ফলে ভেজাল! মাংসে ভেজাল! দুধে ভেজাল! মাছে ভেজাল! শাক-সবজিতেও ভেজাল! চারিদিকে শুধু ভেজালের বেড়াজাল। আর এই বেড়াজালে আটকা পড়েছে শহর-নগর, পথ-প্রান্তর, গ্রাম-গঞ্জ তথা সমগ্র দেশের মানুষ।
খাদ্যে সাধারণত ফরমালিন, কার্বাইড, কাপড়ের রঙ, ইউরিয়া সার ইত্যাদি রাসায়নিক দ্রব্য মিশানো হয়। এসব দ্রব্যমিশ্রিত খাদ্য ও ফল-মূল মানব দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। মানুষের কিডনি, হার্ট ইত্যাদির জন্য এরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
ভেজাল খাবারের ব্যবসায়ীদের কাছে গোটা দেশটাই যেন জিম্মি হয়ে পড়েছে। সহসাই এ সমস্যার সমাধান করা সহজ নয়। এর জন্য ব্যাপক জন-সচেতনতা ও আইনের প্রয়োগ দরকার। আর সব কিছুর পাশাপাশি ভেজাল খাবার চিনতে পারাও প্রয়োজন। কোনটি ভেজালযুক্ত আর কোনটি ভেজালমুক্ত এটা জানতে না পারলে খাদ্যে ভেজালের পিছনে যারা মূল অপরাধী তাদেরকে শনাক্ত করা যাবে না।
ভেজাল খাবারে পুরো বাজার ছেয়ে গেছে। কাজেই ফ্রেশ খাবার কোথায় পাওয়া যায় সেটা জানতে হবে। এর সাথে সাথে ফ্রেশ বা তাজা খাবারটি চিনতে হবে। তবে এতসব ভেজাল খাবারের ভিড়ে তাজা ও ভেজালমুক্ত খাবারটি চিনে নেওয়া এতটা সহজ নয়। এসব বিষয় অধিকাংশই অভিজ্ঞতার উপরে নির্ভর করে। দেখা যায় যাদের বয়স একটু বেশি এবং সচরাচর বাজার-সদাই করেন, তারা খুব সহজেই টাটকা ও সতেজ খাবার চিনে কিনতে পারেন। তাই ফ্রেস খাবার চেনার জন্য অভিজ্ঞদের পরামর্শ অবশ্যই সর্বজনগ্রাহ্য।
এছাড়াও তাজা ফল, ফ্রেশ শাক-সব্জি চেনার জন্য কিছু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিও রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কেও জ্ঞান থাকা দরকার।
প্রায় প্রত্যেক ফলেরই নির্দিষ্ট মওসুম থাকে। তাই কোন ফল মওসুমের আগে বাজারে পাওয়া গেলে তাতে ভেজালের সম্ভাবনা থাকে। হতে পারে মওসুম আসার আগেই ব্যবসায়ীরা বেশী লাভের আশায় ফল গাছ থেকে নামিয়ে রাসায়নিক মিশিয়ে কৃত্রিমভাবে ফল পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। ফলের রঙ স্বাভাবিকের চেয়ে ভিন্ন হওয়াও একটি সন্দেহজনক বিষয়। ফলের গায়ে পিঁপড়া বা মাছি না বসাও অস্বাভাবিক বিষয়। এভাবে বিভিন্ন উপায়ে খাদ্যে ভেজাল মিশানো হয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে।
যে ফল যে এলাকায় জন্মে, সেখানকার কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করলে ভাল ফল কেনার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সবজি কিনলে আগে লবণ মেশানো গরম পানিতে কিছুক্ষণ রেখে তারপর রান্না করতে হবে। ইউরিয়া মুক্ত মুড়ি কিনতে চাইলে যারা হাতে মুড়ি বানায় তাদের কাছ থেকে মুড়ি কেনা যেতে পারে। তাজা মাছ কিনতে চাইলে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কেনা যেতে পারে। ভিনেগার বা সিরকা মিশ্রিত পানিতে ফরমালিন যুক্ত মাছ-গোশত ডুবিয়ে রাখলে এরা ফরমালিন মুক্ত হয়ে যায়।
এভাবে বিভিন্ন উপায়ে টাটকা খাবার ও ফল-মূল কেনা এবং ভেজাল মিশ্রিত খাদ্যকে ভেজালমুক্ত করে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। খাদ্যে ভেজাল রয়েছে কিনা তা সঠিকভাবে জানতে পারলে এর জন্য দায়ী অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
খাবারে ভেজাল আছে কিনা, খাবার ফরমালিন ও বিষমিশ্রিত কিনা- তা বোঝার জন্য এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন।
তাজা, টাটকা, সতেজ ও ফ্রেশ খাবার চেনার উপায় নিয়ে WikiReZon টীম এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.WikiReZon.FreshKhabarChenarUpay
https://play.google.com/store/apps/developer?id=WikiReZon
এ অ্যাপ থেকে জানতে পারবেনঃ
- ফরমালিনমুক্ত ফল বা সবজি চেনার উপায়
- পাকা তরমুজ চেনার উপায়
- ফরমালিনমুক্ত আম চেনার উপায়
- কলা চেনার উপায়
- বাঙ্গি চেনার উপায়
- কমলা চেনার উপায়
- পেঁয়াজ চেনার উপায়
- গরু, খাসি ও ভেড়ার মাংস চেনার উপায়
- মুরগির মাংস চেনার উপায়
- মৃত মুরগীর গ্রীল চেনার উপায়
- তাজা মাছ চেনার কৌশল
- তাজা ইলিশ চেনার উপায়
- খাঁটি মধু চেনার উপায়
- নষ্ট ডিম চেনার সহজ উপায়
- প্লাস্টিকের ডিম চেনার উপায়
- ভেজাল চিনি চেনার উপায়
- ভেজাল দুধ চেনার সহজ উপায়
এই অ্যাপে বর্ণিত ফ্রেশ খাবার চেনার উপায়সমূহ স্বাস্থ্য বিষয়ক কয়েকজন বিশেষজ্ঞের লেখা থেকে সংকলিত হয়েছে। কতিপয় উপায় মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে গৃহীত। তাই এ বিষয়ে কিছুটা মতপার্থক্য হওয়া স্বাভাবিক।
অ্যাপটির play store লিংকঃ
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.WikiReZon.FreshKhabarChenarUpay
টিউনটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
আমি শামসুল আরিফিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।