বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় পৃথিবীর ভূখন্ড এক মুহূর্তে পরিবর্তন করে দিতে পারে, এমনকি মুছে ফেলে দিতে পারে পুরো আইল্যান্ড
শত কোটি বছর আগে এই একই রকম বিপর্যয় পৃথিবীর বুকে শুরু হয়েছিল এবং বিস্তার ঘটিয়ে ছিল বিভিন্ন ধরনের খনিজ দ্রব্য
এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় এতটাই রহস্যময় যে বেস্ট গবেষকেরা তাঁদের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমেও অনুমান করতে পারেনি যে এই শক্তিশালী বিপর্যয় কবে কখন আবার এই পৃথিবীতে শুরু হবে.
হ্যাঁ আপনারা ঠিক ধরেছেন আমি কথা বলছি সুপার ভলকানো বা শক্তিশালী আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে.
বিভিন্ন মভিজ এবং টেলিভিশন এর মাধ্যমে আপনারা বেশিরভাগেই এই সম্পর্কে ধারণা রাখেন যে এটি কতটা ভয়ংকর হতে পারে.
আপনাদের মধ্যেই কেউ হয়তো এই আগ্নেয়গিরিকে স্বচক্ষে খুব কাছ থেকে দেখেছেন.
বর্তমানে হাজারেরও বেশি আগ্নেয়গিরি এই পৃথিবীতে রয়েছে সেগুলোর মধ্যে পাঁচশোর বেশি আগ্নেয়গিরি সক্রিয়.
হঠাৎ অগ্নুৎপাত বা আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের ফলে magma পৃথিবীর পৃষ্ঠ তলে এসে পড়বে এবং এই magmaর আটকিয়ে থাকা gas পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ছড়িয়ে পড়বে.
পরবর্তীতে এই magma লাভায় পরিনিত হয়ে আশেপাশে এলাকায় খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করবে, আর এর গতিবেগ হবে কয়েক মিটার প্রতি সেকেন্ডে. আর এর তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়াবে 2, 200 degrees Fahrenheit বা 1, 200 degrees Celsius.
তার মানে এই ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয়ের ফলে আশেপাশে বসবাস করা simply অসম্ভব.
কিন্তু এটা জেনে আশ্চর্য হবেন যে প্রাচীনকালে মানুষেরা এই আগ্নেয়গিরির আশে-পাশে বসবাস করত.তারা বিশ্বাস করতো যে এই ভয়ঙ্কর ফুটন্ত পর্বতচূড়ার ভেতর তাদের god বসবাস করে.
সহস্র বত্সর অতিবাহিত হবার পর বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে আমরা ফাইনালি পরিচিত হতে যাচ্ছি কি ধরনের প্রজাতি এই ফুটন্ত আগ্নেয়গিরির ভিতরে বসবাস করে.?
1980 সালের দিকে এই আগ্নেয়গিরির ভেতর এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বসবাস আবিষ্কার করা হয়. যারা 100 ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় ফুটন্ত পানিতেও বেঁচে থাকতে সক্ষম.তারপর এই আবিষ্কার সবাইকে আশ্চর্য করে দেয়. কেননা যেকোনো ডিএনএ স্ট্রাকচার 80 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বেঁচে থাকাটা অসম্ভব.
এইসব ব্যাকটেরিয়া শুধুমাত্র মাত্রা অতিরিক্ত তাপমাত্রাতেই বসবাস করতে পারে কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে শীতল পানিতে তারা মৃত্যুবরণ করে.
সমুদ্রের তলদেশে দুই থেকে চার কিলোমিটার প্রশস্ত ছোট আকৃতির আগ্নেয়গিরি গুলোর Biodiversity বা জীববৈচিত্র্য অনেকটা একই রকম. এই আগ্নেয়গিরির চারপাশে তাপমাত্রা সাধারণ DNA এর জীবন ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট.
উপরন্তু গভীর সমুদ্রের তলদেশে পানির চাপ ক্রমশ প্রচুর এবং পানির উপরিভাগে রয়েছে অত্যন্ত বিপজ্জনক বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফাইড এবং বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থের সাথে সম্পৃক্ত.
তবুও প্রায় 400 টির বেশি প্রজাতি এই গ্যাস এবং ফুটন্ত লাভার আশেপাশে তাদের বাসস্থান গড়ে তুলেছে.উপরন্তু বিভিন্ন ধরনের প্রচুর এককোষী organisms সাথে বিভিন্ন ধরনের কৃমি, কাঁকড়া এবং সামুদ্রিক সাপের বাসস্থান এখানেই.
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত আগ্নেয়গিরির 45 metres গভীর গর্তে বিজ্ঞানীরা যা আবিষ্কার করেছেন তা সত্যিই সবাইকে ভাবিয়ে তোলে.
যখন প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতার পরিমাপনির্ধারণ করা হচ্ছিল তখন ন্যাশনাল জিওগ্রাফির কিছু field researchers এই ছোট আকৃতির kavagi volcano ভেতর আসলে কি ঘটছে তা দেখবার সিদ্ধান্ত নেয়.
কেননা 2003 সালে এই অগ্ন্যুত্পাত ফলেই পৃথিবীর মানচিত্রে তৈরি হয়েছিল এক নতুন হাইল্যান্ড.
একটি আন্ডার ওয়াটার submersible camera সমুদ্র স্তর থেকে 17 তলা বিল্ডিং এর উচ্চতার সমান গভীরে kavagi volcano ঠিক কাছাকাছি পাঠায় তারা. যাতে এই আগ্নেয়গিরির আশে পাশের চিত্র রেকর্ড করা যায়.
ধরা পড়া সেই ভিডিও দেখে তারা একে অপরের দিকে রীতিমতো বিস্ময়কর ভাবে তাকিয়ে থাকে,
তারা দেখতে পায় এই kavagi আগ্নেয়গিরির ভেতর ঝাকে ঝাকে বৃহদাকার মাছের আবাসস্থল.
বিভিন্ন প্রজাতির rays, jellyfish এর বাসস্থান এখানে, এত তীব্র গরমের ফলে যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকাটাই অসম্ভব সেখানে এইসব প্রাণীগুলোর কি ভাবে বসবাস করে আসছে.
ফুটন্ত পানির মত গরম আবহাওয়াই এবং প্রচন্ড অ্যাসিডযুক্ত পানিতে তারা খুব সহজভাবে বিচরণ করছে.
গবেষকেরা এই ভিডিও দেখে একদম হতভম্ব হয়ে যায়, তারা এও দেখতে পায় বিভিন্ন প্রজাতির শার্ক এবং ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব এখানে বিদ্যমান.
এ ধরনের complex organisms যেমন sharks এই পরিবেশে কিভাবে বিচরণ করছে? এর উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি যে কেন এই প্রাণী গুলো এই প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের আবাসস্থল গড়ে তুলেছে.
কিন্তু তারা খুব সহজেই নিজেদেরকে এই পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিয়েছে. প্রকৃতপক্ষে তাদের বেঁচে থাকার জন্য সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যের উৎস এখানে বিদ্যমান.
কিন্তু প্রশ্ন তারা কতদিন এই গভীর সমুদ্রের আগ্নেয়গিরির আশেপাশে বেঁচে থাকতে সক্ষম হবে?
আমরা সম্ভবত ধারণা করতে পারব.
এই আগ্নেয়গিরি থেকে শুধুমাত্র এক ক্ষুদ্র আগ্নেয় বিস্ফোরণ এর আশেপাশে বিচরণ করা সমস্ত জলজ প্রাণী ধ্বংস হয়ে যাবে.
হাজার হাজার rays এবং jellyfish সমস্ত শার্ক এবং অন্যান্য প্রাণীর সাথে ব্যাকটেরিয়া এক মিনিটের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করবে.
এই স্থানে বসবাসের ফলে তাদের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর সম্পর্কের হয়তো তারা অবগত নয়, কিন্তু হঠাৎ এই সবগুলো প্রজাতির মৃত্যুবরণ হয়তবা পৃথিবীর জন্য কোন পরিবর্তন আসবে না.
কিন্তু মানবজাতির অদৃশ্যতা বা সমস্ত জীবের মৃত্যু এ পৃথিবীতে এক বিপর্যয় ডেকে আনবে, বিশ্বাস করুন আর না করুন শুধুমাত্র একটি volcano বা super volcano বা আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের ফলে পৃথিবী একটি প্রাণহীন গ্রহে পরিণত হতে পারে.
ঠিক এ রকমই এক super volcano United States এর নর্থ আমেরিকার Yellowstone National Park এ অবস্থিত, যার অতুলনীয় সৌন্দর্য এবং বন্য প্রাণীর বিচরণ দেখতে প্রতি বছর লক্ষ পর্যটকদের আকর্ষণ করে.
কিন্তু এই প্রকৃতির জাঁকজমক প্রাচুর্য এক মুহূর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে. এই Yellowstone পার্কের অধিকাংশই জায়গা এক বৃহৎ আকৃতির নিষ্ক্রিয় আগ্নেয়গিরির উপর অবস্থিত. এই বৃহদাকার supervolcano 1, 700 square miles জুড়ে বিস্তৃত বা 4, 400 square kilometres.উদাহরণ স্বরূপ ধরে নেয়া যাক যা কিনা প্রায় চার কোটি 20 হাজার ফুটবল মাঠের সমান আকৃতির.
এই বৃহৎ এলাকাজুড়ে আগ্নেয়গিরি আবিষ্কার করা হয় গত শতাব্দীর মধ্যভাগের দিকে. মানে 50 বছর আগে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবিষ্কার করা হয়.আশঙ্কাজনকভাবে এখন এটি একটি বৃহদাকার bubble magmaয় পরিনিত হয়েছে.
এর ভূতল থেকে পাঁচ মাইল গভীরে গলিত সামগ্রীর তাপমাত্রা গিয়ে দাড়িয়েছে 1, 500 degrees Fahrenheit বা 815 degree Celsius.
এই আবিষ্কার ভূ-বিজ্ঞানীদের মাঝে এক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে.সর্বোপরি এই বৃহৎ আগ্নেয়গিরি যদি হঠাৎ বিস্ফোরণ হয় তবে পৃথিবীতে সমস্ত জীবের অস্তিত্ব ঝুঁকিতে পড়ে যাবে.
এই গবেষণা চলাকালীন সময়ে ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে আগেও কয়েকবার এর সূত্রপাত হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ Millions বছর আগের এই স্থানে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ হবার ফলে North আমেরিকার 90 শতাংশ এলাকা আগ্নেয়গিরির ছাই দিয়ে ঢেকে গিয়েছিল.
বর্তমান সময়ে এই yellowstone এর বৃহদাকার আগ্নেয়গিরির গর্ত এক বৃত্তাকার আকার ধারণ করেছে, যেখানে 12 টিরও বেশি earthquake বা ভূমিকম্প ঘুরপাক খাচ্ছে.
এবং thermal research stations অর্থাৎ তাপ গবেষণা কেন্দ্র ক্রমাগত ভাবে
এই আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ record করে যাচ্ছে.
বিজ্ঞানীদের ক্রমাগত গবেষণা এই Yellowstone supervolcano সম্পর্কে যা যেকোন সাধারণ মানুষের গবেষণার তুলনায় বেটার. আর এই supervolcano যদি একবার জেগে ওঠে, তাহলে জীবন বলতে আজ আমরা যা বুঝি তা সম্ভবত নিঃশেষ হয়ে যাবে.
গবেষকেরা ধারণা করেন Yellowstone supervolcano বিস্ফোরিত হয়েছিল আজ থেকে 2 মিলিয়ন বছর আগে এবং তারপরেরটা হয়েছিল 1.3 মিলিয়ন বছর আগে.এবং সর্বশেষ বিস্ফোরিত হয়েছিল 6 লক্ষ বছর আগে,
আমেরিকান ভূতাত্ত্বিক সোসাইটি পূর্বাভাস দিয়েছে পরবর্তী আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ ঘটবে আজ থেকে 20 হাজার বছর পর
যাইহোক এই আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা বৃদ্ধির ফলে সাম্প্রতিক সময়ের এর ক্যালকুলেশন পরিবর্তন করা হয়েছে, নতুন পূর্বাভাসে বলা হয়েছে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়কারী ঘটনা খুব দ্রুতই ঘটতে চলেছে.
এই ভয়ংকর বিষয়টিকে নিয়ে আর কথা না বলাই শ্রেয়
https://www.youtube.com/watch?v=e7qXNXz13wk watch video here
আমি জামিউর রহমান জিসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।