হ্যাকারে-হ্যাকারে লড়াই, উদ্যোক্তাদের প্রাণান্ত (মতামতধর্মী টিউন)

গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে বেশকিছু ভাল মানের হ্যাকার গ্রুপ গড়ে উঠেছে। তাদের পাশাপাশি কিছু নামকাওয়াস্তে হ্যাকারও সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সাদা-কাল-ধূসর নানা রঙে রঞ্জিত নানা ধরনের দক্ষ-অদক্ষ আবার কখনো বা আগাছাসম হ্যাকারদের জন্ম হয়েছে বাংলায়। কার কতটুকু যোগ্যতা সেটা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার মত যোগ্যতা আমার মত সৌখিন ব্লগারের নেই, তাই আমি করিও না। তবু, উপরের লাইনটা এক বড় ভাইয়ের মুখে শুনেছিলাম বলে লিখলাম। যাহোক, মূল ঘটনায় আসা যাক।

ধারাবাহিকভাবে কিছু সাইবার যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মায়ানমারের মধ্যে। আমাদের তথাকথিত সাইবার যোদ্ধারা প্রতিপক্ষ দেশের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে অগণিত। তারাও আমাদের ছেড়ে কথা বলে নাই, আমাদের ওয়েবসাইটও হ্যাক হয়েছে অনেক। কখনো দেখা গেছে বাংলাদেশিরা জয়লাভ করেছে, সে কি বিজয় উল্লাস! হয়ত আপনিও করেছেন। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন কারো কথা? আসুন আমরা সবাই মিলে কিছু ঘটনা ভাবার চেষ্টা করি।

গণি মিয়া একজন তরুণ উদ্যোক্তা। ঝোলায় একটা বিবিএ ডিগ্রি থাকলেও চাকরি নামক সোনার হরিণকে সে বাক্সবন্দি করতে পারেনি। এদিকে বাবাও চলে আসলেন প্রায় রিটায়ার্ডের তীরে। সংসারের একমাত্র ছেলে সন্তান হিসেবে তার মাথায় অনেক দায়িত্বের বোঝা। তাই চাকরির পিছে না ছুটে নিজেই নেমে পড়েছেন ব্যবসায়। তার এলাকার রাখাইন পাড়াতে রাখাইনরা তৈরি করে তাঁতের সুন্দর কারুকাজ করা পোশাক। গণি মিয়া বুদ্ধি আঁটলেন যে তিনি এইসব জিনিস ওয়েবের মাধ্যমে বিক্রি করবেন সারা বাংলাদেশে। অল্প পুঁজির গণি মিয়া অল্প পয়সায় একজন ডেভেলপার দিয়ে তৈরি করলে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আর নেমে পড়লেন তার স্বপ্ন পূরণে। দিন তার ভালই যাচ্ছিল, আয় তার ভালই হচ্ছিল। কিন্তু সাজানো বাগানে নেমে আসল রাজার হাতির পা।

দেশে সাইবার যুদ্ধ শুরু হল, কোন সরকার যুদ্ধ শুরু করেনি। শুরু করেছে কিছু অনৈতিক হ্যাকার। তার দেশের হ্যাকাররা হ্যাক করছে অন্য দেশের ওয়েবসাইট। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন যে তার ওয়েবসাইটে বাজছে অন্য দেশের জাতীয় সঙ্গীত। তার ওয়েবসাইটটি হ্যাক হয়েছে। অথচ এই ওয়েবসাইটের উপরই তার রুজি-রোজগার নির্ভর করছে। এখন গণি মিয়া যদি কাউকে দোষ দিতে চায় তবে সেটা কাকে দেবে? যদি সে অন্য দেশের হ্যাকারকে দোষ দেয় এক্ষেত্রে তার দেশি হ্যাকাররাও সমান দোষী। সবকিছু থেকে হয়ত রেহাই পাওয়া যায় কিন্তু অভিশাপ থেকে রেহাই পাওয়া দায়।

সুতরাং আমি আমার দেশের হ্যাকিং সংশ্লিষ্ট মানুষদের বলব, আপনারা অন্য দেশের সিকিউরিটি বাগ না খুঁজে, আপনার দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ান। আমরা অত্যন্ত অনিরাপত্তার মাঝে আছি। আমাদের ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি বাগ গুলো কিভাবে আমরা ফিক্স করব সে বিষয়ে ফ্রীতে ট্রেনিং দিয়ে, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে একটি সাইবার পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তুলে নিজেদের বাংলাদেশিজম প্রকাশ করুন। আর আপনাদের বাংলাদেশিজম যদি হয় এই নোংরা সাইবার যুদ্ধ তবে আমি বলব, আপনারা সমূলে ধ্বংস হোন, ধ্বংস হোন, ধ্বংস হোন।

পূর্বে প্রকাশিত: এইখানে

Level 0

আমি মাকসুদুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 79 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

হাই! আমি মাটিন , বর্তমানে ফ্রীল্যান্স সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কাজ করছি। আমি লিনাক্স ভালবাসি এবং মুক্ত-সফটওয়্যার চেতনায় বিশ্বাস করি। তাছাড়া আমি যখন-তখন প্রোগ্রামিংয়ের অপার সৌন্দর্য্যের মাঝে হারিয়ে যাই। সংক্ষেপে, এটাই হল আমার জীবন বৃত্তান্ত। ধন্যবাদ!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাবার বিষয়।।

আমি আমার দেশের হ্যাকিং সংশ্লিষ্ট মানুষদের বলব এই কথাটি পরিবর্তন করে লিখুন

বাংলাদেশের হ্যাকিং সংশ্লিষ্ট মানুষদের।