লিনাক্স থেকেই এন্ড্রয়েডের সৃষ্টি, তাই এটা খুব আশ্চর্যজনক হবেনা যে আধুনিক একটি ডিভাইস ওয়েব সার্ভার রান করতে পারে যাতে আছে PHP সাপোর্ট আর ফাইল ট্রান্সফারের জন্য FTP! আপনি ইচ্ছা করলেই সার্ভারকে নিজের চয়েস অনুযায়ী ডোমেইন দিয়ে চালাতে পারেন। যারা ছোট ব্লগ চালান কিংবা কো-ওয়ার্কারদের সাথে ফাইল ট্রান্সফার করতে চান তারা পকেটেই এই সার্ভার ক্রিয়েট করতে পারেন।
আপনি যদি একটি আইফোন এপ বানাতে চান তাহলে সব কোড ম্যাকেই লিখবেন। আর উইন্ডোজ এপ বানাতে চাইলে কোড লিখে থাকবেন ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপে। এন্ড্রয়েড এপ লিখে, কম্পাইল করে এবং টেস্টও করতে পারবেন!! বেশিরভাগ প্রোগ্রামাররা কম্পিউটারেই এসব কাজ করে থাকেন, যদি আপনি ফোনে করতে চান তাহলে AIDE নামে এই এপটি ইউজ করতে পারেন। তাছাড়া, বিভিন্ন ওয়েব ল্যাঙ্গুয়েজ যেমনঃ HTML, PHP, JavaScript ইত্যাদি অনায়াসেই লিখা যায় DroidEdit নামের এই অ্যাপের সাহায্যে।
স্মার্টফোনকে কি পিসি থেকে কন্ট্রোল করতে চান? রিমোট এক্সেস অ্যাপের সাহায্য কম্পিউটারের ব্রাউজার থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে স্মার্টফোন!! আবার, মোবাইল থেকেই নিজের পিসি কন্ট্রোল করতে পারবেন দূরবর্তী কোন স্থান থেকে!!
২০১৩ সালের শুরুর দিকে গ্যালাক্সি এস ফোরে এমন একটি এপ ছিল যা প্রতি কদম পরিমাপ করতে পারত! এতে কোন স্পেশাল হার্ডওয়ারের প্রয়োজন নেই, শুধু ফোন পেডোমিটার হিসেবে ইউজ হবে। ফোনের Accelerometer সেন্সরকে ইউজ করে কত কদম হাটা হয়েছে তা পরিমাপ করা হয়ে থাকে। আপনার হাইট আর ওয়েট এর তথ্য দিয়ে আরো কিছু মজার ফিচার পেতে পারেন। যেমনঃ কত কিলোমিটার হাটলেন আর কত কিলোক্যালরি শক্তি খরচ হয়েছে। প্লে স্টোরে এমন অনেক এপস আছে।
এখন কোয়াড কোর আর অক্টা কোর স্মার্টফোনের যুগ। আপনার পুরনো স্মার্টফোনটি হয়তো ড্রয়ারে ফেলে রেখেছেন কিংবা বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু, পুরনো এই ফোনকেও দারুণ একটি কাজে লাগাতে পারেন। যেমনঃ সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে ইউজ করতে পারেন অনায়াসেই। বাড়িতে ক্যামেরা লাগিয়ে দূর থেকেই বাড়ির সব কিছুই নিজের চোখের সামনে রাখতে পারেন। আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ইন্টারনেটের মাধ্যমেই!!
সব এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনেরই মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট থাকে যা দিয়ে মোবাইল চার্জ করা হয়, পিসির সাথে ফাইল আদান প্রদান করা হয়। কিন্তু, OTG এর সাহায্য যেকোন ফ্ল্যাশ ড্রাইভ যুক্ত করা যায়। এক্ষেত্রে রুটেড ফোন, OTG ক্যাবল আর প্রয়োজনীয় এপস। ক্যামেরা থেকে ছবি নিয়ে আ অনায়াসেই ক্লাউড স্টোরেজে সেভ করে রাখা যাবে।
একটি OTG ক্যাবলের সাহায্যে শুধু পেনড্রাইভ কিংবা মেমরি ইউজ করা নয় বরং মাউস এবং কিবোর্ডও ইউজ করা যায়। কিছু এপের সাহায্যে খুব সহজেই এইসব এক্সটার্নাল এক্সেসরিজ ব্যবহার করা যাবে।
প্রায় সব ফোনেই দরকার হলে হাই-ক্যাপাসিটি ব্যাটারি ইউজ করা যায়। কিন্তু, যদি আপনার ফোনটি রুট করা থাকে তাহলে সহজেই ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো যায়। এক্ষেত্রে অনেক পদ্ধতি আছে। তার মাঝে সিপিইউ ফ্রিকোয়েন্সি কম বেশি করতে পারবেন। পাশাপাশি ব্যাটারি আন্ডারভোল্ট করেও ব্যাকআপ বাড়ানো যায়।
খুব সহজেই উইন্ডোজ 8 কিংবা উইন্ডোজ 7 এর মত করে ফেলতে পারেন আপনার স্বাদের ফোনটিকে। স্টার্ট মেনু যোগ করা যাবে। তাছাড়া, রয়েছে আরো আকর্ষনীয় টাস্কবার । মিনিমাইজ করা এপস দেখা যাবে এখন টাস্কবারেই।
অবাক হচ্ছেন? অবাক হতেই পারেন। লিনাক্স ইন্সটলার দিয়ে সহজেই উবুন্টু কিংবা ডেবিয়ান ইত্যাদি ডিস্ট্রো ডেক্সটপ অপারেটিং সিস্টেম চালাতে পারবেন। ফোনে মাউস আর কিবোর্ড এবং এক্সতার্নাল ডিসপ্লে কানেক্ট করলেই হল।
আমি নাজমুল শুভ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
NICE………..INSPIRING