আপনি আপনার সারাদিনের অধিকাংশ সময় ই ফেসবুকে কাটিয়ে দেন। কারণ এখানে আপনার আত্মীয় স্বজনদের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ সেরে ফেলতে পারেন। আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারেন। ক্লাসে নাগিয়েও ক্লাসে কি পড়ানো হয়েছে তা জেনে নিতে পারেন। আর আপনি যদি প্রফেশনাল হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বেশির ভাগ ক্লায়েন্টের সাথেই ফেসবুকের মাধম্যে যোগাযোগ করেন। ফেসবুকে আপনার ৫০০+ বন্ধু আছে। আচ্ছা ৫০০ নাথাক অন্তত ২০০ আছে তাই না?? আপনার ভিবিন্ন ইভেন্টের অনেক গুলো ছবি রয়েছে। আপনার অনেক গুলো ইনফরমেশন রয়েছে। আর আপনি লেখক হলে তো আপনার কিছু লেখা ও থাকার কথা, তাই না? এখন এ অবস্থায় যদি আপনার ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক হয় তাহলে কি করবেন?? আপনার নিশ্চই অনেক খারাপ লাগবে, তাই না?? মনে হবে না আপনার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু হারিয়ে গেছে।(* যারা প্রেম করেন তাদের কাছে গার্ল ফ্রেন্ড হারানোর মতোও মনে হতে পারে 😛 )। ঐ খারাপ লাগার থেকে বাচাঁর জন্য আপনাকে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। এবার কিভাবে সতর্ক হবেন তাই বলছি। আমি যা বলব তা অনেক জায়গায়ই লেখা আছে। বা অনেকেই জানেন এ সম্পর্কে। এখানে অনেক জ্ঞানী টিউনার রয়েছে। আমি শুধু আপনাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি এ গুলো খুব দরকারই। আপনার একাউন্ট আপনিই বাচাতে পারেন। আমরা আমাদের পিসির সামনে বসে কিছুই করতে পারবো না।
প্রথমে সবাই যে কথা বলে আমি ও সে কথা দিয়ে ই শুরু করি। আপনার পাসওয়ার্ডটি কঠিন দিন। Character ও Symbol মিলিয়ে পাসওয়ার্ড দিন।
আপনার যে ইমেইল এড্রেস দিয়ে একাউন্ট খুলছেন তা আপনার প্রোফাইলে না দেখিয়ে অন্য একটা দেখান।
আরেকটি ইমেইল আপনার একাউন্টে যোগ করে রাখুন। যাতে হ্যাক হলে ও আপনার একাউন্টটি ফিরে পেতে পারেন। অন্য আরেকটি ইমেইল এড্রেস যোগ করার জন্য আপনার একাউন্টে প্রবেশ করে Account >Account Setting ওপেন করুন। এখানের Email Change সুবিধা থেকে অন্য আরেকটি বা একাধিক ইমেইল যোগ করে রাখুন। এবার Contact Email Address হিসেবে নতুন ইমেইল টি দিন। এবং এটি সবার কাছ থেকে গোপন রাখুন।
অপরিচিত মেইল পড়বেন ও না ক্লিক করা পরের কথা। যে সকল মেইল শুরু হয় Hello I am…. বা Congrats!! You won… ইত্যাদি এগুলো দেখলেই ডিলিট করে দিন।
সাইবার ক্যাফে বা অন্য কোন কম্পিউটার থেকে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করা থেকে ভিরত থাকুন। আর যদি বসতেই হয় একটু সতর্ক হয়ে নিবেন কোন কী লগার আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে তা বন্ধ করে দিন। যদিও অনেক সময় আপনি এদের সন্ধান পাবেন না। পাসওয়ার্ড সেভ করার অনুমতি চাইলে তাকে Cancel করুন। নেট ব্যবহার করা শেষ হলে ব্রাউজিং ডাটা, কুকি ও ক্যাস গুলো মুছে আসুন। Firefox ও Google Chrome এর জন্য Ctrl+ Shift + Delete কী গুলো একসাথে চাপুন, এবার কতক্ষণের সময়ের গুলো ডিলিট করবেন তা সিলেক্ট করে Clear Browser Data/ Clear Now তে ক্লিক করুন। ডাটা গুলো মুচে যাবে, আপনি ও নিশ্চিন্তে বাড়ি চলে যান।
পারলে একটা লিঙ্কেড একাউন্ট রাকুন। তাহলে ঐ একাউন্ট দিয়ে ও আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন। হ্যাক হওয়ার পর যা অনেক কাজে দিবে।
Account Security থেকে
When a new computer or mobile device logs into this account: |
Send me an email |
Send me a text message |
টিক মার্ক দিয়ে রাখুন। যখন কেউ অন্য কোন স্থান বা কম্পিউটার থেকে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করবে বা আপনি নিজে প্রবেশ করতে ও একটি নাম জিজ্ঞেস করবে এবং তা আপনার ইমেইলে পাঠিয়ে দিবে। যার ফলে আপনি বুঝতে পারবেন অন্য কেউ আপনার একাউন্টে প্রবেশ করছে কিনা।
ফেসবুকের জন্য কোথাও পাসওয়ার্ড দেওয়া লাগলে এড্রেসটি ভালো ভাবে দেখে নিন। http://www.fiacebook.com/ http://www.faceboook.com/ http://www.facebookk.com/ http://www.faccebook.com/ http://www.faccbook.com/ http://www.facebook.com/ সবগুলো দেখতে এক মনে হলে ও এক না। একটু ভালো ভাবে দেখুন কোন আসল ফেসবুকের এড্রেস। তা ছাড়া এ অনেক বড় এড্রেস যেমন http://onos.oki/facebook.com.php এরকম শেষে facebook.com এড্রেসে ক্লিক করে গিয়ে ও যদি দেখেন ফেসবুকের হোম ফেজ তাহলে ও আপনি লগইন থেকে বিরত থাকুন।
আর যদি হ্যাক হয়ে যায় তখন পুনরায় পাওয়ার জন্য https://ssl.facebook.com/help/contact.php?show_form=hacked_self_recovery এখানে যান। একটি ফরম আসবে, এটি যথা যত ভাবে পূর্ণ করুন। যাদের একাউন্ট এখনো হ্যাক হয় নি তারা গিয়ে দেখে আসুন কি কি কি ধরকার পড়ে, যে গুলো যোগাড় করে রাখন ভবিষ্যতের জন্য। ফরম পূরণ শেষ হলে Submit করুন। তাহলে ফেসবুক আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবে তার যথাযথ উত্তর দিতে পারলে আপনি আপনার একাউন্ট আবার ফিরে পাবেন পাবেন।
আমি এন্টি হ্যাকার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 78 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
হ্যাকিং নিয়ে সবাই ভাবে, এন্টি হ্যাকিং নিয়ে কেউ ভাবে না। আমি দেখি হ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য কিছু করতে পারি কিনা... এন্টি-হ্যাকারের ব্লগ
প্রথম শ্রেনীর একটা টিউন।আপনাকে ধন্যবাদ।