প্রেম মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই যুগে যুগে রচিত হয়েছে সহস্র প্রেমের উপাখ্যান। কেউ প্রেমে পড়ে কষ্ট পায়; কেউ পায় সুখ।
নারী-পুরুষ সবার জীবনেই কোন না কোন সময় প্রেম আসে। কেউ কেউ তা বুঝতে পারে। আবার অনেকেই বুঝতে পারে না।
সুতরাং, সবার জীবনেই প্রেম ও ভালবাসার কোন না কোন গল্প থাকে। আর মানুষ তার নিজ জীবনের গল্পের চেয়ে অন্যের গল্পই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু অন্যদের প্রেমের গল্প অধিকাংশই আমাদের অজানা থাকে।
তাই WikiReZon টীম আবেগ মাখা এমন অনেক অদ্ভুত প্রেমের গল্প নিয়ে এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে।
শোয়া বা বসা থেকে উঠার সময় হঠাৎ মাথা ঘুরে গেল। বয়সকালে এভাবে মাথা ঘুরে যাওয়াটা একটি সাধারণ ঘটনা। তবে অন্য কোন অঙ্গ হলে এক কথা ছিল। কিন্তু এ যে মাথার ব্যাপার! মাথা ঘুরালে যে দুনিয়াটাই ঘুরতে থাকে। তাই খুব অল্প সময়ের জন্য মাথা ঘুরালেও দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না।
মাথা ঘুরালে পরে মাথায় ঢুকে আরেক টেনশন। নাম তার রক্তচাপ। অবশ্য রক্তচাপ শব্দটির চেয়ে ‘প্রেশার’ শব্দটিই আমাদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। হ্যাঁ, এ বয়সে কারো মাথা ঘুরালে প্রেশার বা রক্তচাপের কথাই প্রথমে মনে আসে। অবশ্য প্রেশার আজকাল আর বয়সের ফ্রেমে আবদ্ধ নয়।
যাই হোক, এখন আপনার যদি এই সমস্যাকে গুরুতর মনে হয় তাহলে হয়তো খুঁজে দেখবেন যে হাতের কাছেই কোন ডাক্তার বা কম্পাউন্ডার আছে কিনা রক্তচাপ মাপার জন্য।
কিন্তু এই রক্তচাপ মাপা নিয়ে আরেক সমস্যার শুরু হয়। রক্তচাপ মাপার যন্ত্র বেশ সস্তা আর মাপার কৌশল খুব একটা জটিল নয় বলে নিজের তাগিদে রক্তচাপ মাপতে অনেকেই এগিয়ে আসেন। মাপতে হয়তো অনেকেই পারেন। কিন্তু নির্ভুলভাবে মাপার কৌশল জানা লোকের সংখ্যা বেশ কম।
নির্ভুলভাবে প্রেশার মাপা অতি আবশ্যক। কারণ প্রেশার মাপায় ভুল হলে একজন রোগী যে হয়তো প্রেশারের ওষুধ খাচ্ছে, সে হয়তো প্রেশার কম মনে করে ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিতে পারে। হাতের কাছে রক্তচাপ মাপার বিশেষজ্ঞ না থাকলে তাই বিশাল সমস্যা।
সমস্যা আরও আছে। আপনি হয়তো কোন ওষুধের দোকানে প্রেশার মাপতে গেলেন। সেখানে গিয়ে প্রেশার মাপলেন ১৩০ আর ৮০। আবার আরেক দোকানে মেপে বলল প্রেশার ১১৫ আর ৭৫। এই যে মাপার পার্থক্য এটা মাপার ভুলের কারণেই হয়ে থাকে। এ ধরণের ভুল আপনার প্রেশার সমস্যাকে ক্ষেত্রবিশেষে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
একজন দক্ষ কম্পাউন্ডারও একবার রক্তচাপ মেপেই নিশ্চিত হতে পারেন না। একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারও অস্বাভাবিক রক্তচাপ খেয়াল করলে একাধিকবার মেপেই নিশ্চিত হন। অর্থাৎ, রক্তচাপ মাপা মোটামুটি সহজ হলেও নির্ভুলভাবে এটা মাপার জন্য বিশেষ কৌশল ও সতর্কতা অবলম্বন করা বাধ্যতামূলক।
রক্তচাপ বলতে উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপ উভয়কেই বোঝায়। উচ্চ রক্তচাপকে সাধারণত হাই ব্লাড প্রেশার বা হাই প্রেসার বলা হয়। অন্যদিকে নিম্ন রক্তচাপকে লো ব্লাড প্রেশার বা লো প্রেসার বলা হয়।
স্লিম হতে চাই! চিকন হতে চাই! ওজন কমাতে চাই! মনে এই সুপ্ত বাসনা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। মোটা শরীরই এর মূল কারণ।
মোটা দেহ ও ভুড়ি সমস্যার জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাস দায়ী। শরীরে অর্জিত ক্যালরি খরচ না হওয়াই এর কারণ। আর শরীর চর্চা বিমুখতা তো রয়েছেই।
বাঙালি হিসেবে আমাদের খাদ্য তালিকায় ভাত থাকবেই। কিন্তু আমরা যেই পরিমাণ ভাত খাই, সেই মাত্রায় পরিশ্রম করি না। ফলে আমাদের শরীরে যা ক্যালরি জমা হয়, তা খরচ হতে পারে না।
স্কুল-কলেজ, ভার্সিটিগামী ছেলে-মেয়েদের কাছে টিফিন হিসেবে ফাস্ট ফুড ব্যাপক জনপ্রিয়। প্রচুর পরিমাণে সফট ড্রিংকস খাওয়াও মোটা হওয়ার জন্য দায়ী। কেক দেখলে খেতে কার না মন চায়। কিন্তু নিজেকে প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে শরীরে অনাবশ্যক ওজন বাড়বে, যা কখনোই সুখকর নয়।
চাকরিজীবিদের অনেকেই লাঞ্চ আইটেম হিসেবে বিরিয়ানী ছাড়া কিছু বোঝেন না। এগুলোও মোটা হওয়ার জন্য দায়ী। তবে শুধু খাওয়াটাই সমস্যা নয়। খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ব্যায়াম ও শরীর চর্চা করলেই হয়।
বাচ্চাদের মোটা হওয়ার পিছনে বাবা-মায়ের অসচেতনতা অনেকাংশে দায়ী। মোটা-সোটা শিশু বাচ্চাকে অনেকেই নাদুস-নুদুস বলে এই সিরিয়াস বিষয়টি প্রায়ই এড়িয়ে যান।
স্লিম শরীর দেখতে সুন্দর। কিন্তু স্লিম হওয়ার জন্য চাই পরিমিত আহার, শরীর চর্চা ও প্রচুর ধৈর্য। তাই চিকন হওয়া বা ওজন কমানো বা স্বাস্থ্য কমানোর সহজ উপায় নিয়ে WikiReZon টীম এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে।
ওজন বাড়াতে চাই! স্বাস্থ্য বাড়াতে চাই!! মোটা হতে চাই!!। কী, অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন যেখানে বিশ্ব জুড়ে সবাই শুধু স্লিম হতে চায়, সেখানে আবার মোটা হতে চায় কে?
আসলে কিছুটা মোটা হতে চাওয়া অস্বাভাবিক নয়। কারণ অত্যধিক মোটা শরীর যেমন দেখতে অসুন্দর, তেমনি অধিক চিকন, ফিনফিনে, রোগা-পাতলা শরীরও দেখতে ভালো লাগে না।
তাই যার শরীর বেশ চিকন ও রোগাটে, তার মোটা হতে চাওয়াই স্বাভাবিক নয় কি? কারণ বেশি শুকনা শরীর দেখতে মানানসই নয়। আবার একটু লম্বা ছেলের শরীর চিকন হলে তো দেখতে আরো বেমানান লাগে। সুতরাং স্লিম শরীর সবার স্বপ্ন হলেও বেশি চিকন শরীর কারোই কাম্য নয়।
প্রকৃতপক্ষে বেশি মোটা বা বেশি চিকন, কোনটাই ভাল নয়; উভয়ের মাঝামাঝি একটি সুঠাম দেহই কল্যাণকর।
মোটা থেকে চিকন হওয়ার জন্য যেমন বাড়তি শারীরিক চর্চা ও শৃংখলা মেনে চলতে হয়, ঠিক তেমনি মোটা হতে হলে বা ওজন বাড়াতে হলেও চাই বাড়তি যত্ন ও নিয়ম-শৃংখলা।
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে, রুটিনমাফিক জীবন যাপন করলে ও রাতের ঘুম ঠিক রাখলে আশা করা যায় আপনি দ্রুত স্বাস্থ্য মোটা করতে বা ওজন বাড়াতে পারবেন।
তবে শুধু খেলেই চলবে না। খাওয়ার সময় আরো একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে যা খাওয়া হচ্ছে, সেই খাদ্যে যেন রুচি থাকে। অরুচি নিয়ে আপনি যত খাবারই খান না কেন, তার পুষ্টিগুণ আপনার শরীরে সেভাবে কাজ নাও করতে পারে। খাবারে মজা পেতে হবে। খাবারকে মন দিয়ে উপভোগ করতে হবে। অন্য কোন কাজের ফাঁকে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না। বরং আলাদা সময় নিয়ে মন ভরে, পেট ভরে খেতে হবে।
অনেককেই দেখবেন, প্রচুর খাওয়া-দাওয়া করে। কিন্তু কোন স্বাস্থ্য বাড়ে না। এতোসব খাবার যে কোথায় যায়? এর কারণ হতে পারে যে তারা বেশি খেলেও খাওয়ার সময় খাবারের প্রতি মনোযোগ থাকে না। অথবা সেই খাবারে তার অরুচি রয়েছে, শুধু ক্ষুধা মেটানোর জন্যই খায়। অথবা শুধু খাবারই বেশী খায়, কিন্তু অন্যান্য নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলে না। রাতে ঠিক সময়ে ঘুমায় না। রাতে ঘুম ঠিক না হলে আপনার শরীর ক্যালরি ধরে রাখতে পারবে না। সেক্ষেত্রে আপনার মোটা হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
অনেকে মনে করে ব্যায়াম শুধু তাদের জন্য যারা ওজন কমাতে যায়। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। যারা স্বাস্থ্য কমাতে চায় তাদের চেয়ে স্বাস্থ্য বাড়াতে চাওয়া লোকের ব্যায়াম করার প্রয়োজনীয়তা মোটেও কম নয়। তাই ওজন বাড়াতে চাইলেও প্রচুর ব্যায়াম করতে হবে।
মোটা হওয়ার উপায় হিসেবে ওজন বাড়ানোর জন্য জিমে যাওয়ার বিকল্প নেই। তবে মোটা হতে চাইলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ট্রেইনারের নির্দেশনা মাফিক ব্যায়াম করতে হবে।
ব্যায়াম করলে প্রচুর ক্ষুধা লাগে। এতে খাওয়ার চাহিদা বাড়বে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য খেতে হবে। শরীর চর্চা করলে প্রচুর পানির পিপাসাও লাগে। সুতরাং ব্যায়ামের ফলে বেশি বেশি পানি খাওয়ার চাহিদাও সৃষ্টি হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে টেনশন বা দুশ্চিন্তাও অনেকাংশে কমে যায়। আর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে পারলে শরীর-স্বাস্থ্য এমনিতেই ভালো থাকে। প্রয়োজন মতো এনার্জি ফুড খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ফল খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। এছাড়াও ফলের রস, জ্যাম, জেলি ইত্যাদিতে প্রচুর ফ্যাট থাকে যা আপনার শরীরকে মোটা হতে সাহায্য করবে।
তবে শুধু মোটা হলেই চলবে না। মোটা হবার সাথে সাথে সুগঠিত শরীরও গঠন করতে হবে। এইসব কিছু করার জন্য আপনাকে একটি সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করত হবে।
তাই মোটা হওয়া বা ওজন বাড়ানো বা স্বাস্থ্য বাড়ানোর সহজ উপায় নিয়ে WikiReZon টীম এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে।
হঠাৎ খেয়াল করলেন আপনার প্রচুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে অথবা বুকে খুব চাপ অনুভূত হচ্ছে। এমন অবস্থায় বুঝতে হবে হয়তো আপনার হাঁপানি রোগ রয়েছে। ধুলা-বালি সহ অন্যান্য যে কোন কিছুর প্রতি তীব্র অ্যালার্জি থেকে এ রোগ হতে পারে।
এজমা বা হাপানি হলো ফুসফুসের রোগ, যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসে খুব কষ্ট হয়। তাই একে শ্বাসকষ্ট রোগও বলা যায়।
হাঁপানির জন্য কোন নির্দিষ্ট কারণকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। পরিবেশগত কারণে হাঁপানি হতে পারে। বংশে কারো হাঁপানি থাকলেও এ রোগ দেখা দিতে পারে। সাধারণত নির্দিষ্ট কোন বয়সে এ রোগ দেখা দেয় না। এটি কোন সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগও নয়।
নির্দিষ্ট কিছু পেশা যেখানে ধুলা-বালি ও প্রচুর ধোঁয়ার সম্মুখীন হতে হয়, সেখানে যারা কাজ করে, তাদের অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। রান্নাঘরে রান্নার তীব্র ঝাঁঝের ফলে গৃহিণীরা অ্যাজমায় আক্রান্ত হতে পারে। কিছু বিশেষ ওষুধ এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে হাঁপানি হতে পারে। প্রচুর মানসিক চাপে থাকলেও হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ সুগন্ধি ও মশার কয়েলের গন্ধেও হাঁপানি হতে পারে।
নিয়ন্ত্রণে রাখাই হচ্ছে এজমা বা হাঁপানির সবচেয়ে বড় চিকিৎসা। অ্যাজমা প্রতিরোধের জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এ ধরণের রোগীদের খাবার-দাবার ও চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ থাকাই উত্তম।
হাঁপানির কষ্ট উপশম করার বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। এ ধরণের রোগীদের মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা প্রয়োজন। বেশি ভারি কাজ না করাই ভালো। শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকে। অ্যাজমা রোগীদের প্রয়োজনে ইনহেলার ব্যবহার করা উচিৎ। সময়মত ওষুধ না নেওয়া হলে এ রোগ আরো জটিল হয়ে যায়। অনেক দীর্ঘ সময় ধরে অ্যাজমা বা হাঁপানি থাকলে তা হৃৎপিণ্ডকে আক্রান্ত করতে পারে। তাই অতি মাত্রায় এ রোগ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
হাঁপানি, অ্যাজমা (এজমা) বা শ্বাসকষ্ট সমস্যায় করণীয় নিয়ে WikiReZon টীম এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে।
জ্বর-ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা ইত্যাদি কারণে কম-বেশি সকলেরই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম ও ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে আজকাল গ্যাস্ট্রিক খুব কমন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরীর চর্চায় অনীহা আমাদের রোগবৃদ্ধির আরও একটি কারণ। তার উপর রয়েছে পরিবেশ দূষণ। এগুলোর ফলে প্রতিনিয়তই আমরা কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
অসুস্থ হলে ডাক্তারের সাথে কনসাল্ট করে ঔষধ কিনে খাওয়ার পরেও অনেক সময় কাজ হয় না। আমরা অনেকেই তখন ডাক্তারের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলি। কিন্তু এমনও হতে পারে যে কেনা ওষুধেই কোন সমস্য ছিল। হতে পারে ওষুধের মেয়াদ ছিল না, হতে পারে ওষুধের ডোজ কম-বেশি হয়েছে কিংবা হতে পারে ভুল গ্রুপ এর ওষুধ কেনা হয়েছে ইত্যাদি। অনেক সময় ভুল নিয়মে ওষুধ সেবনের ফলে মারাত্মক কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
তাই ওষুধ ক্রয় ও সেবনের সময় কী কী সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার তা জানা অতি আবশ্যক।
আজকাল প্রায় সব বয়সের মানুষের মধ্যেই প্রেসার সমস্যা দেখা যায়। একটা সময় ছিল যখন মনে করা হতো ডায়াবেটিস শুধু বড়দের রোগ। কিন্তু আজকাল বালক ও কিশোর বয়সেও ডায়াবেটিস রোগ ধরা পড়ে। রোগ ও অসুস্থতার সাথে পাল্লা দিয়ে তাই ওষুধ খাওয়া মানুষের সংখ্যাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
অতএব ঔষধ যেহেতু খেতেই হবে তার ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। নানা রকম গ্রুপের ওষুধ এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে কম-বেশি সকলেরই সাধারণ জ্ঞান থাকা জরুরি।
ওষুধ কি খাবারের আগে খেতে হবে না পরে- এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। নির্দিষ্ট কোন ওষুধে অ্যালার্জি থাকলে কী করতে হবে সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অনেক জরুরি। ওষুধটি সাধারণভাবে সংরক্ষণ করলেই চলবে নাকি রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে হবে-এটিও খুব লক্ষণীয় একটি বিষয়।
অ্যান্টিবায়োটিকের পরে কোন খাবারগুলো খুবই ক্ষতিকর- সে জ্ঞান না থাকলে মহাবিপদ! ঘুমের ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলো কী কী সেগুলোও সাথে জানতে হবে। শিশুদের ঔষধ কেনার বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের কোন ওষুধে ভুল হলে তা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে কারণ শিশুদের সব কিছুই অনেক বেশি সেনসিটিভ।
দুর্বল লাগলেই ভিটামিন, ব্যথা হলেই পেইনকিলার ইত্যাদি ওষুধ যখন তখন কিনে খেয়ে ফেলা যাবে না। এগুলো অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
ঔষধ খাওয়ার নিয়ম ও পূর্বসতর্কতা সম্পর্কিত ধারণার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে WikiReZon টীম এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে। এ অ্যাপের উদ্দেশ্য হচ্ছে ওষুধ ক্রয় ও সেবনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিৎ সেগুলো সম্পর্কে সচেতন করা।
আমি সোহাগ হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 61 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 11 টিউনারকে ফলো করি।