আসসালামু আলাইকুম
আজকে বিভিন্ন প্রকার হ্যাকিং ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে হ্যাকাররাও অনেক এডভান্স হয়ে গেছে কিন্তু আপনি আমি কতটুকুই বা শিখতে পেড়েছি। আমাদের এখনও তো ফেসবুক জ্বরই কাটেনি। তাও এখন অনেকেই হ্যাকার হইতে চাই। হ্যাকিং বলতেই প্রথমে আমরা বুজতাম ফেসবুকের আইডি হ্যাকিং। যারাই হ্যাকিং এ আসি তারাই প্রথমে ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে চাই। তারপর যখন জানতে পারি যে ফেসবুক আইডি হ্যাকিং এর সব পদ্ধতি social engineering তখন বেশির ভাগই ওয়েব সাইট হ্যাকার হইতে চাই।তখন অন্যদের জিজ্ঞাসা করা শুরু করি। তারপর কয়েকটি method দিয়ে কয়েকটি সাইট হ্যাক করে নিজেকে হ্যাকার ভাবি। হ্যাকিং জিনিসটা কিন্তু অনেক বড়। দুই চারটা সাইট ডিফেস দিয়ে আমরা যদি মনে করি যে আমরা হ্যাকার হয়ে গেছি তাহলে এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। দুই চারটা সাইট ডিফেস দিলেই হ্যাকার ত হওয়াই যায় না এমনকি ওয়েবসাইট হ্যাকারও হওয়া যায় না।
সময় এসেছে পরিবর্তন হওয়ার
হ্যাকাররা হ্যাকিংয়ে অনেক এডভান্স হয়ে গেছে আপনি আমি পিছিয়ে থাকব কেন। হ্যাকিং যে অনেক প্রকার তা কি আমরা জানি? হ্যাকিং অনেক প্রকার হয়ে থাকেঃ আইডি হ্যাকিং,মোবাইল হ্যাকিং,ব্লুটুথ হ্যাকিং,ওয়েবসাইট হ্যাকিং,কম্পিউটার হ্যাকিং,সফটওয়্যার হ্যাকিং,হার্ডওয়্যার হ্যাকিং,os হ্যাকিং,সি সি কক্যামেরা হ্যাকিং,ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং,ওয়াইফাই জোন হ্যাকিং,স্যাটালাইট হ্যাকিং, ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক হ্যাকিং, রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি হ্যাকিং,Reverse Engineering,কর্পোরেট সিক্রেট হ্যাকিং,ফোন নেটওয়ার্ক হ্যাকিং,network routers আর switches,লাইভ হ্যাকিং,hacking into cars, compromising TV,Hijacking houses,atm booth হ্যাকিং,automotive হ্যাকিং আরো হাজার প্রকার হ্যাকিং আছে।
আমাদের আশে পাশে অনেকেই অনেক কিছু করছে। দেখবেন কেউ ওয়েব ডেপলপিং করতেছে, কেউ ওয়েব ডিজাইনিং করতেছে,কেউ সফ্টওয়ার বানাচ্ছে,কেউ রিজার্ভ ইঞ্জিনিয়ারিং করতেছে,কেউ নেটওয়ার্কিং এর কাজ করতেছে,কেউ গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করতেছে,কেউ সিম ক্লোনিং করতেছে।
যেহেতু হ্যাকিং এ এডভান্স হয়ে গেছে অনেকেই। সেহেতু অনেকেই ডিফেসিং বাদ দিয়ে ওয়েববেস পেনটেস্টিং করতেছে অনেকেই আবার কম্পিউটার বেস হ্যাকিং করতেছে,বিভিন্ন ওয়াইফাই জোন হ্যাকিং ছাড়াও ভাইরাস ছড়ানোর কাজও করতেছে অনেকেই,ওয়েববেস ছাড়াও অন্যান্য পেনটেস্টিং প্লাটফর্মেও কাজ করছে অনেকেই,সি সি ক্যামেরা হ্যাকিং,ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং এসবও করছে অনেকে, সফ্টওয়ার ক্রেক করতেছে অনেকেই,হার্ডওয়ার হ্যাকিংও করছে অনেকেই।
তবুও কিছু জিনিস করা হচ্ছে না যেমনঃ
স্যাটালাইট হ্যাকিং, ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক হ্যাকিং, রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি হ্যাকিং।
সময় এসেছে পরিবর্তন হওয়ার সবাই এখন ওয়েবসাইট হ্যাকিং এ ব্যস্ত কিন্তু যারা এডভান্স তারা ঠিকই ওয়েববেস হ্যাকিং ছেড়ে কম্পিউটার বেস হ্যাকিং করা শুরু করেছে।
আমাদের এখন হ্যাকিং এর প্লাটফর্ম পরিবর্তন করতে হবে। এখন এখন কম্পিউটার হ্যাকিং এ নজর দেয়া দরকার। computer hacking (os hacking,keylogger, rat, remotely login password bypass,ফিজিক্যালি login password bypass,software password bypass,browser vulnerablity),wifi hacking (wifi jam,wifi login password crack) কম্পিউটার এর Active Password না জেনে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা, folder password bypass,same lan computer hacking। কম্পিউটার হ্যাকিং এর আরোও যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে জানতে হবে এবং শিখতে হবে।
কম্পিউটারবেস হ্যাকিং এর শোঅফ যেভাবে করবেন
ওয়েববেস হ্যাকিং এ সবার এত আগ্রহ কেন জানেন? কারন চারপাশেই শুধু ডিফেসিং এর শোঅফ দেখে সবাই ওয়েববেস হ্যাকিং এ আগ্রহী হয়ে যায়। এমন কি ওয়েববেস হ্যাকিং এর টিউটোরিয়াল,ইবুক ও বেশি। ডিফেসিং যেমন ওয়েববেস হ্যাকিং এর সবটা নয় শুধু মাএ একটি পার্ট ঠিক তেমনি ওয়েববেস হ্যাকিংও হ্যাকিং এর একটি পার্ট মাএ। কম্পিউটার বেস হ্যাকিংও ঠিক তেমনি হ্যাকিং এর একটি পার্ট মাএ। কম্পিউটার বেস হ্যাকিং যে মানুষ করে না তা কিন্তু নয়। অনেকেই কম্পিউটারবেস হ্যাকিং করে কিন্তু শোঅফ একদম নেই বললেই চলে। কম্পিউটারবেস হ্যাকিং শোঅফ নেই কারনটা হতে পারে যে তারা হয়ত বুজে না যে কিভাবে কম্পিউটারবেস হ্যাকিং এর শোঅফ করবে। ডিফেসিং ওয়েববেস এর সব না এটা এখন প্রায় সবাই জানে কারন একটি সাইট ডিফেস দেওয়া ছাড়াও আরোও অনেক কিছুই করা যায়। ওয়েববেস থেকে যদি আমরা কম্পিউটারবেস হ্যাকিং এ সবাইকে আগ্রহী করতে চাই তাহলে কম্পিউটারবেস হ্যাকিং এর শোঅফ করতে হবে।
কম্পিউটারবেস হ্যাকিং এর শোঅফ যেভাবে করবেনঃ
আমরা ওয়েববেস হ্যাকিং এ ডিফেসিং করার পর প্রমাণ হিসেবে মিরর করি ঠিক তেমনি এখন কম্পিউটারবেস হ্যাকিং করার পরেও তো প্রমাণ রাখতে হবে। প্রমাণ রাখার জন্য ভিডিও করে তা শোঅফ করতে হবে। তাই যা করতে হবে তা হচ্ছে ভিডিওতে যেই কম্পিউটারে আপনি এক্সেস পাইছেন তার এমন কিছু শো করতে হবে যা দিয়ে সবাই বুজবে যে আপনি আসলেই হ্যাক করতে পারছেন। অর্থাৎ আপনি ভিডিওতে যেই কম্পিউটারে এক্সেস পাইছেন (যে কোন পদ্ধতিতে) সেই কম্পিউটারের আইপি এড্রেস বা এমন কিছু শো করবেন যা সব পিসিরই আলাদা আলাদা (তাই বলে আলাদা আলাদা ডেস্কটপ লুক দেখাইয়েন না)। ভিডিও করার পর তা কোন আপলোড এর সাইটে আপলোড করে দিবেন তারপর সেই লিংকটা শোঅফ করবেন।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে যদি কেউ নিজের পিসিরেই আইপি এড্রেস দিয়ে ভিডিও করে ছেড়ে দেয় ল্যামিং করে তখন? ল্যামিং ছিল,আছে,থাকবে। তাই ভিডিওতে এমন কিছু শো করতে হবে যা প্রতি পিসির আলাদা।
হ্যাপি শোঅফিং
আপনি যদি প্রশ্ন করেন যে ভাই ওয়েববেস হ্যাকিংই ভালোভাবে পারি না আর কম্পিউটার হ্যাকিং। উওরে বলতে চাই ভাই আপনি কি করবেন আর না করবেন তা আপনার ব্যাপার ওয়েববেস ছাড়াও যে আরোও অনেক হ্যাকিং আছে এবং কেউ যদি ওয়েববেস ছেড়ে এডভান্স কিছু করতে চায় তাইলে তার কম্পিউটার বেস হ্যাকিং করা উচিৎ আমি শুধু এই বিষয়টা শেয়ার করলাম। আপনার যদি কম্পিউটার বেস হ্যাকিং শিখার আগ্রহ থাকে তাহলে কম্পিউটার বেস হ্যাকিংয়ের বিষয়গুলো গুগল করে শিখুন।
ভুলে ভরা ভুবন। ভুল করলে ক্ষমা করবেন এবং কি ভুল করেছি জানাবেন।
আমার ফেসবুক আইডি
mobile.facebook.com/100009039018516
আমি মোঃ রেজওয়ানুল হক স্বজন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।