আমি অনেক দিন পর ব্যাক করলাম।
ভাবছি Android Web App সম্পর্কে লিখব।
Web App কি?
Web App টা এমন একটা app যা ওয়েব ব্রাউজারের ক্লাইন্ট হিসাবে প্রদর্শন করে। অর্থাৎ ওয়েব ল্যাংগুয়েজ দ্বারা তৈরী কোন ওয়েব পেজকে ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রদর্শন করা। আমারা তো সকলেই মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহার করি। কিন্তু আমারা কি জানি ফেসবুক একটা web base app.
Web App এর সুবিধে এবং অসুবিধে কি কি?
Web app এর সব থেকে বড় সমস্যা হল এটি অনেক ধির গতিতে কাজ করে। কারণ web app ব্রাউজার নির্ভরশীল। তাই স্বাভাবিক ভাবেই নেটিভ ল্যাংগুয়েজ থেকে স্লো।
তবে এটার বেশ কিছু সুবিধাও আছে। ধরুন আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে এবং আপনি সাইটের জন্য app করতে চান। যেমন বলতে পারি, Android, Apple, Blackberry, Windows Phone প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা কোড, আলাদা প্লাটফর্ম। সত্যিই বেশ কঠিন সবগুলোর জন্য একটা app করা। কিন্তু ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন আপনাকে সেই কঠ কাজকে সহজ করে দিবে। আমরা যেমন ওয়েবে কোড লিখে। ঠিক সেই কোড দিয়ে web app করা যায়। এক কোড কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফর্ম। আর তাই দিনদিন web app এর চাহিদা বাড়ছে।
Android এখন সবথেকে দ্রুত এবং উন্নয়নশীল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, আমারা তা সকলেই জানি। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপড করতে জাভা জানতে হয়। করণ অ্যান্ড্রয়েড এ জাভা সিন্টেক্স ব্যবহার করা হয়েছে।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যারা ওয়েব ডেভেলোপার, তারা কি বসে থাকবো, না কি জাভা শিখে তারপর অ্যান্ড্রয়েড শিখব? আর এগুলো সব শিখতে অনেক সময়ে প্রয়োজন। আমরা কেন পিছিয়ে পরে থাকবো। প্রযুক্তিতে সীমাবদ্ধতা বলে কিছু নেই। যেখানে শেষ আবার সেখান থেকেই শুরু।
আমাদের জন্য একটা সুখবর হল, অ্যান্ড্রয়েড web app সাপোর্ট করে। এটা একটা ঝামেলার কাজ। তবে এইসব ঝামেলা এড়াতে কিছু ফ্রেমওয়ার্ক বের হয়েছে। যেগুলোর বেশ ভাগই ওপেন সোর্স এবং ফ্রি।
আগামি পর্বে আমি সেইসব ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে লিখব।
ধন্যবাদ সবাইকে।
২য় পর্ব মোবাইল ওয়েব আপ্লিকেশন (২য় পর্ব) – টপ ৫টা HTML5 ফ্রেমওয়ার্ক
আমি Alex। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 5 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Nice Post, W8ng for your next post 🙂