ফোন রুট করা একটা ঝামেলার কাজ। তার উপর আবার আপনার ফোনের ওয়ারেন্টি হারাবেন। আবার উলটা পালটা হয়ে ব্রিক হয়ে গেলে তো সবই মাটি।
ভাবছেন, এতো হ্যাপা সামলিয়ে কেনো রুট করবেন আপনার ডিভাইসটি?? আসুন দেখে নিই আপনার ডিভাইসটি রুট করে কি কি সুবিধা পাচ্ছেন আপনি।
লুকানো ফিচার আনলকডঃ আপনার ফোনটি রুট করার সাথে সাথেই আপনার সামনে খুলে যাবে এন্ড্রয়েডের এমন কিছু দারুন ফিচার যা আপনি ভাবেননি কখনো। এমন কিছু অ্যাপস আছে যেগুলো ক্যারিড ব্লক অ্যাপস যেগুলো আপনার এন্ড্রয়েডের সিস্টেম ফাইলে ঢুকে কাজ করে। এই ধরনের অ্যাপসগুলো আপনার ফোনে আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন রুট করার পরেই। আপনি আপনার ফোনটি রুট করলে আপনি আরো পাবেন নতুন আপডেটেড এন্ড্রয়েড এর ফিচার, আপনার হার্ডওয়ারের পাওয়ার বাড়বে, এমন আরো অনেক ফিচার যুক্ত হবে আপনার ফোনে।
ফোনের স্পীড এবং ব্যাটারী লাইফ বাড়ানঃ আপনার ফোন রুট করার কারনে আপনার ফোনের স্পীড বেড়ে যাবে, আপনার ফোনের ব্যাটারীও লাইফ বাড়বে আরো কিছুটা। আনরুটেড অবস্থায় আপনার ফোনের ব্যাটারী লাইফ বাড়লেও রুট করলে আপনার ব্যাটারীর লাইফ আরো বেশি বুস্ট আপ হবে। কারন হার্ডওয়্যার পাওয়ার বুস্ট হওয়ার কারোনে আপনার অ্যাপসগুলো আরো কম প্রচেষ্টায় চলবে। অনেক অ্যাপস হাইবারনেট হয়ে যাবে আপনার ব্যাবহার করার পর যখন আপনি আর সেটি ব্যাবহার করবেন না
পপ আপ অ্যাড বন্ধ করুনঃ এন্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে টাকা উপার্যনের জন্য বিজ্ঞাপনের সিস্টেম আছে। এগুলো পপ আপ অ্যাড নামে পরিচিত। আপনি একটা অ্যাপস ওপেন করে বসে থাকতে হলো পপ আপ অ্যাড এর জন্য। যেখানে ক্লিক করলে আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য কোন পেজ এ, ডাটা খরচ বাড়বে, আর এতে আপনার ইন্টারনেট খরচ বাড়বে। এই ধরনের অ্যাড বন্ধ করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপস আছে, কিন্তু রুট করাটাই বোধহয় সর্বোত্তম এই কাজের জন্য।
পৌছে যান এন্ড্রয়েড এর কোনায় কোনায়ঃ কিছু মানুষ থাকে যারা একটা ফোন হাতে নিয়ে তার নাড়ি নক্ষত্র নিয়ে গবেষনা শুরু করে দেয়। আপনি যদি এই ঘরানার লোক হয়, তবে আপনার জন্যই রুট করার অপশনটি তৈরী হয়েছে। আপনি রুট করলে আপনার কি বোর্ডের লে-আউট পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে, আমনকি নতুন করে কিবোর্ড ম্যানেজার ফাংশন যোগ হয়ে যেতে পারে। অথবা আপনার ফোনের স্ক্রলিংএর স্পীড বেড়ে যাতে পারে, আপনার ফোনের মাল্টিটাস্কিং ফাংশন হয়ে উঠতে পারে আরো আরো কার্যকর।
ফ্ল্যাশ করুন কাস্টোম কার্নেলঃ এন্ড্রয়েড এর এমন কিছু কাজ আছে যা আপনি কাস্টম কার্নেল ছাড়া করতে পারবেন না, যা আপনি শুধু মাত্র পাবেন আপনার ফোনটি রুট করার পর। কারন রুট করার সময় আপনাকে আপনার কাস্টম কার্নেলকে ফ্ল্যাশ করে কাজ করতে হবে। এই কার্নেল আপনার ফোনের অ্যাপস এবং হার্ডোয়্যারের মাঝে যোগাযোগ করিয়ে দেয়, আপনার কার্নেলের উন্নতি বা আপগ্রেড হলে আপনার ফোনের কার্যক্ষমতা বেড়ে যাবে আগের চেয়ে বেশি।
সর্বোচ্চ ব্যাকআপঃ অনেক অ্যাপস আছে যেগুলো আপনার প্রয়োজনীয় ডাটাগুলোর কিঞ্চিত ব্যাকআপ নিতে পারে। যখন আপনি আপনার ফোনটি রুট করবেন তখন আপনি আরো আরো বেশি গভীরে যেতে পারবেন আপনার ফোনের ডাটাগুলোর, নিতে পারবেন একেবারে কোনা ঘুপচিতে লুকিয়ে থাকা সর্বশেষ ডাটাগুলো। এমনকি আপনি আপনার অ্যাপস এর রানিং ডাটা, এমনকি আপনার গেমসগুলোর ডাটার আপনি ব্যাকআপ নিতে পারবেন।
নতুন অপারেটিং সিস্টেমঃ এন্ড্রয়েড এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম যার কিছুদিন পরপরই নিয়মিত আপগ্রেড আসে। নতুন করে আপগ্রেড নতুন নতুন দুয়ার খুলে দেয় ব্যাবহারকারীর সামনে। এই নতুন নতুন আপগ্রেড আপনি পেতে পারেন একমাত্র আপনার ফোনটি রুট করার মাধ্যমে।
সর্বোচ্চ কাস্টোমাইজেশনঃ আপনি নিশ্চয় এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম চান যেখানে আপনার মনমত আপনি আপনার প্রয়োজনমত সাজিয়ে নিতে পারবেন। এই সুবিধা আপনি পাবেন শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড এ। আপনি আপনার পছন্দমত কাস্টম রম সেটআপ করুন ফোনটি রুট করার সময় আপনার ফোনের এহারাই বদলে যাবে। আপনি এমন কিছুই পছন্দ করতে পারেন যা আপনার ফোঙ্কে এমনভাবে বদলে দেবে যে আপনার ফোন যে এন্ড্রয়েড তা কেউ দেখে বুঝবেই না। আপনার লক স্ক্রীন থেকে শুরু করে আইকন, বা নোটিফিকেশন বার সহ বদলে যাবে আমূল।
তো আর দেরি কেনো। বুকে সাহস নিয়ে রুট করে ফেলুন আপনার ফোনটি। আপনার সীমাবদ্ধতার সীমা অই দুরের আকাশ।
সবাই ভালো থাকবেন। শুভ কামনা সকলের জন্য।
সংগ্রহআমার ড্রয়েড
আমি দীপ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জেনে অনেক জ্ঞান পেলাম।