আসলে হ্যাকিং এমন একটি বিদ্যা যার বিস্তৃতি সাইবার জগত হতে সাইকোলজি পর্যন্ত; ধরুন আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডের ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে চাচ্ছেন এখানে হ্যাকিং জিনিসটা সাইবার এক্টিভিটিস হলেও আপনি কিন্তু আদতে আপনার গার্লফ্রেন্ড এর সাইকোলজি হ্যাক করতে চাইছেন [আদতে জানতে চাইছেন আপনার গার্লফ্রেন্ডের নেচার- বিহ্যাভিউয়ার]।
হ্যাকিং জিনিসটা আমাদের ভাতের প্লেট হতে ভোটের মেশিন পর্যন্ত বিদ্যমান; কথাটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল তাইনা?
আসুন একটু এক্সপেলিনেশন করা যাক.
আমরা নিজের বাসায় ভাত খাবার সময় স্বভাবতই নিজের অভ্যার মতো ভাত খাই যেমন কেউ কেউ দ্রুত খায় - কেউ গ্রোগাসে গিলে- কেউবা মিটিমিটি করে খায় ইত্যাদি ইত্যাদি অথচ কোন দাওয়াত কিংবা ইনভাইটেশন পার্টিতে গেলে সবাই ভদ্রতা সূচক ইনোসেন্ট বিহ্যাভে পেট পূর্তি করেন, পাছে কেউ যেন আবার মন্দ কথা বলে বসে! আসলে এই যে "সৌজন্যতা মূলক ভদ্রতা" এটাও হ্যাকিং যেটার ব্যবহার সাইকোলজিতে স্বার্থক।
আবার অনেকে হয়তো ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর নাম শুনেছেন যেটা হলো বৈদ্যুতিক চালিত এক প্রকার কাউন্টার মেশিন যা ভোট সংখ্যা গগনা করে এবং তা মেমরীতে সংরক্ষন করে। মোটকথা এটি হলো এক প্রকার মোডিফাইড ক্যালকুলেটর যা একইসাথে বেশ কিছু কাজ করতে সক্ষম অনেকটা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম আরকি।
এখন অপনি যদি কখনো ক্যালকুলেটরের সার্কিট বোর্ড দেখে থাকেন তবে সেখানে বেশ কিছু পেচানো কার্বন লাইন দেখতে পাবেন যেটা মিশেছে একটা সেন্টার আইসি এর সাথে। এখন একটি ক্যালকুলেটর হ্যাক করা যেতে পারে:
(১) উক্ত কার্বন লাইনে ব্যাতিচার ঘটিয়ে
(২) সেন্ট্রাল আইসির প্রোগাম ডিজেবল করে নতুন মোডিফাইড সিগন্যাল ক্রিয়েট করতে সক্ষম এমন চিপ উক্ত কার্বন লাইনে যুক্ত করে।
(৩) একটি নির্দিষ্ট পরিমান সিগন্যাল [এক্ষেত্রে এসি কারেন্ট] বাইরের থেকে ইনপুট করে কোন সিগন্যাল ব্লক করা কিংবা পুরো সিস্টেম ডিসট্রয় করা
(৪)টাচ প্যাড হতে যেকোনো একটি সিগন্যালই প্রেরণ করা কিংবা যেকোন একটি সিগন্যাল আলাদা করে ডিটেক্ট করা।
মূলত আমি ক্যালকুলেটর দিয়ে বিষয়টা বোঝালাম তবে ঠিক একইভাবে ইভিএম সিস্টেমও হ্যাক করা পসিবল যারপরনাই অসাধ্য নয় মোটেও!
যাই হউক এই বিষয়টা রূপকভাবে বোঝালাম কেননা ইভিএম হ্যাকিং নিয়ে বেশী বলতে গেলে সেটা আবার আইনের চোখে ক্রাইম হয়ে যাবে নিশ্চিত!
তবে আমি এতোটুকু বোঝাতে চেষ্টা করেছি "হ্যাকিং বিদ্যা আহামরি গুপ্ত কোন বিদ্যা নয়, হ্যাকিং বিদ্যা কমবেশী মিশে আছে আমাদের সবার মস্তিষ্কের নিউরনে"!
হ্যাক করে জেনে নিন যে কোন মানুষের আসল রূপ:
মূলত ইন্টারনেট জগতে ৭০% মানুষের আসল রূপ জানা যায় তার সার্চ হিস্টোরির ওপর, সেটা হতে পারে গুগল কিংবা ফেসবুক।
যেমন একজন হ্যাকারের অবশ্যই গুগলে সিংহভাগ সার্চ আইট থাকবে হ্যাকিং রিলেটেড কনটেন্টের, একজন সাহিত্যিকের থাকবে গল্প কবিতা কিংবা উপন্যাস, একজন স্পাইয়ের মূল সার্চআউট থাকবে হিডেন সিক্রেট নিউজের ওপর আবার পর্ণোগ্রাফি এডিক্টেটের মূল সার্চ আউট হবে পর্ণোগ্রাফি এটাই স্বাভাবিক!
ঠিক এমনটাই অন্যের প্রকৃতি বা নেচার জানতে তার গুগল সার্চ হিস্টোরি জানতে পারবেন RedEye সফটওয়ার হতে [এটা মূলত এনড্রোয়েড অ্যাপস] এটা ইনস্টল করে ভিক্টিমের জিমেইল+ পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইনইন করলেই তার ডিটেইল সার্চ হিস্টোরি পেয়ে যাবেন।
RedEye ডাউনলোড লিংক → https://www.mediafire.com/download/fithsamgj55l5wb
বিঃদ্রঃ আপনাকে অবশ্যই ভিক্টিমের জিমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড জানতে হবে; যদি অ্যাপসটি নিয়ে হেজিটেশন থাকে তবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি এটা মূলত গুগল এক্টিভিটি এর ওপর তৈরী একটা অ্যাপস মাত্র।
শেষকথা: আপনি যদি ভাবেন হ্যাকিং মানেই ব্যাংক ডাকাতি করা তবে ভুলকথা কেননা হ্যাকিং একটি বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিভা মাত্র যা ঈশ্বরপ্রদত্ত নেয়ামত আর সেটা ব্যবহার করার ক্ষেত্রটা আপনার আমানত।
ফেসবুকে যেকোন বিষয়ে নিঃস্বার্থ সহায়তা পেতে পারেন →জুলকার নাইন
আমি জুলকার নাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।