বি.দ্রঃ এই টিউনের লেখা দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে টেকটিউনস বা আমি দায়ী থাকব না।
টেকটিউনস এ লেখা লেখির সুবাদে অনেকের কাছেই ওয়াইফাই হ্যাকিং নিয়ে প্রশ্ন পাই। টেকটিউনস এ এই নিয়ে অনেক টিউন আছে। কিছু কিছু টিউন অনেক ভাল। আপনারা একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। কিন্তু এই ওয়াইফাই হ্যাকিং এর একটু প্রয়োজনীয় জিনিস হল ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টার বা ওয়াইফাই কার্ড। কারণ অনেকেই পিসি তে ভার্চুয়াল বক্সে লিনাক্স সেটআপ দেয় এবং সেটা দিয়ে ওয়াইফাই হ্যাক করতে চায়।
কিন্তু বেশিরভাগ বিল্ট-ইন ওয়াইফাই কার্ড এভাবে ভার্চুয়াল বক্সে কাজ করে না। তাই অনেকেই হায়-হুতাশ করে টিউন দিয়ে বসেন হেল্প চান। তাদের জন্য আজকের টিউন। এই টিউন আমি আপনাদের জানাব ওয়াইফাই হ্যাকিং এর জন্য কোন ধরনের ওয়াইফাই কার্ড বা অ্যাডাপ্টার আপনার কেনা দরকার এবং ওয়াইফাই হ্যাকিং শুরু করার পূর্বে কি কি জিনিস মাথায় রাখা দরকার।
টওয়্যারএই টিউনে আমি কিভাবে ওয়াইফাই হ্যাক করতে হয় তা দেখাব না। তবে আপনি যেকোনো ওয়াইফাই হ্যাক করতে চাইলে আপনাকে আগে দেখতে হবে ওয়াইফাই তে কীরকম নিরাপত্তা দেয়া আছে। অর্থাৎ পাসওয়ার্ড কেমন? সিকিউরিটি কোন লেভেলের। এসব মাথায় রেখে আপনাকে ভাল এবং পাওয়ারফুল হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
কারণ আপনার কাছে প্রয়োজনীয় যন্ত্র জিনিস থাকলেই যদি পাওয়ারফুল সফটওয়্যার ব্যবহার না করেন তাহলে কোনোভাবেই ওয়াইফাই হ্যাক করা সম্ভব হবে না। তবে আপনি যদি কালি লিনাক্স ব্যবহার করেন তাহলে সেখানে অনেক সফটওয়্যার বিল্ট-ইন অবস্থায় আছে।
আবার আপনার কাছে যদি পাওয়ারফুল সফটওয়্যার থাকে কিন্তু আপনার পিসি যদি কচ্ছপ এর মত কাজ করে তাহলে ওয়াইফাই হ্যাকিং এর আশা ছেড়ে দিন। কারণ এই রকম পিসি দিয়ে আর যাই হোক ওয়াইফাই হ্যাক করা সম্ভব না। কারণ বেশিরভাগ ভাগ সময় ওয়াইফাই এর সিকিউরিটি ভাঙ্গার জন্য বিশাল পরিমাণ সংখ্যা বা পিন জেনারেট করার দরকার পরে।
কারণ নতুন ওয়াইফাইগুলো যেগুলো WPA 2/Psk সিকিউরিটি ব্যবহার করে সেগুলোর সিকিউরিটি বাইপাস করা অনেক অনেক কঠিন। যদি আপনার ওয়াইফাই এর অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে অত্যন্ত ভাল ধারণা না থাকে তাহলে কোনভাবেই ওয়াইফাই এর সিকিউরিটি ভেঙ্গে ঢুকতে পারবেন না। এমন অবস্থায় আপনাকে বিকল্প জিনিস চিন্তা করতে হবে। তাই একসাথে অনেক পিন জেনারেট করার জন্য আপনার একটি ভাল এবং ক্ষমতা সম্পন্ন পিসি থাকা আবশ্যক।
ওয়াইফাই হ্যাক করার জন্য অবশ্যই পাওয়ারফুল একটি ওয়াইফাই কার্ড লাগবে। এবং ওয়াইফাই হ্যাক করার জন্য আপনার ওয়াইফাই কার্ডে অবশ্যই নিচের দুইটি ফিচার থাকা লাগবে।
১।চারপাশের সব ওয়াইফাইকে মনিটর করার ব্যাবস্থা
২।একই সাথে প্যাকেট ইঞ্জেক্ট করা এবং ক্যাপচার করার সুবিধা
যেসব অ্যাডাপ্টার এই কাজগুলো করতে পারে না সেগুলো দিয়েও আপনি ওয়াইফাই ক্র্যাক করতে পারবেন। তবে আপনার অনেক সমস্যা হবে। তাই এই দুইটি বিষয় মাথায় রেখে ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টার কিনবেন।
সাধারণ ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টার গুলো শুধু ওয়াইফাই এর প্যাকেট ক্যাপচার এবং সেন্ড করতে পারে। কিন্তু যখন কোন ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে জাব তখন আমাদের ওয়াইফাই তে কানেক্ট না হয়েই প্যাকেট ক্যাপচার করতে হবে। এবং একি সাথে ওয়াইফাই এর উপর নজর রাখতে হবে। এ কাজটি করার জন্য ওয়াইফাই কার্ড কে মনিটর মোড এ নিয়ে যাওয়া হয়। তাই আপনার ওয়াইফাই কার্ড এ যদি এই ফিচারটি না থাকে তবে আপনি সেই কার্ড দিয়ে শুধু ওয়াইফাই তে কানেক্ট করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারবেন না।
প্রায় সব ওয়ারলেস অ্যাটাকে ওয়াইফাই তে প্যাকেট ইঞ্জেক্ট করার দরকার পরে। এবং একি সাথে অই ওয়াইফাই থেকে যেসব প্যাকেট বাইরে সেন্ড করা হচ্ছে তা ক্যাপচার করা লাগে। এরকম কাজ শুধু মাত্র কয়েকটি ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টারই করতে পারে। তাই আপনাকে এই জিনিসটি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
আপনার ল্যাপটপের বিল্ট-ইন ওয়াইফাই কার্ড এই কাজটি করতে পারে না। কারণ ল্যাপটপ বানানোর সময় এই চিন্তা করে বানানো হয়নি। তাই আমাদের পাওয়ারফুল কিছু দরকার। যা দিয়ে আমরা এই কাজগুলো করতে পারব। ওয়াইফাই তে সবচেয়ে নিম্নমানের সিকিউরিটি হল Wep, এই wep ওয়ে সিকিউরিটি ভাংতে প্রায় ৫ লাখ এর মত প্যাকেট ক্যাপচার করা লাগে। তাই আপনার ওয়াইফাই কার্ড যদি একই সাথে প্যাকেট ক্যাপচার এবং সেন্ড করতে না পারে তবে আপনাকে শুধু মাত্র একটি wep সিকিউরিটির ওয়াইফাই হ্যাক করতে কয়েক সপ্তাহ ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকতে হবে।
আপনি যদি ভার্চুয়াল বক্সে কালি লিনাক্স ইনস্টল দিয়ে ওয়াইফাই হ্যাক করতে চান তাহলে আপনাকে ইউএসবি ওয়াইফাই কার্ড কিনতে হবে। কারণ ভার্চুয়াল বক্স ইন্টারনাল ওয়াইফাই কার্ড দিয়ে কাজ করতে পারে না। আবার বেশিরভাগ ইন্টারনাল ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টার ওয়াইফাই হ্যাক করার জন্য তৈরি করা হয় না। তাই একটু ইউএসবি ওয়াইফাই কার্ড কিনে নেয়াই ভাল।
আপনি যদি কালি লিনাক্সকে সরাসরি আপনার পিসিতে ইনস্টল দেন তাহলে আপনি আপনার কম্পিউটারের বিল্ট-ইন ওয়াইফাই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। ওয়াইফাই হ্যাকিং এর সময় সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি দরকার সেটি হল ধৈর্য। কারণ একটি সাধারণ ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে।
এবং যদি ওয়াইফাই তে বিশেষ সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তাহলে ঠিক কতদিন লাগবে তা বলা যায় না। তবে আপনি যাই করুন না কেন। আগে এ সম্পর্কে আপনাকে জেনে নিতে হবে। কারণ ধরুন আপনি কোন ভাবে একটি ওয়াইফাই হ্যাক করে ফেললেন। আপনি অই ওয়াইফাই তে কানেক্ট হবার সাথে সাথে আপনার ম্যাক অ্যাড্রেস অই ওয়াইফাই তে সেভ হয়ে গেছে। এবং এই ম্যাক অ্যাড্রেস দিয়ে আপনাকে ধরে ফেলা সম্ভব। তাই এ সম্পর্কে জেনে নিন।
আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। টিউনটি কেমন হল তা অবশ্যই জানাবেন।
আমি আশরাফুল ফিরোজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 77 টি টিউন ও 35 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
tnx…bro.onk kisu jante parlam