হ্যাকার হতে চান? হ্যাকার হতে হলে আপনাকে কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে জানেন কি? জেনে নিন

টিউন বিভাগ অল্টারিং
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
  • হ্যাকার হবেন? হ্যাকার হতে হলে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে জানেন কি?

হ্যাকিং বা

হ্যাকার এই শব্দটির সাথে প্রায় আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। আমরাঅনেকেই চাই
হ্যাকার হতে। ভবিষ্যতে বা এখনি একজন বড় ধরনের কম্পিউটার হ্যাকার হওয়ার শখ
বা স্বপ্ন আমাদের মধ্যে অনেকেরই আছে। আবার অনেকে মনে করেন যে হ্যাকার হওয়া অনেক
সহজ একটি কাজ। যদি আপনিও তামনে করে থাকেন, তবে আপনি সম্পূর্ণ ভুল। আসলে হ্যাকিং জিনিসটা পৃথিবীর সবথেকে কঠিন এবং জটিল কাজগুলোর মধ্যে একটি। আপনি চাইলেই একজন হ্যাকার হতে পারবেন না। একজন পরিপূর্ণ হ্যাকার হতে হলে আপনার দরকার হবে কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং সর্বোপরি প্রযুক্তির বিষয়ে অস্বাভাবিক রকমের জ্ঞান এবং একটি সঠিক গাইডলাইন। হ্যাকার আপনি একদিনে হতে পারবেন না কখনোই। হ্যাকার হতে হলে আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে অনুশীলন করে যেতে হবে। সব ধরনের হ্যাকিং টুলস এবং সফটওয়্যার ইত্যাদি সবকিছু নিয়ে অনেকদিন ধরে ঘাটাঘাটি করতে হবে। এসবকিছুর পরেও আপনি হ্যাকার হতে পারবেনই
এমন কোন নিশ্চয়তাও নেই। আর সবক্ষেত্রে হ্যাকিং জিনিসটি খুব  একটা ভাল কাজ নয়। হ্যাকিং এর কারনে আপনি জেলেও যেতে পারেন। তাই হ্যাকিং সম্পর্কিত সব ধরনের কাজ খুবই সাবধানতা এবং গোপনীয়তার সাথে করতে হয়। আপনি যদি সিকিউরিটি এবং গোপনীয়তা আরো শক্তিশালী করার ব্যাপারটি প্রথমেই নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে আপনার জন্য হ্যাকিং নয়। আরএই টিউনটি পড়ার পরেই আপনি একজন হ্যাকার হয়ে
যেতে পারবেন এমনটা নয়। এই টিউনে শুধুমাত্র এমন কয়েকটি পয়েন্ট এবং কয়েকটি
বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো আপনার সবার প্রথমে দরকার হবে যদি আপনি হ্যাকার হতে
চান। তাহলে আর ভূমিকা না করে এবার শুরু করা যাক। হ্যাকার হতে হলে আপনার প্রথমে জানা
উচিৎ হ্যাকার কয় ধরনের আছে পৃথিবীতে। প্রধানত ৩ ধরনের হ্যাকার দেখা যায়।

  • ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার

  • গ্রে হ্যাট হ্যাকার

  • হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার

  • ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার হচ্ছে সেই ধরনের হ্যাকার যারা হ্যাকিং এর মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। অর্থাৎ হ্যাক করে কোন মানুষের বা
    কোন প্রতিষ্ঠানের পারসোনাল ডাটা চুরি করা বা টাকাদাবি করা ইত্যাদি।

  • আর গ্রে হ্যাট হ্যাকার হচ্ছে হোয়াইট হ্যাট এবং ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারের মাঝামাঝি পর্যায়ের হ্যাকার। অর্থাৎ এরা মাঝে মাঝে ভাও কাজও করে আবার মাঝে মাঝে ক্ষতিও করে

  • হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হচ্ছে সে ধরনের হ্যাকার যারা মানুষের ভালোর জন্য হ্যাকিং এর কাজটি করে থাকে অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠানের হারিয়ে যাওয়া ডাটা পুনরুদ্ধার করা বা হ্যাকিং এর মাধ্যমে কোন সিস্টেম এর সিকিউরিটি চেক করা অর্থাৎ যারা ভালোর জন্য হ্যাক করে তারাই হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার। এদেরকে এথিক্যাল হ্যাকারও বলা হয়।

এবার দেখা যাক, একজন হ্যাকার হতে হলে আপনাকে কি কি জানতে হবে বা কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।
[বিঃদ্রঃ এই টিউনটি পড়তে পারেন শুধুমাত্র হ্যাকিং সম্পর্কেকিছু ধারনা পাওয়ার জন্য এবং শুধুমাত্র জানার জন্য।
আমি কোনভাবেই হ্যাকিং কে সমর্থন করিনা। এই টিউনটি কোন ধরনের  ক্ষতির উদ্দেশ্যে লেখা নয়। ]

  • কোডিং সহ এই সম্পর্কিত সবকিছু শিখুনঃ  

    পৃথিবীতে প্রায় ১০০ টিরও বেশি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ আছে। আর হ্যাকার হতে হলে আপনাকে প্রথমেই কোডিং শিখতে হবে। কোডিং না জানলে আপনি হ্যাকিং এর প্রায় কিছুই পারবেন না। হ্যাকিং এর জন্য আপনাকে অনেকসময় বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম তৈরি করতে হতে পারে বা বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট সফটওয়্যারও তৈরি করতে হতে পারে। আর হ্যাকার হতে হলে আপনাকে সবগুলো কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ না হলে কয়েকটি কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন C, C+, Python ইত্যাদি কয়েকটি কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ বেশ ভালভাবে শিখতে হবে। হ্যাকার হতে হলে
    কোডিং এর বিষয়ে আপনাকে এক্সপার্ট হতেই হবে। প্রোগ্রামিং শেখার জন্য ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের সহজ সহজ ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে যেগুলোর সাহায্য নিয়ে আপনি সহজেই কোডিং শিখতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কোডিং এর বইও কিনতে পাবেন যেগুলোতে খুব সহজভাবে কোডিং শিখতে পারবেন।

  • উইন্ডোজ বা OSX এর পরিবর্তে লিনাক্স ব্যবহার করুনঃ আপনি যদি অনেক দিন ধরে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ইত্যাদি ব্যবহার করেন এবং যদি অপারেটিং সিস্টেমগুলো নিয়ে ভাল ধারনা রাখেন তাহলে আপনি সম্ভবত ইতোমধ্যেই লিনাক্স এর নাম শুনেছেন এবং অনেকে হয়ত লিনাক্স ব্যবহারও করেছেন। পৃথিবীর ৯৬.৫৫% ওয়েব সার্ভারে লিনাক্স ব্যবহার করা হয়। আপনি বিভিন্ন ফ্লেভারের লিনাক্স পাবেন। যেমন লিনাক্স মিন্ট,  উবুন্টু ইত্যাদি। আপনি যেকোনো এক ধরনের লিনাক্স ওএস আপনার পিসিতে ইন্সটল করেই লিনাক্স ব্যবহার করতে পারেন। লিনাক্স ব্যবহার করলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাবেন যেগুলো হ্যাকিং এর জন্য সবথেকে বেশি দরকার। পৃথিবীর ৯৯% হ্যাকাররাই লিনাক্স ব্যবহার করে তাদের প্রাইমারি ওএস হিসেবে।
  • ওপেনসোর্স সফটওয়্যারনিয়ে কাজ করুনঃ 
    ওপেনসোর্স সফটওয়্যার হচ্ছে সেই ধরনের সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামগুলো যেগুলোর ডেভেলপমেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য আপনাকে ঐ কোম্পানিতে কাজ করা কোন কর্মচারী হতে হবেনা। ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের ডেভেলপমেন্ট নিয়ে যে কেউ ইচ্ছা কাজ করতে পারে। আপনার টার্গেট যদি হয় হ্যাকার হওয়া, তাহলে আপনার উচিৎ হবে প্রথমে এই ধরনের ওপেনসোর্স সফটওয়্যারগুলো নিয়ে কাজ করা বা সফটওয়্যারগুলোর বেটা টেস্টার হওয়া। কয়েকটি ওপেনসোর্স প্লাটফর্মের উদাহরণ হল জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্স, জনপ্রিয় ব্লগিং প্লাটফর্ম ওয়ার্ডপ্রেস এবং উপরে বর্ণিত অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স। আপনাকে এই সবকিছু এবং আরো অনেক ওপেনসোর্স সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে হবে এবং এগুলো নিয়ে কাজও করতে হবে।
  • Def Con কনভেনশন ফলো করুন বা সম্ভব হলে অংশ নিনঃ 

    Def Con কনভেনশন হল একটি হ্যাকারদের ইভেন্ট  বা একটি কনফারেন্স যা প্রতিবছর Las Vegas শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এই কনভেনশনে পৃথিবীর সবথেকে বড় বড় হ্যাকার, কম্পিউটার এক্সপার্টস এবং সিকিউরিটি এক্সপার্টরা অংশ নেন। এই ইভেন্টে হ্যাকিং এর বিভিন্ন বিষয় এবং টিপস বা টিউটোরিয়াল বা সবার মতামত ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। আপনি যদি হ্যাকার হতে চান তাহলে আপনার উচিৎ হবে প্রত্যেকবছর এই কনভেনশন ফলো করা বা সম্ভব হলে
    Las Vegas শহরে গিয়ে ফিজিক্যালি এই কনভেনশনে উপস্থিত থাকা। এর ফলে আপনি হ্যাকিং স্কিল সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পারবেন এবং হ্যাকিং বিষয়ে আরো বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান লাভ করতে পারবেন।

  • বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং সম্পর্কে জানুনঃ হ্যাকার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিভাবে হ্যাক করা হয় তা জানতে হবে। পৃথিবীর সব হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের ইউনিক উপায় হ্যাকিং করে থাকেন। হ্যাকার হতে হলে আপনাকে সেসব উপায়
    জানতেই হবে এবং সেসব উপায় নিজে অনুশীলন করতে হবে। 
  • হ্যাকিং করার কয়েকটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছেঃ Distributed Denial Service Attack এই অ্যাটাকটি সাধারনত ব্যবহার করা হয় কোন ওয়েবসাইট হ্যাক করার কাজে বা ওয়েবসাইট ডাউন করার কাজে। কিভাবে এই অ্যাটাকটি কাজ করে তা হচ্ছে, হ্যাকাররা ওয়েবসাইটটিতে বা ওয়েব সার্ভারটিতে বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য ম্যালিশিয়াস কমান্ডস সেন্ড করে। ওয়েব সার্ভারটি এই সব কমান্ড গুলো প্রসেস করতে পারেনা এবং পরিশেষে অফলাইন হয়ে যায় বা ডাউন হয়ে
    যায়।
  • DNS Cache Poisoning: এই হ্যাকিং পদ্ধতিটিকে DNS Spoofing ও বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিটি যেভাবে কাজ করে
    তা হল, হ্যাকাররা আপনার কম্পিউটারটিকে এমনভাবে ট্রিক করে যাতে আপনার কম্পিউটারটি আপনাকে দেখায় যে এটি একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ ওয়েবসাইটে কানেক্ট করছে, কিন্তু আসলে তা হ্যাকারের নিজের ওয়েবসাইটে কানেক্ট করে যা
    আপনি জানতেও পারেন না। এই পদ্ধতিতে হ্যাকাররা আপনার পারসোনাল ডাটা পেয়ে যেতে পারে বা আপনারকম্পিউটারের ওপরও কিছুটা কন্ট্রোল পেয়ে যায়।
  • Buffer Overflow Attack: এই পদ্ধতিটির সাহায্যে হ্যাকাররা আপনার সিস্টেম এর উপরে সম্পূর্ণ কন্ট্রোল পেতে পারে। এই কাজটি হ্যাকাররা করে থাকে টেম্পোরারি স্টোরেজ স্পেসের সাহায্যে। আপনি যদি হ্যাকারদের তৈরি করা কোন প্রোগ্রাম ব সফটওয়্যার আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করেন তাহলে সেই প্রোগ্রামের সাহায্যে হ্যাকাররা আপনার সিস্টেমের ওপর সম্পূর্ণ কন্ট্রোল পেয়ে যেতেপারে।

শুধুমাত্র এই তিনটি নয়, হ্যাকিং এর আরো হাজার হাজার উপায় আছে। উপরের তিনটি সহ এই সব উপায় আপনি চাইলেই খুব সহজে জানতে পারবেন এমনটা ভাবার কোন কারন নেই। টিউনের প্রথমেই বলেছি হ্যাকিং সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অনেক দিন/মাস/বছর ধরে চেষ্টা করে যেতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে। হ্যাকার হতে হলে বা হ্যাকিং এর সব পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে ইন্টারনেটে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ঘাটাঘাটি করতে হবে, ইউটিউবে হ্যাকিং সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে হবে, হ্যাকিং সম্পর্কিত বিভিন্ন বই পড়তে হবে। সর্বোপরি এই সম্পর্কে এক্সপার্ট হতে হলে এটা নিয়েই পড়ে থাকতে হবে আপনাকে। কিন্তু, আমার মতে সবকিছু ফেলে এই হ্যাকিং এর কাজে সময় নষ্ট করার কোন যুক্তি নেই। হ্যাকিং নিয়ে রিসার্চ করে আপনি যে সময়টা নষ্ট করবেন, সেটা অন্য একটা ভাল কাজে ব্যবহার করলে
আপনারই ভাল হবে। যদি আপনি একজন সাধারন বুদ্ধিমান মানুষ হন, তাহলে হ্যাকিং এর চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকুন।
আপনার হয়ত মনে হচ্ছে এই টিউনটি পড়ে আপনি হ্যাকিং এর কিছুই শিখতে পারলেন না। আমি টিউনের প্রথমেই বলেছিলাম এটি হ্যাকিং এর কোন টিউটোরিয়াল নয়। হ্যাকার হতে চাইলে আপনাকে কি কি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে সেটাই ছিল এই টিউনের বিষয়। এখানেই আজকের টিউনটি শেষ করছি।  আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। টিউন সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন বা কোন মতামত থাকলে অবশ্যই টিউনমেন্ট করে জানাবেন। ভাল থাকবেন।

আরও পড়ুনঃ

হ্যাকারদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে? এখুনিই দেখে নিন ১০০% কার্জকারী উপায়সমূহ।

অনলাইন ইনকাম বিষয়ক টিউন এখানে ক্লিক

সবার মঙ্গলকামনার্থেঃ

মল্লিক কম্পিউটার্স
"Mollik Computers"
'Total IT Solutions' & Online Advertising Agency
Mathbaria, Pirojpur,  Barishal,  Bangladesh.
Phone: ✆ 01756290095,  ✆ 01811290095,  ✆ 01976290095
E_mail: md.emran01756290095@yahoo/gmail/hotmail.com
Facebook: Facebook.com/MollikComputer
Website: http://www.mollikcomputers.info
~ইমারন হোসেন~
>> আমার ফেইসবুক আইডি
>> আমাদের ব্যবস্যায়ীক ফেইসবুক পেইজ।


Level 3

আমি ইমরান হোসেন। Owner, Mollik IT, Barisal। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

হ্যাকিং শিকতে চাই । হেল্প প্লিজ
I want to Learn Hacking
My email: [email protected]