কেমন আছেন সবাই? ভালো আছেন জানা সত্তেও ফরমালিটি পূরন করার জন্য জিজ্ঞেস করলাম 😛 আমিও ভালো আছি এখন। স্মার্টফোন ব্যাবহার করে আগের থেকে অনেক স্মার্ট হয়ে গেছি 😀
আজকে আপনাদের খুবই মজার একটা সফটওয়্যার শেয়ার করবো, অনেকেই হয়ত FL Studio চেনেন বা আগে নাম শুনেছেন কেউ কেউ আবার এক্সপার্ট। এই সফটওয়্যারটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্যও আছে, যারা সফটওয়্যারটি চেনেন না তাদের জন্য কিছু বেসিক বর্ণনা আমি দিয়ে দিচ্ছি।
FL Studio হল Image Line কোম্পানি এর একটি মিউজিক ম্যাকের সফটওয়্যার। এটা দিয়ে প্রফেশনালদের মতো মিউজিক বানানো যায়। গান ভালোবাসে না এমন মানুষ একটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। গানের সাথে যে সব মিউজিক বাজে সেগুলো কিভাবে হয় তা হয়ত অনেকের জ্ঞানের সীমানার বাইরে। এমন কিছ শব্দ আপনারা শুনবেন যার বাদ্যের নাম আপনি জানেন না। FL Studio তে সব ধরনের বাদ্য যন্ত্রের প্রত্যেকটা নোট দেওয়া আছে, আপনার কাজ হল সেগুলোকে জায়গা মতো বসানো।
নিচের স্ক্রীন শট দেখুন আর বর্ণনাটা পড়ুন তাহলেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে Instruments ট্যাবে ক্লিক করা আছে এবং নিচে সব Instrument এর লিস্ট আছে গীটার, ড্রাম থেকে শুরু করে সব Instrument এর নাম আছে। আপনার পছন্দ মতো এটা Instrument সিলেক্ট করে উপরের Tracks ট্যাবে ক্লিক করলে নিচের ছবির মতো আসবে।
আমি ড্রাম সিলেক্ট করেছিলাম তাই এখানে ড্রাম এর কিছু নোট আছে, ছবিটির বাম পাশের লাইনে Kick, HitHat 1, Snare 1, Zip এগুলো হল এক একটা ড্রামের নোট। মানে হল ড্রামের নিচে পায়ে যেটাতে লাথি দিতে হয় সেটা হল Kick এই লিস্টে আরো অনেক নোট আছে যেগুলো নামে ক্লিক করে চেঞ্জ করা যাবে অথবা প্লাস চিহ্নতে ক্লিক করে অ্যাড করা যাবে। মাঝে যেই প্যাড গুলো দেখতে পারছেন তার মধ্যে কয়েকটা জ্বলছে, এর মানে হল এই নোট গুলো প্লে বাটনে ক্লিক করলে একসাথে বাজবে।
এখন এখানে শুধু ড্রাম হল, ড্রামের সাথে যদি পিয়ানো বাজাতে চান তাহলে উপরে Instruments থেকে পিয়ানো সিলেক্ট করুন এবং Tracks এ ডাবল ক্লিক করুন এবার নিচের ছবির মতো আসবে। তবে আপনারটা ফাঁকা থাকবে এবং দুইটা লাইন থাকবে।
প্রথম লাইনে আপনি একটু আগে যে ড্রাম বাজিয়েছেন তা থাকবে, এবার দ্বিতীয় লাইনে ক্লিক করুন দেখবেন পিয়ানো রোল ওপেন হয়েছে, উখানে ইচ্ছামত পিয়ানো নোট ড্র করুন। এভাবে যত খুশি Instrument অ্যাড করতে পারবেন।
উপরে ড্রাম প্যাড নামের একটা অপশন আছে, সেটাতে ক্লিক করলে এমন একটা ড্রাম প্যাড আসবে। এগুলুতে টাচ করলেই বাজবে, আপনার ইচ্ছা মতো একের পর এক টাচ করে সুন্দর মিউজিক বানাতে পারবেন।
Effects এ ক্লিক করলে বিভিন্ন Effect অ্যাড করতে পারবেন, উদাহরন স্বরূপ Eco বা Delay, Chorus ইফেক্ট ইত্যাদি।
আপনি ইচ্ছা করলে নিজের গান রেকর্ড করে সেই মিউজিকএর সাথে জুড়ে দিতে পারবেন পরে MP3 ফাইল আকারে বের ও করতে পারবেন।
সফটওয়্যারটির সাইজ ২১২ MB, আমি গ্যারেনটি দিয়ে বলতে পারি ২১২ MB জলে যাবে না।
FL Studio Data/Cache file Download Link
ইন্সটলের নিয়মঃ
১। প্রথমে APK ফাইল টা ডাউনলোড করে Zip Extract করে দেখুন ২ টা APK ফাইল আছে, যেকোনো একটা ইন্সটল দিন, কাজ না করলে আরেকটা ইন্সটল দেবেন।
২। Data ফাইল ডাউনলোড করে Extract করুন, com.imageline.FLM নামে এটা ফাইল পাবেন।
৩। এবার এই পুরা ফাইলটা কপি করে SD Card/Android/Obb ফোল্ডারে Past করুন। (Obb ফোল্ডার না থাকলে বানিয়ে নিন)
৪। এবার মেনু থেকে FL Studio রান করান, হয়ে গেলো।
এক পলকে ভালবেসে ফেলেছি তোকে by তউসিফ।
মাহাদির "সুনীল বরুনা" আমার কণ্ঠে SoundCloud লিঙ্ক (Karaoke এর সাথে FL Studio 11 দিয়ে Compose করা)
মিনারের "সাদা" আমার কণ্ঠে SoundCloud লিঙ্ক (Karaoke এর সাথে FL Studio 11 দিয়ে Compose করা)
ভুল আমি সব জায়গায় করি কারন আমি মানুষ, তাই ক্ষমা করলে খুশি হব, আর লিঙ্ক ডেড হলে কিংবা FL Studio সম্পর্কে যেকোনো সাহায্যের জন্য মন্তব্য করুন অথবা আমার ফেসবুকে যোগাযোগ করুন।
সময় পেলে ঘুরে আসবেন আমার ব্লগে।
দোয়া করবেন যেন পরের টিউন করা পর্যন্ত যেন বেঁচে থাকি 😀 টা টা...........................
আমি সোহাগ মিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 82 টি টিউন ও 694 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 32 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমার নাম সোহাগ। টেকনোলজির প্রতি চরম আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও পড়েছি বিজনেস নিয়ে। একটু একটু গাইতেও পারি, মাঝে মাঝে গীটার বাজাই। এক কথায়, টেকনোলজির সাথে প্রেম করি আর গানকে বিয়ে করেছি :D । আমার ইউটিউব চ্যানেল। আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমার ব্লগে। আমার গাওয়া গানগুলো শুনতে ভিসিট করুন: গানের ইউটিউব...
@AfiA Multifarious Biz: ভাই আপনার সমস্যা হেল্প ডেস্ক বা টিটি এর ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেন।