বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হল অ্যান্ড্রয়েড। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। সময়ের হাত ধরে আসছে নতুন সব প্রযুক্তি আর ফিচার নিয়ে আসছে নতুন নতুন সব ডিভাইস। তবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সম্পর্কে অনেক কিছুই আছে যা আমাদের অনেকের জানা নেই। আমিও অনেক কিছুই জানি না। তবে কিছু বিষয় আছে যা সব অ্যান্ড্রয়েড ইউজারের জানা প্রয়োজন তা নিয়ে আমার আজকের পোস্ট…
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের যে ফিচারটি আমাদের অনেকের কাছে জনপ্রিয় তা হল NFC. সব অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে NFC সুবিধাটি দেয়া হয়না। কিছু মিড-রেঞ্জ এবং কিছু অধিকাংশ হাই-ইন্ড স্মার্টফোনে NFC দেয়া হয়। এই ফিচারটি আমাদের অনেকের কাছে প্রয়োজনীয় মনে হলেও, সাধারনত আমরা এই ফিচারটি তেমন ব্যবহার করি না। তাই যখন আপনি NFC ব্যবহার করছেন না, তখন এটি অফ করে রাখাই ভাল। কারণ NFC অন থাকলে আপনার প্রচুর ব্যাটারি খরচ হবে। তাই ব্যবহার প্রয়োজন শেষে NFC অফ করতে ভুলবেন না।
খুব কম অ্যান্ড্রয়েড ইউজার আছেন যারা Advanced Wi-Fi সেটিংস্ গুলো ব্যবহার করে থাকেন। অনেকেই আছেন যাদের এই সেটিংস্ গুলো সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই। আপনি যদি নিয়মিত ওয়াইফাই ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে নতুন কোন ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের জন্য নোটিফিকেশন পেতে হলে এই সেটিংস্ গুলো ব্যবহার করা প্রয়োজন। অনেক সময় আপনার ডিভাইস যে ওয়াইফাই কানেকশন গুলো খুজে পায় তার সবগুলোর সিগনাল ভাল থাকে না, সেক্ষেত্রে দুর্বল ওয়াইফাই কানেকশন গুলো এড়ানোর জন্য এই সেটিংস্ গুলো জরুরি। এছাড়া এই সেটিংস্ অপশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ডিভাইসের ম্যাক অ্যাড্রেস জানতে পারবেন।
মোবাইল ডাটা নিয়ে আমাদের অনেক সময় অনেকরকম অভিযোগ থাকে। যেমন এত কম ইউজ করলাম তাও ডাটা এত জলদি কিভাবে শেষ হল!! Settings>Data Usage এ গেলেই আপনি এই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। সহজেই জানতে পারবেন কোন অ্যাপটি সবচেয়ে বেশি ডাটা খরচ করছে। একইভাবে মেনু থেকে আপনি Show Wi-Fi usage অন করলে ওয়াইফাই দিয়ে আপনি কতটুকু ডাটা খরচ করেছেন তাও জানতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন অ্যাপ গুলো আপনার ডিভাইসের র্যাম দখল করে রাখার কারণে যখন আপনার ডিভাইসটি স্লো চলে তখন আপনার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা হয় যে কোন অ্যাপ গুলো আপনার র্যাম দখল করে রাখছে। এক্ষেত্রে নতুন একটি টিপস হল Settings > About phone এ যেয়ে Build number অপশনটিতে কয়েকবার প্রেস করুন। এতে আপনার ডিভাইসের Developer Options মেনুটি সচল হবে। এবার Developer Options> Process Stats এ যেয়ে আপনি সহজেই দেখে নিতে পারেন কোন কোন অ্যাপ আপনার ডিভাইসের কতটুকু র্যাম দখল করে রাখছে। তবে কথা হল এই অপশনটি আমি আমার ডিভাইসে পেয়েছি,কিন্তু ওয়াল্টন E2 তে পেলাম না। তবুও চেক করে দেখুন আপনার ডিভাইসে অপশনটি আছে কিনা।
এই পর্যন্ত ব্যাটারি সেভিং টিপস নিয়ে সাইটে বেশ কিছু পোস্ট লিখেছি। আর সব পোস্টেই আমি লোকেশন সার্ভিস নিয়ে লিখেছি। গুগল ম্যাপ, গুগল নাও বা অন্যান্য থার্ড পার্টি অ্যাপ যেগুলো লোকেশন সার্ভিস বা জিপিএস ব্যবহার করে, সেই অ্যাপ গুলো আপনি যদি সবসময় ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে লোকেশন সার্ভিস এবং জিপিএস অফকরে রাখাই ভাল। কারণ এতে আপনার ব্যাটারি সেভ হবে। অথবা আপনি ব্যাটারি সেভিং মোডেও লোকেশন সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। settings>Location>Mode এ গেলেই আপনি অপশনটি পাবেন।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সুরক্ষার জন্য আমরা অধিকাংশ সময় অনেক থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। এতে কোন সন্দেহ নেই যে ডিভাইসের সুরক্ষার জন্য অনেক ভাল ভাল অ্যাপ রয়েছে। তবে সকল অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কিছু সিকিউরিটি অপশন দেয়া থাকে। যেমন আপনি ইচ্ছা করলেই আপনার ডিভাইসটি পাসওয়ার্ড দিয়ে Encrypt করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতিবার ডিভাইস অন করার সময় আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। আপনি যদি আপনার ডিভাইসটি Decrypt করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার ডিভাইসটি ফ্যাক্টরি রিসেট দিতে হবে।
পোস্টটি ইতোপূর্বে BD DROID এ প্রকাশিত হয়েছে।
আমি নাজমুল শুভ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
vai plz bolben je eta ki set ebong model koto