আসসালামু আলাইকুম,
রমজান ক্যালেন্ডার এপ্লিকেশনটি আপনাকে প্রতিদিনের সেহরী এবং ইফতারের সময় পেতে সাহায্য করবে।
এই অ্যাপটিতে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলঃ
১। রমজান ক্যালেন্ডার ২০১৫
২। রোজার নিয়ত।
৩। রোজা ও ইফতারের দোয়া।
৪। বিভিন্ন ধরনের রোজার বিবরণ।
৫। রোজার ফজিলত।
৬। রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ।
৭। তারাবীহ নামাজের নিয়ত ও তারাবীহ নামাজের নিয়ম সমূহ।
৮। ঢাকা,চট্টগ্রাম,রাজশাহী,বরিশাল,খুলনা,রংপুর ও সিলেট বিভাগ এবং পার্শবর্তী জেলার সময়সূচী অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
৯। সম্পূর্ণ অ্যাপটি বাংলায় দেখা যাবে।
১০। অ্যাপটিতে টাইমার রয়েছে।
আশা করি, রমজানের উপর ভিত্তি করে বানানো এই অ্যাপটি ব্যাবহার করে আপনারা পবিত্র রমজান এবং সকল রোজাসমূহ সঠিক পন্থায় রাখতে পারবেন।
অ্যাপটি ব্যাবহার করার জন্য ধন্যবাদ ।
আরবী মাসের মধ্য রমজান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস। মুসলমান মানেই এ বিষয়টি কম বেশি জানা আছে। এই মাসে মুসলমানদের জন্য বেশি বেশি সওয়াব হাসিলের সুযোগ করে দিয়েছেন আল্লাহ। যেমন এক রাকায়াত নামাজে ৭০ রাকায়াত নামাজের সওয়াব পাওয়া যায়।
সারা বছর যারা নামাজ পড়েন না, রমজান মাস এলে তাদের মসজিদে যেতে দেখা যায়। এটা ভাল। এই শিক্ষা নেয়ার জন্যই আল্লাহ রমজান দিয়েছেন। এখন দেখা যায় রমজানকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা হারাম ব্যবসায় মেতে ওঠেন। হারাম ব্যবসা সেটাই যেটা মিথ্যার মাধ্যমে ক্রেতাকে ধোকা দিয়ে অধীন মুনাফা লাভ করা। যেমন রমজানে মানুষ সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে একটু বেশি খেতে চায়। সেজন্য বাজারও বেশি করে। কিন্তু এই সময় দেখা যায় অন্য সময়ের তুলনায় সব পণ্যের দাম বেশি। কারণটা কি। মানুষ বেশি কেনে সেজন্য। সাধারণত কোনো পণ্যের সরবরাহ কম থাকলে ওই পণ্যের দাম বাড়ার কথা।
কিন্তু রমজান মাসে সে ধরণের কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। এখন যদি দেখা যায় কোনা কারণ ছাড়াই শুধু রমজানের কারণে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাহলে সেই বাড়তি টাকা কী হালাল হবে? আবার দেখা যায় ওই সব ব্যবসায়ী যারা কোনো কারণ ছাড়াই রমজানের কারণে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা আবার রাতে তারাবী পড়তে যান। সারা দিন রোজা রাখেন। আল্লাহর কাছে তারা কী জবাব দেবেন। আল্লাহ যদি তাদের জিজ্ঞাসা করেন তোমরা রমজানের কারণে পণ্যমূল্য বাড়িয়েছিলে কেন? তখন কোনো উত্তর থাকবে না। অনেকেই রমজানে নামাজ পড়েন। অন্য মাসে নামাজ পড়েন না। তাদের জন্য বলছি। নামাজ কিন্তু শুধু রমজানে ফরজ না।
নামাজ ১২ মাসই ফরজ। সুতরাং শুধু রমজানে না, সব সময় নামাজ পড়তে হবে। অনেক নারী রমজান মাসে পর্দা করেন। কিন্তু অন্য কোন মাসে করেন না। তাদের সারা জীবন পর্দা করা উচিত। কারণ পর্দায় থাকা নারীর জন্য সব সময়ই ফরজ। এটা এক মিনিটের জন্যও সিথিল হয় না। যারা রমজানের ফরজ রোজা রাখেন না। তাদের শাস্তি বড় কঠিন হবে। একথা কোরআন আর হাদিসে অনেক জায়গায় লেখা আছে। আর ইচ্ছাকৃতভাবে একটি রোজা ভাঙলে এক নাগারে ৬০ টি রোজা রাখতে হবে। ওই ৬০টির মধ্যে আবার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ভাঙে তাহলে আবার ১ম থেকে ৬০ রোজা রাখতে হবে। তাহলে বুঝেন ইচ্ছা করে রোজা না রাখলে কি হবে?
সবাইকে রমজানের আগাম শুভেচ্ছা রইল।
আজ বাই বাই 🙂 পরে আবার !!!
আমি শাহীউদ্দিন আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 46 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন ছাত্র আমি ৯ম শ্রেনীতে পড়ি, আমার একটী ষ্টুডিও আছে আর আমার ভাই আছে TV.LCD.Mobile Engineer. আমি সবসময় চেষ্টা করি ভাল কিছু দিতে
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ