আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সবাই ভালো আছেন । আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করলাম । আমরা বর্তমানে প্রায় অনেকেরই হ্যাকিং শেখার ইচ্ছা । অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় যে শুরুর দিকে অনেকেই হ্যাকিং শিখতে বা অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং করার জন্য বিভিন্ন রকম টুলস , লগার , ফিশিং এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে । কিন্তু শুধু মাত্র এই গুলকেই কিন্তু হ্যাকিং এর আওতায় আনা যায় না । আসলে আমার দৃষ্টিতে এই গুলো খুব বড় মাপের হ্যাকিং টেকনিক নয় ।একজন প্রকৃত মাপের হ্যাকার হতে হলে যে যে বৈশিষ্ট্য বা দক্ষতা আপনার মধ্যে থাকতে হবে তা আজকে তুলে ধরলাম ।
হ্যাঁ । এটা সবার আগে দরকার ।তবে বেসিক স্কিল বলতে আবার মনে করবেন না যে নেট চালানো জানা কিংবা টুকি টাকি বিষয় গুলোকে বুঝানো হচ্ছে । এই বেসিক এর অর্থ হল যে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে উইন্ডোজ এর কমান্ড এর ব্যবহার করা হয় ,রেজিস্ট্রি এডিট করা , ম্যাক এড্রেস বা আইপি পরিবর্তন করা ইত্যাদি ।
এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।একজন হ্যাকার কে প্রকৃত পক্ষে নেটওয়ার্কিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হবে ।
যেহুতু শতকরা ৮০ % হ্যাকিং এর কাজ নেটওয়ার্কিং এর উপর ভিত্তি করে করা হয় তাই আপনি যত ভালো নেটওয়ার্কিং স্কিল থাকবে আপনি তত দ্রুত সাকসেস পাবেন । এ ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকা উচিত ।
হ্যাকিং মানেই তো প্রোগ্রামিং । হ্যাঁ আসলে প্রোগ্রামিং ছাড়া হ্যাকিং অসম্ভব । অনেকে বলবেন কেন? বিভিন্ন টুলস দিয়ে তো অনেক রকম হ্যাকিং করা যায় ।কিন্তু আসলে এই টুলসগুলো সবগুলই কিন্তু প্রোগ্রামিং এর ভিত্তি করে বানানো । তাই এক্ষেত্রে আপনাকে ভালো মানের হ্যাকার হতে হলে প্রোগ্রামিং আপনাকে জানতে হবে । ভালো মাপের প্রোগ্রামার রা নিজেরাই নিজেদের মত করে বিভিন্ন টুলস,লগার তৈরি করে থাকে । প্রোগ্রামিং শেখার শুরুতে আপনি শিখতে পারেন C ,C++ ,Php , Python ইত্যাদি । মনে রাখবেন যত বেশি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ আপনি জানবেন আপনি হবেন তত এক্সপার্ট
আমি আগেও একটা কথা বলেছি অনেককেই যে হ্যাকিং খুব সহজ বিষয় নয় । অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোন একটা বিশেষ কাজে আপনি বার বার ফেল হচ্ছেন বা হ্যাকিং করে গিয়ে কোডিং এর কোন সমস্যা সমাধান করতে পাচ্ছেন না ।তাই বলে হাল ছেড়ে দিবেন না । দৃঢ় মানুষিকতা রাখুন এবং চেষ্টা করে যান । হাল ছেড়ে দিলেন তো সেটার সমাধান আর আপনাকে দিয়ে হবে না ।
লিনাক্স একটি বিশেষ ধরণের অপারেটিং সিস্টেম যা মূলত হ্যাকারদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম শীর্ষে । সাধারণ উইন্ডোজ না চালিয়ে লিনাক্স ব্যবহার করতে শুরু করুন ।হ্যাঁ শুরু দিকে একটু কঠিন মনে হবে তবে আস্তে আস্তে সব সহজ হয়ে যাবে আপনার কাছে। এছাড়াও লিনাক্স এর বিশেষ কিছু টুলস আর সুবিধা আছে যা আপনি অন্য অপারেটিং সিস্টেমগুলো তে পাবেন না ।
এটা হল একটি বিশেষ মেধা যা একজন ভালো মানের হ্যাকার মধ্যে থাকাটা জরুরি । সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মানে হল আপনার আশেপাশের মানুষের কথাবার্তা , চালচলন পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন সময় হ্যাকিং এর কাজ চালানো । সাধারণ মাপের সিকিউরিটি গুলো খুব সহজেই এই পধতি ব্যবহার করে ব্রেক করা যায় ।
এই বিষয়টি অনেকটা প্রোগ্রামিং এর সাথেই সম্পর্কযুক্ত । বিভিন্ন রকমের স্ক্রিপ্ট বানানো আপনাকে জানতে হবে কারণ হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট মেথড অনেক জায়গাতেঁই কাজে লেগে যায় । এমনকি আপনি যদি ভালমাপের স্ক্রিপ্ট মেকার হন তাহলে অনেক বাঘা বাঘা সাইট এর ফিশিং পেজ আপনি নিজেই বানাতে পারবেন ।
এর মানে হল কোড ব্রেক করার ক্ষমতা । পাসওয়ার্ড ব্রেক , এটিএম কার্ড ব্রেক , এডমিন কন্ট্রোল ব্রেক সব কিছুই এই পধতির সাথে সম্পর্কযুক্ত । সহজ ভাষায় সাইটোগ্রাফি বলতে বুঝায় encode কে decode করা আর decode কে encode করা ।
হ্যাঁ আপনাকে অনেক কষ্ট করার মন মানুষিকতা রাখতে হবে । কোন কাজ এ বার বার চেষ্টা করে যান ।বিফল হলে হতাশ না হয়ে চেষ্টা করে যান । সফল আপনি হবেন অবশ্যই । সব শেষে বলব যে হ্যাকিং একটি জ্ঞান চর্চার বিষয় । তাই শেখার আগ্রহ নিয়েই হ্যাকিং শিখুন কারো ক্ষতি করার জন্য নয় । ফেসবুকে এবং নেটে অনেক রিসোর্স পাবেন হ্যাকিং এর উপরে সেগুলো ফলো করুন।
চেষ্টা করতে করতে আপনি অবশ্যই হবে একজন বড় মাপের হ্যাকার । শেষে বলবো Hacking Is Not A Crime - It's an art of Awareness .
ভালো থাকুন সবাই । বিদায়
ফেসবুকে আমিঃ_ শামীম ইবতেহাজ
আমি শামীম ইবতেহাজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
খুব ভাল টিউন