জ্বর-ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা ইত্যাদি কারণে কম-বেশি সকলেরই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া আমাদের খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম ও ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি আজকাল খুব কমন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরীর চর্চায় অনীহা আমাদের রোগবৃদ্ধির আরও একটি কারণ। তার উপর রয়েছে পানি দূষণ, বায়ু দূষণ। এগুলোর ফলে প্রতিনিয়তই আমরা কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
অসুস্থ হলে ডাক্তারের সাথে কনসাল্ট করে ঔষধ কিনে খাওয়ার পরেও অনেক সময় কাজ হয় না। আমরা অনেকেই তখন ডাক্তারের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলি। কিন্তু এমনও হতে পারে যে কেনা ওষুধেই কোন সমস্য ছিল। হতে পারে ওষুধের মেয়াদ ছিল না, হতে পারে ওষুধের ডোজ কম-বেশি হয়েছে কিংবা হতে পারে ভুল গ্রুপ এর ওষুধ কেনা হয়েছে ইত্যাদি। অনেক সময় ভুল নিয়মে ওষুধ সেবনের ফলে মারাত্মক কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
তাই ওষুধ ক্রয় ও সেবনের সময় কী কী সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার তা জানা অতি আবশ্যক। ঔষধ খাওয়ার নিয়ম ও পূর্বসতর্কতা সম্পর্কিত ধারণার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে WikiReZon টীম এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে। অ্যাপটির
https://play.google.com/store/apps/detailsid=com.WikiReZon.OushodhKhawarNiyom
অতিরিক্ত টেনশনের ফলে প্রেসার বাড়ে। কিন্তু আজকাল হাই ব্লাড প্রেসার, লো ব্লাড প্রেসার- এগুলো প্রায় সব বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। একটা সময় ছিল যখন মনে করা হতো ডায়াবেটিস শুধু বড়দের রোগ। মনে করা হতো এসব রোগ বয়স বাড়লেই হয়। কিন্তু আজকাল বালক ও কিশোর বয়সেও ডায়াবেটিস রোগ ধরা পড়ে। রোগ ও অসুস্থতার সাথে পাল্লা দিয়ে তাই ওষুধ খাওয়া মানুষের সংখ্যাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
অতএব ঔষধ যেহেতু খেতেই হবে তার ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। প্যারাসিটামল, অ্যান্টিবায়োটিক, রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল ইত্যাদি নানা রকম গ্রুপের ঔষধ এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে কম-বেশি সকলেরই সাধারণ জ্ঞান থাকা জরুরি।
ওষুধ কি খাবারের আগে খেতে হবে না পরে- এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। নির্দিষ্ট কোন ওষুধে অ্যালার্জি থাকলে কী করতে হবে সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অনেক জরুরি। ওষুধটি সাধারণভাবে সংরক্ষণ করলেই চলবে নাকি রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে হবে-এটিও খুব লক্ষণীয় একটি বিষয়। সারাদিনে ২/৩/৪ বার ওষুধ খেলেই চলবে না, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ওষুধ সেবন করা অতি আবশ্যক।
অ্যান্টিবায়োটিকের পরে কোন খাবারগুলো খুবই ক্ষতিকর- সে জ্ঞান না থাকলে মহাবিপদ! ঘুমের ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলো কী কী সেগুলোও সাথে জানতে হবে। শিশুদের ঔষধ কেনার বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের কোন ওষুধে ভুল হলে তা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে কারণ শিশুদের সব কিছুই অনেক বেশি সেনসিটিভ।
নিজের বুদ্ধিতে ডাক্তারি করে দুর্বল লাগলেই ভিটামিন, ব্যথা হলেই পেইনকিলার ইত্যাদি ওষুধ যখন তখন কিনে খেয়ে ফেলা যাবে না। এগুলো অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সেবন করতে হবে। এ অ্যাপের উদ্দেশ্য হচ্ছে ওষুধ ক্রয় ও সেবনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিৎ সেগুলো সম্পর্কে সচেতন করা।
এ অ্যাপটি ঔষধ খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবুও সব সময়ের জন্য পরামর্শ হচ্ছে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ ক্রয় করুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন। ইনশাআল্লাহ, অতি শীঘ্রই আরও কিছু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ রিভিউ নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হবো। টিউনটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি শামসুল আরিফিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।