আসসালামু আলাইকুম,
আজকে একজন ওয়েবসাইট হ্যাকারের স্কিল,কম্পিউটার হ্যাকার স্কিল ও এক হ্যাকারের স্কিল সমূহ এবং কিভাবে হ্যাকারটা নতুন নতুন বাগ বাহির করতেছে তা নিয়ে আলোচনা করব।
১।ওয়েব হ্যাকিং এর ব্যাপারে তার খুঁটিনাটি জ্ঞান থাকবে। (হ্যাকিং এর বিভিন্ন জিনিস গুলোর সংজ্ঞা, হ্যাকিং এর কমন পদ্ধতি গুলো পদ্ধতি গুলোর ডিটেইলস)
২।প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকবে।পিএইচপি, এসকিউএল এবং ওয়েবসাইট হ্যাকিং এ যেসব প্রোগ্রামিং লাগে সেগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকবে। (যদিও অনেক ভালো হ্যাকারেরই প্রোগ্রামিং ভালো মত পারে না তারাও কিন্তু হ্যাকিং প্রাকটিস করতে করতে একটু হইলেও প্রোগ্রামিং জানে।)
৩।নিজের সিকিউরিটির উপর জ্ঞান থাকবে।
৪।কম্পিটার সম্পর্কে খুঁটিনাটি জ্ঞান থাকবে।(বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম চালানোর মত দক্ষতা, আর কেউ যদি কম্পিউটার ব্যবহার না করে ফোন ব্যবহার করে হ্যাকিং করে তাইলে কি তা হ্যাকার বলবেন না? অব্যশই বলবেন)
৫।নিজেই এক্সপয়েট বানানোর মত ক্ষমতা। (এক্সপ্লয়েট বানাইতে না পারলে যে হ্যাকার হওয়া যাবে না এমনটা নয়। অনেক হ্যাকার আছে যারা এখনও এ কাজে সফল হন নাই)
৬।অব্যশই এক্সপয়েট গুলো ব্যবহার করতে পারা।
৭।টার্গেট সাইট এবং মূল্যবান সাইট হ্যাক করতে পারা। (যদিও হ্যাকারদের টার্গেট সাইট বেশির ভাগই দেশের সাইট গুলোই। টার্গেট সাইট গুলো সাধারণত নিজের স্কুলের বা আশেপাশে দেখা সাইট হয়ে থাকে।টার্গেট সাইট হ্যাক না করতে পারলেও হ্যাকার হওয়া যায়।)
৮।ইন্টারনেট জগৎ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান। (ডার্ক ওয়েব এর ব্যাপারে জানা) একজনের মাঝে এইসবগুলা স্কিল নাই কিন্তু সে ওয়েবসাইট হ্যাকিং পারে তাইলে কি তাকে ওয়েবসাইট হ্যাকার বলা যাবে না? অব্যশই যাবে তবে সাধারণত এইসব স্কিল থাকে একজন ওয়েবসাইট হ্যাকারের মাঝে।
১।কম্পিটারের সম্পর্কে খুঁটিনাটি জ্ঞান থাকবে। (কম্পিটারের আইপি এড্রেস বাহির করা থাকে শুরু করে কিভাবে সফ্টওয়ার কাজ করে,কিভাবে ভাইরাস বানায় এবং যত বিষয় আছে যেমন বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবে,সেটআপ করতে পারবে, এমনকি কম বেশি সব ট্রাবলশুটিংও করতে পারবে)
২।নিজের সিকিউরিটিরর উপর জ্ঞান থাকবে।
৩। প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকবে। (অপারেটিং সিস্টেম বানাতে যেসব প্রোগ্রামিং ব্যবহার করা হয় সেগুলো পারবে)
৪।বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের ভুলনেরাবিলিটি বাহির করতে পারবে।
৫। অব্যশই কম্পিটার হ্যাকিংয়ের যে বিষয় গুলো আছে (রেট,কিলগার ব্যবহার করে কম্পিটারে এক্সেস নিতে পারা, অপারেটিং সিস্টেমের ভুলনেরাবিলিটি এবং ব্রাউজারের ভুলনেরাবিলিটি ব্যবহার করে কম্পিটারে এক্সেস নিতে পারা,কুকি চুরি করতে পারা, ব্রাউজারের শেভ পাসওয়ার্ড বাহির চুরি করতে পারা,লগিন পাসওয়ার্ড বাইপাস করতে পারা আরও বিষয় গুলো) সেগুলো পারবে।
৬।টার্গেট অপারেটিং সিস্টেম ভুলনেরাবিলিটি বাহির করতে পারবে, টার্গেট কম্পিটার গুলোতে এক্সেস নিতে পারবে।
একজনের মাঝে এইসবগুলা স্কিল নাই কিন্তু কম্পিউটার হ্যাকিং পারে তাইলে কি তাকে কম্পিউটার হ্যাকার বলা যাবে না? অব্যশই যাবে তবে সাধারণত এইসব স্কিল থাকে একজন কম্পিউটার হ্যাকারের মাঝে।
স্কিপ্টকিডি কম্পিটার হ্যাকার সে যে প্রোগ্রামিং জানে না এবং অপারেটিং সিস্টেম ভুলনেরাবিলিটি বাহির করতে পারে না কিন্তু সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটার হ্যাকিং করে।
১।ওয়েবসাইট হ্যাকারের এবং কম্পিটার হ্যাকারের স্কিল গুলো থাকবে।
২।ওয়েবসাইট,কম্পিটার ছাড়াও বেশ কয়েক ধরণের হ্যাকিং করে একজন হ্যাকার। (ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং,সফ্টওয়ার ক্রেকিং এবং অন্যান্য যে হ্যাকিং গুলো আছে)
৩।একজন হ্যাকার তার টার্গেট হ্যাক করতে পারে। হ্যাকারের একটি টার্গেট থাকে।মনে করেন একজন হ্যাকার গুগল টার্গেট করল। কোন মতে সে গুগলের একটি সাইট হ্যাক করে ফেলল বা গুগলের কোনো একটি সফ্টওয়ার ক্রেক করে ফেলল, সেই একজন হ্যাকার।
ওয়েবসাইট হ্যাকারের এবং কম্পিটার হ্যাকারের স্কিল গুলো নাই একজনের কাছে কিন্তু সে শুধু ওয়েবসাইট এবং কম্পিউটার হ্যাক করতে পারে তাকে কি হ্যাকার বলা যাবে না? হুমম যাবে। তবে শুধু ওয়েবসাইট হ্যাকার এবং কম্পিউটার হ্যাকার।একজন হ্যাকার বিভিন্ন ধরণের হ্যাকিং করেন। তারমানে এই না যে একজন হ্যাকার হতে হলে সব ধরণের হ্যাকিং পারতে হবে।সর ধরণের os ব্যবহার করা জানতে হবে। ওয়েবসাইট,কম্পিউটার,ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য আরোও যত প্রকার জিনিস যেসব আমরা হ্যাকিং বলতে বুজি সেসব হ্যাক না করেও হ্যাকার হওয়া যায়।
হ্যাকিং কি তা কি আপনি জানেন? আসুন দেখে নেই।
Answer:Hacking is the practice of modifying the features of a system, in order to accomplish a goal outside of the creator's original purpose.
- See more at: http://whatishacking.org/
এর মানে হল কোন কিছুর বা কোন সিস্টেমের ফিচার মোডিফাই করা। এখন আপনি যদি ফ্রিজের ফিচার মডিফাই করেন তাইলেও আপনি হ্যাকার।তবে ফ্রিজ হ্যাকার 😜😛
যেহেতু হ্যাকার হতে চান সেহেতু আপনি প্রথমে চিন্তা করে নিন যে আপনি কি রকম হ্যাকার হতে চান।তারপর সেই অনুযায়ী আগান এনং হ্যাকারদের মত চিন্তা করতে শিখুন।আপনি যদি এখন জিজ্ঞাস করে যে হ্যাকাররা কিভাবে চিন্তা করে তাইলে শুনেন।আপনি যদি কোন হ্যাকারকে একটা খেলনা দেন তাহলে হ্যাকার প্রথমে খেলনাটি কিভাবে কাজ করতেছে,কিভাবে বানানো হইছে তা বাহির করবে।
সে রকমই আপনি একটি সাইট হ্যাক করতে চান তাইলে আগে জানুন যে সাইটটি কিভাবে কাজ করে,কিভাবে সাইটটি বানানো হইছে তা জানুন (সাইট কিভাবে বানায় কি কি সাইটের কমন বাগ গুগল করে তা নিজ দায়িত্বে বাহির করুন)। মনে করেন খেলনাটি একটি রিমুট কন্টোল বাস। হ্যাকার এখন দেখল যে বাসটি সামনে যাচ্ছে আর পিছনে যাচ্ছে কিন্তু উড়ছে না আর ডানে বামে যাচ্ছে না।
হ্যাকার এখন চিন্তা করবে যে উড়তেছে না বা ডানে বামে বাসটি যাচ্ছে না কেন?এইযে অন্য চিন্তাটা করল তখন হ্যাকার চেষ্টা করে বাসটি ডানে বামে নিয়ে যেতে বা উড়াতে।ঠিক সেভাবেই হ্যাকাররা নতুন নতুন বাগ বাহির করতেছে নতুন চিন্তা করে।হ্যাকাররা সবসময় ভিন্নভাবে চিন্তা করে। আপনিও ভিন্নভাবে চিন্তা করতে শিখুন। ভুল কিছু বললে জানাবেন।
আমি মোঃ রেজওয়ানুল হক স্বজন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।