আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন। আমরা আজকে আলোচনা করব বাগ-বাউন্টি নিয়ে। আসলে এটি বাগ-বাউন্টি রিলোডেড হিসেবেই বললে ভালো হবে। আর এ টিউনটি পড়ার আগে আমাদের সাইবারট্রেন্ডজ-এর করা বাগ-বাউন্টি নিয়ে পূর্বের টিউনটিও দেখে নিতে পারেন। চলুন শুরু করা যাক। 😎
আমরা অনেকেই স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি। কিন্তু আমরা অনেকেই এখনো আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবার সুযোগ পাইনা আর ভাবলেও চারিদিকে অন্ধকার দেখি। আর মনে হয় এত বছর পড়াশুনা করে কি করলাম ? কিন্তু আমরা অনেকেই এখনো জানিই না যে আমাদের সামনে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং একটি আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার। আর আমরা আজকে সেইরকম একটি চমৎকার ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করব তা হচ্ছে বাগ-বাউন্টি। 🙂
আমরা অনেকেই হ্যাকার অথবা হ্যাকার হতে চাই কিন্তু আমরা জানি না যে হ্যাকিং বলতে আসলে কি বুঝায়। আমরা বেশিরভাগই বুঝি অন্যের সাইটে ডিফেস দেওয়া আর জোনএইচ-এ মিরর করা সেই সাথে ফেসবুকে কষে একটা স্ট্যাটাস দেওয়া। আর অনেকে তো ফেসবুক আইডি হ্যাক করে নিজেকে মার্ক জাকারবার্গ ভাবে। কিন্তু তারা জানেনা আসলে কি থেকে কি হয়েছে। আসলে সত্য কথা মুখ থেকে এমনেই বেরিয়ে যায় (আমি ফ্রুটিকা খাইছি :p)। তো হ্যাকিং আসলে তা না। এটা খুব বিশাল একটা ক্ষেত্র। যেখানে আপনি যতদুর ইচ্ছা ততদুর যেতে পারবেন। যার একটি হচ্ছে বাগ-বাউন্টি। আচ্ছা ভাবুনতো গুগলের হল অব ফেম-এর পেজে যদি আপনার নামটি থাকে তাহলে আপনার কেমন লাগবে। শুধু গুগল না যত বড় বড় অর্গানাইজেশন আছে ফেসবুক, ইয়াহু, টুইটার, আইবিএম, ইন্টেল, সনি, নোকিয়া, উবার এবং ইত্যাদি ইত্যাদি যদি আপনাকে হল অব ফেম সেই সাথে বাউন্টি দেয় তখন আপনার কেমন লাগবে। অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন। আবার অনেকেই ভাবছেন এ অসম্ভব এবং পুরোটাই ধোকাবাজি কথা। কিন্তু বাস্তবতা এটাই যে কেউ কেউ এই একটু ভাবল আর কেউ কেউ কাজ করা শুরু করে দিল এবং উপরের কথাগুলোর বাস্তবে প্রমান পেল। আমরা অনেকে জানি আবার অনেকের ধারনাই নেই যে তারা কি পরিমান বাউন্টি দেয়। কয়েকটি অর্গানাইজেশন যারা বাগ-বাউন্টি নিয়ে কাজ করেঃ
আচ্ছা এবার আসি ক্যারিয়ার নিয়ে বাগ-বাউন্টি। বাগ-বাউন্টি নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের বাগ-হান্টার বলা হয়ে থাকে। আর একজন বাগ-হান্টারকে একজন সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চার বলা যায়। একজন বাগ-হান্টারের ইনকাম কেমন হতে পারে ?- এটা নির্দিষ্ট করে বলাটা দুস্কর। কারন মাসে যদি দু-একটা ভালো বাউন্টি পাওয়া যায় তাহলে এমনিতেই ২-৩ লাখ টাকা হয়ে যায়। আর যদি বড় কোন বাউন্টি পাওয়া যায় তাহলেত আর কথাই নেই এই ধরেন ৬ লাখ বার তার বেশি। আর বছরের হিসাবে নাই গেলাম। আবার হ্যাঁ ইনকাম নাও হতে পারে যদি বাগ ধরতে না পারেন। আমাদের বাংলাদেশেও বাগ-হান্টার আছে। তাদের হয়ত অনেকেই চিনেন। তারা Hackerone, Synack-এর মত বড় বড় অর্গানাইজেশনের সাথে কাজ করে। হ্যাঁ এখন অনেকেই ভাবতে পারেন যে খালিত টাকার কথাই বলে গেলেন আর কিছু আছে কি ?- বাস্তবতা কি জানেন আমাদের সব কিছুর উদ্দেশ্য আসলে টাকাই তবে টাকাই আবার সম্মানের কাছে কিছু না। আর একজন সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চার-এর সম্মান সব জায়গাই আছে। যা আমরা ভার্চুয়াল এবং রিয়েল দুই জায়গাই দেখতে পাই।
আপনার সবই বুঝছি এখন কিভাবে কি করব ? -
শুরুতেই আপনার মনকে জিজ্ঞসা করুন আসলে আপনি কি হতে চান বা আপনার কি করতে ইচ্ছা করে। যদি আপনার হ্যাকিং কথাটা শুনলেই মনের মধ্যে কেমন করে আর সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করার অনেক ইচ্ছা জাগে তাহলে আপনাকে দিয়েই হবে এবং আপনিই পারবেন। চিন্তাভাবনা চেঞ্জ করুন সবকিছুকে একটা সিস্টেমের মত বিবেচনা করুন। বিভিন্ন হ্যাকারদের প্রোফাইল ঘাটুন। তাদের এটিচিউড খেয়াল করুন। বিভিন্ন এটাকিং মেথডস আয়ত্ত করার চেস্টা করুন এবং আস্তে আস্তে মেথডগুলো আয়ত্ত করে ফেলুন আর প্র্যাকটিস করুন। দু-একটা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে ফেলুন। রিয়েল লাইফে এগুলো ইমপ্লিমেন্ট করা শুরু করুন। আর এভাবেই আপনি আপনার লক্ষের দিকে আগাতে থাকুন। ইনশাল্লাহ আপনি সফল হবেনই।
কিছু পরামর্শঃ
ব্ল্যাক-হ্যাট ছেড়ে হোয়াইট-হ্যাটের দিকে ঝুকুন। অন্যকে উৎসাহিত করুন। সকলে মিলেমিশে কাজ করুন। নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখুন।
পেইজ- https://www.facebook.com/cybertrendzinc/
গ্রুপ- https://www.facebook.com/groups/CY133R/
দয়া করে একটু ঘুরে আসুন। আশাকরি হতাশ হবেন না।
আসলে চেস্টা করেছি কিছুটা লেখার। অনেক ভুল-ভ্রান্তি থাকতে পারে। ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি আর.বি শ্যাডো। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকটিউনস থেকে আপনার টিউনের নীতিমালা ভঙ্গের বিষয় সংশোধন করে দেওয়া হলো। আপনার টিউনটি লক্ষ করুন এবং খেয়াল করুন কোন কোন বিষয় সম্পাদনার মাধ্যমে আপনার টিউনটিকে টেকটিউনস নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। আপনার পরবর্তী সকল টিউনে টেকটিউনস নীতিমালা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হল।
টেকটিউনস দ্বারা সংশোধিত অংশ পুনরায় পরিবর্তন করে আবার নীতিমালার ভঙ্গের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হলে এবং আপনার পরবর্তী টিউনে এ বিষয়ের পুনরাবৃত্তি হলে পুনরায় কোন প্রকার সতর্ক বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই টিউন অপসারণ/মুছে ফেলা এবং বারংবার নীতিমালা ভঙ্গের জন্য টিউনারশীপ সাময়িক বা স্থায়ি ভাবে বরখাস্ত করা হতে পারে।