা হয়। অনেক কাস্টম কার্নেলে ব্যাটারি Undervolt করার সিস্টেমও থাকে। তাই, আপনার সেটের যদি কাস্টম কার্নেল থাকে তাহলে তা ফ্ল্যাশ দিন। তবে,দুঃখের কথা হইল এই যে, আমাদের symphony,walton এর সেটগুলোর কোন কাস্টম কার্নেল নাই, তাই আমাদের এই বিষয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। আর যাদের ব্র্যান্ডের সেট এবং কাস্টম কার্নেল আছে, তারা অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন।

১৪. scripts & mods - এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়াতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের sripts এবং mods ব্যবহার করতে হবে। এগুলো ছাড়া আপনি কোনভাবেই ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং পারফর্মেন্সকে আলটিমেট পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন না। এগুলো দিয়ে কার্নেলের বিভিন্ন প্যারামিটার কন্ট্রোলিং করা ছাড়াও বিভিন্ন কাজ করা হয়। কাস্টম রমের ভাল পারফর্মেন্স এবং ব্যাটারি ব্যাকআপের রহস্য অনেকাংশেই এগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে। কিছু জনপ্রিয় scripts & mods হল: v6 superchargerpure performancefly on modcrossbreederadrenaline engineoperation killjoythunderbolttweak dryptreincarnation enginenxenginextweaksmalive boosterthe grat dash modfluid enginesmart fluidblend boosted ইত্যাদি ইত্যাদি।

সাধারনত কাস্টম রমে এইসব scripts & mods গুলো দেওয়া থাকে, তাই কাস্টম রম ইউজাররা এই সম্পর্কে খুব বেশি না জানলে এই নিয়ে ঘাটাঘাটি না করাই ভাল। আর এগুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আপনি সবগুলো একসাথে ইউজ করতে পারবেন না, তাহলে সেটে সমস্যা হবে। কারন অনেকগুলোই একটার সাথে আরেকটা conflicted. তাই এদের মধ্যে যেকোন একটা, দুইটা বা তিনটা এরকম ইউজ করতে পারবেন কিন্তু তাও আবার হিসাব করে। তাই, এই সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হল, কাস্টম রম ইউজ করলে, জানা বা শেখার উদ্দেশ্য ছাড়া এই জিনিস বাদ দেন। কিন্তু স্টক রম ইউজাররা অবশ্যই ইউজ করবেন, তবে জেনেশুনে, অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নিয়ে, নিজে আন্ধাগোন্ধা কিছু কইরেন না। আর এন্ড্রয়েড যদি চালাইতেই হয় প্রত্যেকেরই এই বিষয়গুলো জানা দরকার, গুগলে সার্চ দিলে আর xda তে অল্প একটু সময় দিলেই scripts & mods এর ব্যাপারটা সহজেই বুঝতে পারবেন।

scripts & mods এর ব্যাপারটা অনেক জটিল, তাই এই পোষ্টে এটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব না,আলাদা পোষ্ট করতে হবে।

১৫. ব্যাটারি - সবসময় অরিজিনাল ব্যাটারি ব্যবহার করুন। দুই নম্বর তিন নম্বর ব্যাটারি ব্যবহার করলে তো ব্যাটারি ব্যাকআপ কম পাবেনই।এতে সেটেরও ক্ষতি হয়। কয়েকটা টাকা বাঁচানোর জন্য এই কষ্ট ও ক্ষতির কোন মানে আছে! ব্যাটারির জন্য সঠিক চার্জারটিও নির্বাচন করুন।

১৬. Tasker - এন্ড্রয়েড ফোন থেকে আলটিমেট ব্যাকআপ পাইতে হইলে,এন্ড্রয়েড ইউজিং এক্সপেরিয়েন্সকে আলটিমেট লেভেলে নিয়ে যেতে হলে আপনাকে tasker নামক অ্যাপটা ইউজ করতেই হবে। এটা নিয়ে বিস্তারিত তো দুরের কথা সংক্ষেপেও কোন কথা বলতে চাই না, সংক্ষেপে বলতে গেলেও এতক্ষন যা লিখলাম, তার চেয়েও বেশি লেখা লাগবে। আমি আর পারছি না, নিজেরাই অ্যাপটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন,কেউ পারলে গ্রুপে বিস্তারিত পোষ্ট বা টিউটোরিয়াল দেন, আমি সময় পাইলে চেষ্টা করবো।

এখন কিছু কথা হইল,আমি এখানে কোন battery saver বা সেটের ডিফল্ট power saving mode ইউজ করার কথা বলি নাই, কারন এগুলো উপরের উল্লখিত কাজগুলোর মধ্যে কিছু কিছু কাজকে প্রেফাইলের মাধ্যমে কন্ট্রোল করে যা আমাদের অনেকের সাথেই ঠিকমত ম্যাচ করে না। তাই আশা করি battery saver এবং power saving mode ইউজ না করে এগুলো ফলে করলে ব্যাটারি ব্যাকআপও বেশি পাবেন এবং ঝামেলাও কম হবে।

আর battery calibration? ব্যাটারি calibrate এর সাথে ব্যাটারি ব্যাকআপের সম্পর্ক নাই,এর সাথে সম্পর্ক হইল ব্যাটারির দেখানো স্ট্যাটাসের।
আর সবচেয়ে বড় এবং একমাত্র কথা হইল be realistic.এটা একটা ব্যাটারি, পিডিবি'র অফিস না। তাই চার্জ শেষ হবেই,এটাকে স্বাভাবিকভাবে দেখতে শিখুন।

Level 2

আমি তাহজিব সারওার তালহা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 27 টি টিউন ও 52 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

এক কথায় চমৎকার 🙂

কি আর বলবো ভাই! আপনি কিছু আর বাদ রাখলেন না!

সত্যি অসাধারন টিউন

Level 0

সুন্দর গোছানো টিউনের জন্য অসংখ্য ধনেপাতা…….কাজে লাগবে 🙂

mega tune. thanxx