ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর যৌক্তিক কৌশল বা ইংলিশে দক্ষতা বাড়ান খুব সহজেই

ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর যৌক্তিক কৌশল

একটি গান যখন আমরা দিনের পর দিন শুনি, তখন স্বভাবতই এর কয়েকটি লাইন অবচেতন মনে আমাদের মাথায় গেঁথে যায় (সেটা বিদেশি ভাষার গান হলেও)। ইংরেজি বা যে কোন ভাষা শিক্ষার ব্যাপারটাও ঠিক তেমন। আপনি যত “শুনবেন” (Listening), “পড়বেন” (Reading) আর “দেখবেন” (Observation/Repetition), আপনার দক্ষতা ততোই বাড়তে থাকবে। একটি ছোট শিশু যখন প্রথম ভাষা শেখে, তখন সে নীচের কয়েকটি টেকনিক প্রাকৃতিকভাবে ব্যবহার করে থাকে-
১। তাৎক্ষনিক পর্যবেক্ষণ ও পুনরাবৃত্তিঃ বড়দের বলা শব্দ নকল করা শিশুদের ভাষা শিক্ষার অন্যতম কৌশল। প্রথমে একটি সিলেবল এর শব্দ যেমন- না, দে, খা ইত্যাদি। তারপর দুটি- খাবা, বাবা, যাবা, এবং তারপর যথারীতি ছোট ছোট বাক্য।
২। ক্রমাগত শ্রবণঃ শিশুরা সবসময়ই প্রতিনিয়ত অবচেতন মনে অনেক শব্দ শুনে থাকে যেগুলোর অল্প অল্প তার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে যায়গা করে নেয়। একটা সময় পর সে মনের অজান্তেই কিছু শব্দ ও বাক্য বলতে পারে।
৩। বাস্তব-জীবনের অভিজ্ঞতাঃ ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা প্রায়ই একটি শব্দ ব্যবহার করি আর তা হচ্ছে- schema, যার মানে মস্তিষ্কে সংরক্ষিত পুর্বের অভিজ্ঞতা (এটা বড়-ছোট সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)। শিশুরা কিছু শব্দ শারীরিক চলাচল বা কোনকিছুর ব্যবহার দেখে শেখে। যেমন আপনি চেয়ার এ প্রতিদিন বসছেন। বসার জন্য একটি শব্দ ব্যবহার করছেন আর চেয়ারটার জন্য আরেকটি। শিশু এই বিষয়গু্লো খেয়াল করে পরবর্তীতে তা নিজেও বলতে পারে। যেগুলো সে নিজে থেকে মনে করে বলতে পারে, সেগুলো তার schema।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে আমরা ছোটদের ভাষা শিক্ষার কৌশল (First Language Acquisition Theory) ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারি, কিন্তু বড়দের ক্ষেত্রে শিক্ষার কৌশল হবে একটু ভিন্ন। এখানে একটা বিষয় বলা প্রয়োজন যে প্রাপ্তবয়স্কদের ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে কিছু গ্রামার ও নিয়ম এর সাহায্য নিতে হয়। কিন্তু সেটা অবশ্যই বাস্তবসম্মত ও একজন বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের অধীনে হওয়া চাই। নীচের বর্ণিত কৌশলগুলি কেবলমাত্র তাদের জন্য যাদের ইংরেজির মৌলিক ধারণা আছে, যেমন- HSC/University students, educated adults, professionals, teachers, lawyers etc.
১। অনেকে ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেন লেখা দিয়ে, যেমন, গ্রামারের নিয়ম, শব্দ, বাক্য ইত্যাদি। অতঃপর? হতাশা, তারপর আবারো কোন এক সময় কোন ম্যাজিক দেখানো কোচিং সেন্টারের দ্বারস্থ হয়ে ইংরেজি শেখার আশা। আমাদের এই গতানুগতিক প্রথার বাইরে আসতে হবে। প্রথমত, আপনাকে যা করতে হবে তা হল- প্রচুর পড়তে আর শুনতে হবে। এতে “schema” উন্নত হয়। প্রথমে ইংরেজি গল্পের বাচ্চাদের সংস্করণ (যদি মনে করেন আপনার ইংরেজির দক্ষতা এখনও পাথমিক পর্যায়ের), তারপর ছোট গল্প, তারপর পত্রিকা ও উপন্যাস। শুনার জন্য কার্টুন, মুভি, গান ইত্যাদি। কতটুকু বুঝতে পারছেন তাতে কিছু যায় আসে না। শুনে যেতে হবে, আর সাথে পড়ার অভ্যাস গড়তে হবে। এতে তাৎক্ষণিক কোন ফল আসবে না, কিন্তু মাসের পর মাস এটা করতে থাকলে আপনি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন ইংরেজিতে আপনার বোঝা ও বলার ক্ষমতা বাড়ছে (ঠিক যেমন শিশুরা শুনে ও দেখে একসময় অনেক কিছু শিখে ফেলে)। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে প্রচুর পড়লে ও শুনলেই কেবল ভাল বলতে ও লিখতে পারা যায়।

Elements of language and their connections (in terms of impact on each other)
ইংলিশ মুভি দেখার কৌশলঃ অনেকে বুঝেন না বলে ইংলিশ মুভি দেখেন না। কিন্তু ইংলিশ মুভি না দেখলে আপনি কখনোই ভাল ইংরেজি বলতে পারবেন না। কারণ? একমাত্র ইংলিশ মুভিতেই আপনি পাবেন authentic language use বা বাস্তব জীবনের ব্যবহারিক ভাষার ধরণ। একটা উদাহরণ দেই- আপনি শিখলেন how are you? মানে তুমি কেমন আছ বা কী খবর? কিন্তু আপনি মুভি দেখলে জানতে পারবেন যে how are you? বলার পাশাপাশি একজন native speaker কথ্য ভাষায় ‘sup? বলে যার মানে “কী খবর?” (“what’s up” এর সংক্ষিপ্ত সংস্করণ)। এই বিষয়টি আপনার জানা না থাকলে বলা দূরের কথা কেউ বললেও বুঝতে পারবেন না। এসব কারণে বাংলাদেশের অনেকেই ইংরেজিতে “দক্ষ” হওয়ার পরেও “বিদেশিদের ইংরেজি” বুঝতে পারেন না। কথার টানও (accent) এর একটি কারণ। আপনাকে যা করতে হবে তা হল একই মুভি দুইবার করে দেখতে হবে। প্রথমে সাবটাইটেলসহ তারপর সাবটাইটেল ছাড়া। দ্বিতীয়বার দেখার সময় মুভির বিষয় ও সংলাপ বুঝতে আপনার আগেরবারের অভিজ্ঞতা কাজে আসবে।
২। এর পাশাপাশি আপনি ইংরেজি ভাষার উপর ভাল মানের বই পড়তে পারেন। কিন্তু কোন গতানুগতিক গ্রামার বই নয়। বিজ্ঞাপনের চটকদার ভাষা যেমন- শটগান কোর্স, ম্যাজিক বুক, ২০ দিন/ ২১ দিনে ইংরেজি শিখুন ইত্যাদি দেখলেই চোখ বুজে ফেলতে হবে। তাহলে ভাল বই চেনার উপায়? কোন উন্নত মানের বই এর জন্য এই ধরনের কোন ভাষার প্রয়োজনই নেই! আপনি দেখে নেবেন বইটি কোনধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরী (language level like “beginning”/ “intermediate” etc.), এতে ইংরেজির কোন বিষয়ের উপর ধারণা দেয়া আছে, লেখক এর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কী ইত্যাদি। এই ক্ষেত্রে শুধু IELTS SCORE দিয়ে কারো যোগ্যতা যাচাই হয় না। এই ধরনের একটি চমৎকার বই হচ্ছে Essential Grammar in Use by Raymond Murphy, 3rd edition (2nd edition হলেও চলবে)। ইংরেজি গ্রামারের দূর্বলতা দূর করতে এটি একটি কার্যকরী বই। এটি পুরোপুরি ইংরেজিতে লেখা। তাতে ভড়কে না গিয়ে বইয়ে দেয়া exercise গুলি করতে থাকুন। এতে চমৎকারভাবে সহজ ভাষায় ও বিভিন্ন চিত্র ও উদাহরণের মাধ্যমে গ্রামারের জটিল বিষয়কে practical usage সহ ব্যাখ্যা করা আছে।
৩। আপনার ধারণা আপনার ইংরেজির গ্রামার আর লেখার দক্ষতা বেশ ভাল, তারপরও আপনি এই ভাষাটি বলতে পারেন না, এর একটাই কারণ- আপনি ইংরেজি কথা বলা তেমন চর্চা করেন না বা করতে গিয়ে লজ্জাবোধ করেন। যদি লজ্জাবোধ কাটাতে না পারেন, তাহলে চোখ বন্ধ করে একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলুন। আপনার দ্বারা এটি হচ্ছে না! কথা বলতে পারার জন্য আপনাকে কথা বলতেই হবে। এই ক্ষেত্রে একজন পার্টনার যোগাড় করে নিতে হবে যিনি আপনার মতোই ইংরেজি চর্চা করতে আগ্রহী। আপনি কথা না বলতে চাইলে কোন অলৌকিক পদ্ধতি বা কোর্স নেই যা দিয়ে আপনাকে স্পীকিং শেখানো যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে আবারো ম্যাজিক/বুলেট প্রলোভন থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে ভাল শিক্ষকের অধীনে Spoken English course এর ফল পাওয়া যায়, কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কথা বলার চর্চা আপনাকেই করতে হবে। কোন কোর্স কোন কম্পিউটার সফটওয়্যার না যা আপনি চেষ্টা না করলেও দক্ষতা আপনার মধ্যে ইন্সটল করে দেবে।
৪। ইংরেজি পত্রিকা ও অন্যান্য বই পড়ার অভ্যাস না করলে আপনি কখনোই advanced level user হতে পারবেন না। তবে কেবল ইংরেজি পত্রিকা পড়লেও চলবে। আপনার ভাষার দক্ষতা ভাল, মোটামুটি কথা বলতে পারেন, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে শব্দ খুজে পান না। এই ক্ষেত্রে একমাত্র পত্রিকা পড়ার অভ্যাসই আপনাকে রক্ষা করতে পারে।
পত্রিকা পড়ে vocabulary improve করার কৌশলঃ এই কৌশলটি সময় ও পরিশ্রমের দাবীদার কিন্তু অত্যন্ত কার্যকরী। আপনি প্রতিদিন যে কোন ধরনের একটি ইংরেজি সংবাদ পছন্দ করে পুরোপুরি একবার পড়ে নিন। পড়ার সময় অপরিচিত শব্দগুলোকে আন্ডারলাইন বা চিহ্নিত করুন। তারপর এগুলো একটি খাতায় বা ডায়রিতে উঠিয়ে নিন। তারপর ডিকশনারি থেকে এদের মর্মার্থ ও বাক্যের ব্যবহার কিছু সময় চর্চা করুন। এখানে মুখস্ত করার কিছু নেই। দেখে যা মনে থাকে তাই যথেষ্ট। এটি করার পর খাতাটি বন্ধ করে পুনরায় আপনি সংবাদটি পড়ুন। দেখবেন এবার আপনি সংবাদটির মানে আগের চেয়ে ভাল ধরতে পারছেন। এরকম প্রতিদিন কিছু নতুন শব্দ শিখলে কয়েক মাসে অনেক হয়ে যায়। প্রতি সপ্তাহে আগের লেখা শব্দগুলো একবার দেখে নিতে হবে। এতে কিছু ভুলে গেলে কোন সমস্যা নেই। আস্তে আস্তে নতুন শব্দ মস্তিষ্ক ধারণ করবে, যা আপনার vocabulary ও ভাষায় আরো দক্ষ করে তুলবে।
তাহলে শুরু হয়ে যাক আজ থেকেই? মনে রাখবেন, ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে কোন ধরনের “শর্টকাট” রাস্তা বা টেকনিক নেই। এখানে ম্যাজিক হচ্ছেন আপনি নিজে। আপনার একান্ত চেষ্টা ও চর্চা আপনাকে এই ক্ষেত্রে সফলতা এনে দিতে পারে। প্রতিদিন চর্চা করুন। কতটুকু শিখলেন সেটা পরিমাপ করতে যাবেন না। একটা সময় আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার ইংরেজি বলা ও বোঝার দক্ষতা অনেক বেড়ে গেছে, সেই সাথে খুলে গেছে অপার সম্ভাবনার দ্বার!

 

ভাল করে ইংলিশ শিখতে ভিডিও টি দেখুন ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আমি মোঃ আব্দুল হামিদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস