অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কে কম বেশী আমরা সবাই জানি। আমার এই চেইন টিউন সেই অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ্স নিয়েই।
এই চেইনের প্রতিটি টিউন, একই ধরণের একাধিক অ্যাপ নিয়ে করা হবে। যেন ব্যবহারকারী তার পছন্দের অ্যাপটি সহজেই বেছে নিতে পারেন।
অ্যাপ টপিক: ফাইল ম্যানেজার।
অ্যাপ কোয়ান্টিটি: ৬টি।
আসুন এক নজরে আজকের আলোচ্য অ্যাপগুলোর নাম জেনে নেই:
কিছু ফোনে সাধারণ একটা ফাইল ম্যানেজার দেয়াই থাকে। তবে কিছুতে থাকে না। কিন্তু হয়ত আপনার শুধু একটা ভালো ফাইল ম্যানেজার দরকার। গুগল প্লে স্টোরে সার্চ করলে অনেক অনেক ফাইল ম্যানেজার পাওয়া যায়, যেগুলো আপনাকে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ফাইল অর্গানাইজ করতে অনেক সাহায্য করবে। কিন্তু এতো সব ফিচার দেখে হয়ত আপনার মাথাটা কাজ করাই বন্ধ করে দেবে।
প্লে স্টোরে ইউজাররা রেটিং প্রদান করে, যেনো আমরা সহজে ভালো অ্যাপ্লিকেশন চিনতে পারি। এখানে শুধুমাত্র ভালো রেটিং এর জনপ্রিয় ফাইল ম্যানেজারগুলোই তুলে ধরা হয়েছে। এদের বেশীরভাগই ৪.৫ এর বেশী রেটিং প্রাপ্ত। অবশ্য, গুগল প্লে স্টোরের রেটিং প্রতিনিয়ত বদলাতে থাকে। তাই এখানের রেটিং এই টিউন লেখার সময়ের।
অনেক ফাইল ম্যানেজার অনেক ধরণের চমক নিয়ে অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। কিছু দুর্দম ফিচার, আবার কিছু আকর্শনীয় ইউজার ইন্টারফেস। এদের বেশীরভাগের কাজকর্মই প্রায় কাছাকাছি হবে। কারণ শেষ পর্যন্ত এরা তো ফাইল ম্যানেজার মাত্র।
তাহলে চলুন ঘুরে দেখি কিছু ফাইল ম্যানেজার যেগুলো মন জয় করেছে আপনার এবং আমার মত লাখো অ্যান্ড্রয়েড ইজারদের। হয়ত আপনি এমন একটি পেয়ে যাবেন, যা আপনার বর্তমান ফাইল ম্যানেজার থেকে বেশী প্রিয় হয়ে উঠবে।
GOOGLE PLAY RATING 4.6
সলিড এক্সপ্লোরার এ আপনি পাবেন একটি ডাবল প্যানেল ডিস্প্লে। যখন ল্যান্ডস্কেপ মোড-এ থাকবেন, উভয় প্যানেল এক সাথেই দেখা যাবে। তবে পোর্ট্রেইট মোড-এ থাকা অবস্থায় শুধু একটি দেখা যাবে। তবে আঙ্গুল দিয়ে সোয়াইপ করে সহজেই প্যানেল বদলানো যাবে। এতে আরও আছে একটি ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ ফিচার। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই ফাইল মুভ করতে পারবেন। ফাইল সিলেক্ট করার পর কিছুক্ষন চেপে ধরে রাখলে সেই ফাইলগুলোর সাথে আপনি কী করতে চান, সেই কাজের একটি মেনু পেয়ে যাবেন। সলিড এক্সপ্লোরার আপনার ফাইল ম্যানেজিং আসলেই অনেক সহজ করে দিবে।
এটাই হয়ত সলিড এক্সপ্লোরারের মূল আকর্ষন। কারণ এর মূল লক্ষ্য হলো সহজ ফাইল ম্যানেজিং সুবিধা প্রদান করা। ওহ, আর বোনাস হিসেবে ক্রোমকাস্ট সাপোর্ট বিল্ট ইন থাকছে।
সলিড এক্সপ্লোরার ১৪ দিনের ট্রায়াল হিসেবে প্লে স্টোর-এ পাওা যাচ্ছে। লিগ্যালি ব্যবহার করতে চাইলে, এর পর আপনাকে কিছু ডলার খরচ করতে হবে। অন্যথায় এখান থেকেই নামিয়ে নিতে পারেন।
GOOGLE PLAY RATING 4.6
ইএস ফাইল এক্সপ্লোরারে আপনি সহজেই ট্যাপ অ্যান্ড হোল্ড করার মাধ্যমে ফাইলের সাথে কী কী করতে চাচ্ছেন, তার একটি মেনু পেয়ে যাবেন। আপনি ফাইল, ফোল্ডারকে কপি, মুভ, ডিলিট, রিনেম, শেয়ার ইত্যাদি করতে পারবেন।
এটি একটি ক্যাশ ক্লিনার হিসেবেই কাজ করতে পারে, যদি একটি টাস্ক ম্যানেজার মজুল ইন্সটল করা থাকে। এই টাস্ক ম্যানেজার মজুল এবং ইএস ফাইল এক্সপ্লোরারের মাধ্যমে আপনি সহজেই র্যামের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন, আর তার সাথে মাত্র ১ ক্লিকেই টাস্ক কিল করতে পারবেন।
আপনি এরই সাথে ব্লুটুথ ডিভাইসের সাথে ফাইল কপি ও পেস্ট করার সুযোগ পাবেন। আপনার পিসি থেকেই একে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ইএস ফাইল এক্সপ্লোরার বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। সরাসরি প্লে স্টোর থেকেই নামিয়ে নিন, অথবা এখান থেকে APK ডাইনলোড করে নিন।
GOOGLE PLAY RATING Explorer 4.2 ~ Root Explorer 4.7
রুট এক্সপ্লোরারের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। এক্সপ্লোরার হলো একই ডেভেলপারদের তৈরি একটি নন-রুট ভার্সন।
এক্সপ্লোরারকে স্পীড সফটওয়্যার বলেছে, "দ্রুত, ছোট এবং সহজ ফাইল ম্যানেজার। এসডি কার্ডের ফাইল অর্গানাইজ করার জন্য পার্ফেক্ট অ্যাপ্লিকেশন।"
এছাড়াও, যদি সময় লাগবে এমন কোনো কাজ হতে থাকে, তবে এক্সপ্লোরার আপনার ডিভাইসকে স্লিপ মোড-এ যেতে দিবে না।
যদিও এক্সপ্লোরার খুব কম রেটিং প্রাপ্ত, এর বড় ভাই রুট এক্সপ্লোরার আবার মহল্লার দাদা।
রুট এক্সপ্লোরারও স্পীড সফটওয়্যার এর তৈরি। কিন্তু এটি ব্যবহারকারীকে আরও গভীরে যেতে সুযোগ করে দেয়। রুট এক্সপ্লোরারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী ডিভাইসের ড্যাটা ফোল্ডারে প্রবেশ করতে পারবেন। অতিরিক্ত ঝামেলাকে বিদায়, রুট এক্সপ্লোরার হয়ত রুট ডিরেক্টরি ব্রাইজ করার সবচেয়ে সহজ অ্যাপ্লিকেশন।
GOOGLE PLAY RATING 4.3
অ্যাস্ট্রো ফাইল ম্যানেজারের মূল আকর্ষণ হলো গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, বক্স, স্কাইড্রাইভ এমনকি ফেসবুকের সাথে শক্ত সংযোগ। তবে ফেসবুক ইন্টিগ্রেশন প্রধানত ছবির জন্যই। আপনি এক ক্লাউড হতে অন্য ক্লাউডেও ছবি সড়াতে পারবেন।
ক্লাউড ইন্টিগ্রেশনের পাশাপাশি, অ্যাস্ট্রো ফাইল ম্যানেজার অসাধারণ সার্চ ফিচার রাখে। যখন আপনি কোনো ফাইল সার্চ করবেন, এটি আপনার ডিভাইস মেমোরির পাশাপাশি ক্লাউড স্টোরেজও সার্চ করবে। আপনি ফাইল সাইজ এবং নামের মাধ্যমে এই সার্চ করতে পারবেন।
আর আরেকটা ভালো দিক। অ্যাস্ট্রো ফাইল ম্যানেজার-এ একটি বিল্ট ইন টাস্ক কিলার আছে।
GOOGLE PLAY RATING 4.4
ললিপপ রমের স্বাদ সব ফোনের জন্য না। আপনার ডিভাইসটা কিছুটা পুরাতন হলে খুব সম্ভবত ঠিক মতন কিটক্যাটই পায় নি, ললিপপ তো দূরের জিনিস।
আমেজ ফাইল ম্যানেজার একটি ললিপপ থিম্ড ফাইল ম্যানেজার। এই ডিজাইনকে বলা হয়, ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন।
আমেজ ফাইল ম্যানেজারের একটি আকর্ষণীয় ফিচার হলো এর কালার বা রঙ। সেটিংস থেকে খুব সহজেই এর রঙ বদলে নেওয়া যায়।
এছাড়াও সাধারণ একটি ফাইল ম্যানেজারের সকল ফিচারই থাকছে আমেজ ফাইল ম্যানেজারে। সঙ্গে থাকছে রুট ডিরেক্টরি ঘাটার এবং মডিফাই করার সুবিধা। অর্থাৎ এটি একটি রুট অ্যাপ হিসেবেও কাজ করতে পারবে। অ্যাপটি ব্যবহার না করে এর বাস্তব আনন্দ বোঝা হয়ত সম্ভব নয়।
আমেজ ফাইল ম্যানেজার এখনও বেটা স্টেজ-এ আছে। অর্থাৎ এ পর্যায়ে কিছু সমস্যা থেকে যেতে পারে। যে কোনো ধরণের বাগ পেলে তা এর প্লে স্টোর পেজ-এ টিউমেন্ট করতে ভুলবেন না।
GOOGLE PLAY RATING 4.3
অ্যাপের নামটা সাধারণ হলেও অ্যাপটা সাধারণ নয় মোটেও। ফাইল ম্যানেজার একটি ম্যাটেরিয়াল/হ্যলো থিম্ড ফাইল ম্যানেজার এবং অ্যাপ্লিকেশন এক্সপ্লোরার। এতে রয়েছে গুগল ড্রাইভ এবং ড্রপবক্স ইন্টিগ্রেশন।
ডানে বামে সোয়াইপ করার মাধ্যমে ফোল্ডার ও ফাইল ব্রাউজ করা যায়। সঙ্গে আছে একটি বিল্ট ইন ইমেজ গ্যালারী। তবে এটি সেটিংস থেকে বন্ধ করা যায়। Zip, Rar, Tar, Tar.gz, Tgz, Tar.bz2, Tbz ইত্যাদি অর্কাইভ থেকে ফাইল এক্সট্রাক্ট করা যাবে ফাইল ম্যানেজার দিয়ে। এর সাথে সাথে Zip অর্কাইভ তৈরিও করা যাবে।
এতে রয়েছে ইন্সটল করা অ্যাপ্স ও গেম্স এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজার। এছাড়াও, এটি ইউএসবি অন দা গো (USB OTG) সাপোর্ট করে।
এই রেভোলুশানারি অ্যাপটি কিটক্যাট এবং ললিপপ ডিভাইসেও সাপোর্ট করছে। সকল ডিভাইসেই, এই ফাইল ম্যানেজার দিয়ে ফোল্ডার শর্টকাট তৈরি করা যাবে। অর্থাৎ, একটি শর্টকাটে ট্যাপ করে সরাসরি নির্দিষ্ট কোনো ফোল্ডারে পৌঁছে যেতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ কখনই সীমিত নয়। সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হবার ফলে এর অ্যাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ভবিশ্যতে আরও আকর্ষণীয় এবং ফিচার সমৃদ্ধ ফাইল ম্যানেজার খুঁজে পাওয়া গেলে তার উপর আবার টিউন করবো ইনশাআল্লাহ্।
বিঃদ্রঃ টিউনটি ভালোভাবে দেখার জন্য গুগল ক্রোম ইউজাররা এই অ্যাড-অনটি ইন্সটল করে নিন। অন্যান্য ব্রাউজারে কোনো সমস্যা হবে না।
আমি বীভৎস আমি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 220 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কিছু বলার নাই।
vai “upore frert jan” eta kivabe korlen?