সবাই কি ভাল আছেন?আমি ভাল।যাই হক টিউনের মুল বিষয়ে যাই।
হ্যাকিং!শব্দটা শুনলেই মনে হয় কে জানি আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেলল।আজকাল সব জায়গায় দেখবেন "হ্যাকার" আভাইলেবেল।তারা হ্যাকার কিনা বললেই বিরাট ভাব নিবে।আর এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে কি হাউমাউ করে কথা বলবে কিচ্ছু বুঝবেন না।আবার বিশেষ এক ধরনের "হ্যাকার"দের পাবেন যাদের কাজ খালি বলে বেড়ানো,"আমি অমুকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছি।তমুক আমাকে তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে বলছে।আর আমি করে দিছি।"আমি সিউর আপনি যদি কোন হ্যাকারের সঙ্গে দেখা করেন তবে বেশিরভাগই এ রকম বলবে।মোটামুটি সবার ধারনা এরকম যে ফেসবুক,ইমেইল এর পাসওয়ার্ড বের করাই হ্যাকিং।আপনিও তাই মনে করেন,ঠিক না?কিন্তু হ্যাকিং আসলে কি?
কারো অনুমতি ছাড়া কোন প্রোডাক্ট অবৈধভাবে ব্যবহার করাই হ্যাকিং।
কি শুনে অবাক হয়ে গেলেন 😯 তাই না?অবাক হওয়ার কিছু নাই।আসলে আমরা বাঙ্গালিরা কোন কিছুকে পেলে কিভাবে নিজের কাজে ব্যবহার করব তাঁর ঠিক নাই।তবে আপনি কি জানেন হ্যাকিং কেন শিখে?
হ্যাকিং এর আসল উদ্দেশ্য হল নিজেকে অন্য মানুষের কবলে পড়া হতে রক্ষা করা এবং নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া।
পুরাই টাসকি খাইলেন নাকি?আরে আমিতো শুনছি হ্যাকিং শিখে মানুষ অন্যদের ক্ষতি করার জন্য।আপনি একই সাথে ঠিক এবং ভুল কথা বলেছেন।কেমনে ভাই?তাঁর আগে দেখেন হ্যাকারদের প্রকারভেদ
হোয়াইট হ্যাটঃ
হ্যাকারদের হ্যাট দিয়ে গণ্য করা হয়।এই সাদা টুপির হ্যাকাররা হল সবচে সৎ হ্যাকার।সিস্টেম এর কোন সমস্যা খুঁজে পেলে এরা দ্রুত সিস্টেমের মালিককে জানায়।এ রকম হ্যাকাররা নানারকম অফিস,ব্যাংক,ওয়েব সাইটের সিকিউরিটির চাকরি করে।
ব্ল্যাক হ্যাটঃ
আমরা যে খারাপ হ্যাকারদের চিনি তারা হলেন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার।এরা সিস্টেমের কোন সমস্যা খুজে পেলে দ্রুত সেই ক্রুটি থেকে সিস্টেমটি নষ্ট করে বা অকেজো করে দেয় বা নিজের কাজে ব্যবহার করে।এদের সবাই ভয় পায়।(যেমন আমি)
গ্রে হ্যাটঃ
এরা হচ্ছে হোয়াইট এবং ব্ল্যাকের মাঝের জন।অনেকটা এরশাদের মতো 😀 ।এরা ইচ্ছা করলে সমস্যাটা মালিককে জানাতে পারে আবার নিজের কাজেও ব্যবহার করতে পারে।
Bangladesh in Hacking:
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বেশ কিছু হ্যাকিং টিম যেমন BBHH,cyb3r sword,bangladesh cyber army টিমগুলা ভাল অবস্থানে আছে।এইসব টিমের সকল মেম্বারদের লক্ষ্য নিজের দেশের ওয়েব সাইটের নিরাপত্তা জোরদার করা।এই টিমগুলা আমার কাছে হেভি টিম মনে হয়।
আমি আসছি হ্যাকিং শিখতে আর এই পোলা কি আবল তাবল বকতাছে
এরকম মনভাব মনে হয় বেশিরভাগের এই অবস্থা।ভাই,আপনি কি জানেন হ্যাকিং শিখা খুব সহজ না।এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন হয় ধৈর্য।এটাই নাই তাহলে শিখবেন কি?আচ্ছা যান এখন বলি হ্যাকিং শিখতে কি কি লাগে
১।ইন্টারনেট কানেকশন সহ পিসি(এই জিনিশ না থাকলে শিখবেন কি?)
২।প্রচুর সময় এবং ধৈর্য
৩।শেখার আগ্রহ এবং অন্যদেরকে সহযোগিতার মনভাব
৪।কম্পু নিয়ে নানা এক্সপেরিএন্স এবং কম্পুর নানা জিনিস নিয়ে টিপাটিপি করা 😀
৫।যেকোনো প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে ধারনা থাকা(প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানতে হলে টেকটিউন্সের আগের পোস্টগুলা দেখতে পারেন বা গুগলরে জিগাইতে পারেন)
৬।ইংলিশ জানা
৭।যথেষ্ট হইসে আর না
(স্কুলে পড়ছ যারা তাঁদের বলছি তোমরা এসবে সময় নষ্ট না করে নিজের পড়াশুনা কর)
এবার শুনেন কিভাবে হ্যাকিং শিখবেন।আপনাকে হ্যাকিং এর নানা টপিক শিখার জন্য গুগল মামাকে এই বিষয়গুলা আপাতত জিজ্ঞেস করতে পারেন
SQL injection
Dictionary AttackFishing
Cookie Eviction
HTTP Parameter Pollution
Cookie Poisoning
Bruteforce Attack
URL Hijacking
(এছাড়া আরও অনেক পদ্ধতি আছে যেগুলা আপাতত মনে আসছে না।ব্যাপার না!যেইগুলা দিলাম সেইগুলা শিখেন,কাজে দিবে)
দরকারি ওয়েব সাইট
http://www.criticalsecurity.net/
{আহম। আমি এখনো শিখছি তাই আবার কেউ আবদার করিয়েন না আমাকে হ্যাকিং শিখান}
আর এইগুলা শিখতে আলসেমি লাগছে?তাহলে একটু কষ্ট করে টেকটিউনস এর টিউন বিভাগে হ্যাকিং বিভাগটাতে ক্লিক করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়া শুরু করে দিন।আর হ্যাঁ,হ্যাকিং শুরু করার আগে নিজের Mac Address,Ip Address বদলাতে ভুলবেন না।(এ বিষয়ে অনেক টিউন আছে সেইগুলা খুজেঁন 😀 )
সতর্কতাঃঅনেক softwear পাবেন যেগুলা বলবে ফ্রি হ্যাকার সফটওয়ার।ভুলেউ এগুলা ইউজ করবেন না।এগুলা ইউজ করলে নিজের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়।
আর কি বলবো?ঠিক আছে এখন থেকে শুরু করেন হ্যাকিং।আর সমস্যা হলে সমাধান আছে এইতা মনে রাখবেন।
(আমি জানি কোন কোন লুইচ্ছা এই পোস্টটা কপি করবে।লুইচ্চারা এই পোস্ট কপি করলে at least আমার নামটা দিও।)
আজকের মতো বিদায়।পরে আরও কিছু নিশ্চয়ই আনব।
আমি আরিয়ান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 54 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
হায় রে আর কত এমন টিউনার দেখমু,