আপনার মাথায় কি স্মার্টফোন নামে ঘুন পোকা আছে? যা আপনার ক্ষতি করছে।

স্মার্টফোনে সারাদিন পড়ে থাকতে আমার ভালো লাগে। প্রয়োজন থাকুক আর নাই থাকুক প্রতিদিন প্রচুর সময় আমি স্মার্টফোন নিয়ে গুতাগুতি করে কাটিয়ে দেই। সময়টা কাজে লাগালাম নাকি নষ্ট করলাম চিন্তা করিনা। বস্তুতপক্ষে আমরা অনেক মূল্যবান সময় অপচয় করি। নিজেদের এবং অন্যের ক্ষতি করি। স্মার্টফোনের জাদুতে বিমোহিত হয়ে আমরা নিরবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। দোষটা আমাদের। আমরা সচেতন না। আমরা সচেতন ভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করিনা।

আমি রাস্তায় হাটতে হাটতে, বাসে দাঁড়িয়ে, অফিসের চেয়ারে বসে, খাবার খেতে খেতে, রাতে শুয়ে শুয়ে, এমনকি টয়লেটের কমোডে বসেও স্মার্টফোন ব্যবহার করি।

ছিঃ ছিঃ ছিঃ আমি এত খারাপ!!!

নেশায় বুদ হয়ে গেছি, সারাদিন ইন্টারনেটে পড়ে থাকা, ফেসবুক,গেম, apps ঘাটাঘাটি, গান শোনা ইত্যাদি করে কাটিয়ে দিচ্ছি। আমার বউ-এর কাছে আমার ফোনটা সতিনের মত। সতিনের ঘরে শান্তি থাকেনা। অফিসে মনোযোগের অভাবে পারফর্মেন্স কমে গেছে। এ জন্য বসের কথা শুনতে হয়।

সুতরাং আমি কেমন আছি বুঝতেই পারছেন।

গত ৮/৩/১৩ bdnews24.com এর প্রযুক্তি পাতায় স্মার্টফোনের সাত সংকট শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। যাতে স্মার্টফোনের সাতটি সংকট তুলে আনা হয়েছে।

আমি সাতটি সংকট নিয়ে আলোচনা করতে চাইনা। আমি আলোচনা করতে চাই আমি কিভাবে আমার ক্ষতিটা লাভে রুপান্তর করতে করলাম।

১. অফিসে যাওয়ার পথে বাসে সিট পেলে নিউজ পেপারের অনলাইন ভার্সনে চোখ বুলাই। ফেসবুকের নোটিফিকেশন, নিউজ ফীড দেখি।

২. অফিসে লাঞ্চের পর দশ মিনিট বাসায় পরিবারের সাথে স্কাইপি করি। অফিসে অপ্রয়োজনে স্মার্টফোন ঘাটাঘাটি না করার চেষ্টা করি।

৩. বিকেলে বাসায় ফেরার পথে বাসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট দেই, নিউজ ফীডে কমেন্ট করি।

৪. বাসায় ফিরে আর ফোনে হাত দেইনা, রাতে ঘুমাবার আগে শুধু আধা ঘন্টা ধুমছে স্মার্টফোন ব্যবহার করি, যা করার জন্য সারাদিন হাত নিসপিস করছিল।

এই হচ্ছে আমার স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রাত্যাহিক রুটিন।

আপনার সমস্যা হয়তো আমার মত না। কিন্তু সময় অপচয় করার সমস্যা অনেকেরই আছে।

স্মার্টফোনে আপনি প্রতিদিন কতটুকু সময় দিবেন সেটা আগেই পরিকল্পনা করুন। সেটা হতে পারে দুই ঘন্টা থেকে চার ঘন্টা, আপনার প্রয়োজন মত। একটা প্রাত্যাহিক রুটিনের মত। রুটিনটা আপনার মাথায় রাখুন সে অনুযায়ী কাজ করুন।  তা না হলে পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। এর মূল কারন আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে করতে অস্থির, অধৈর্য্য, অসহিঞ্চু, খিটখিটে স্বভাবের হয়ে পড়ছেন। আপনার অতি মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।

সময়টাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করবেন এই শুভ কামনায় আজকে এটুকুই।

আমার আরো দুটি লেখাঃ

১. স্মার্টফোন কেনার পুর্বে ১০ টা ফিচার নিশ্চিত হয়ে কিনুন। https://www.techtunes.io/android/tune-id/185193

২.SYMPHONY WALTON এর মত দেশি অ্যান্ড্রয়েড ব্র্যান্ডগুলো ১00% এর চেয়েও বেশি কমদামে পাওয়া যাচ্ছে।  https://www.techtunes.io/android/tune-id/185406

 

Level 0

আমি মোহাম্মদ মাহ্‌ফুজুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 36 টি টিউন ও 215 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ভাই আমার ও একই অবস্থা|১০ দিন পর exam কিন্তু …..

ভাই আপনি তো দেখছি স্মার্টফোন বিশেষজ্ঞ।Lol 😛

Level 0

wimax service provider এর টেকনিশিয়ানরা বাসায় যেয়ে signal strength test করে। আপনি আপনার বাসায় Banglalion, Qubee, OLLO টেকনিশিয়ান ডেকে সিগন্যাল টেস্ট করতে পারেন। কোন টাকা লাগবেনা। যেটার সিগন্যাল ভালো পাবেন সেটাই নিবেন।

Level 0

@Rasel ভাই- কিভাবে ডেকে আনতে হবে তাদের ?

অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুব ভাল লেগেছে আপনার কথা গুলো……। আসলে জীবনের জন্যে স্মার্টফোন………স্মার্টফোনের জন্যে জীবন নয়। অন্য ভাবেও বলা যায় ‘কোনকিছু’র জন্যে জীবন নয়…… জীবনের জন্যেই সব কিছু।

khota gulo valoi bolechen….

Nice Tune