(সাইন্স ফিকশন এর প্রতি মানুষের আগ্রহ অপ্রতিরোদ্ধ।আইজাক আসিমভ বা জুল ভার্ন রা সাইন্স ফিকশন লিখেই অনেক খানি দূর করে গেছেন সভ্যতার অন্ধকার। তার ই ধারাবাহিকতায় এবার ধারাবাহিক সাইন্স ফিকশন "হ্যাকার" লিখছি আমাদের প্রানের সাইট টেকটিউন্সে। চেষ্টা থাকবে গল্পের ফাক ফোকরে কিছু শেখানোর। )
ক্লাশ থেকে মাথা নিচু করেই বেরিয়ে আসলো শিমুল। বরাবরের মত এবার ও একরকম বাধ্য হয়েই রেজাল্টের দিন ক্যাম্পাসে এসেছিলো ও। না , এবার ও খুব ভালো হয়নি ওর রেজাল্ট।পড়াশুনায় তেমন ভালো না শিমুল, সুধু মাত্র বেসিক কম্পিউটার সাইন্সেই টপ স্টুডেন্ট ও। কম্পিউটার স্যার ও ওকে নিয়ে অনেক আশাবাদি। একদিন যে ও অনেক বড় কিছু হবে এ বিষয়ে তা নিয়ে স্যারের কোন সন্দেহ ই নেই।
আজ শিমুলের মন খারাপ, বাসায় গিয়ে বাবার সামনে পড়া যাবে না কোনভাবেই। কি জবাব দেবে ও, বাবা মাসে মাসে এত টাকা খরচ করেন, তার বিনিময়ে কিছুই তো দেয়া হচ্ছে না তাদের। মোটামুটি মানের একজন মধ্যবিত্ত মানুষ ওর বাবা।আয়ের বেশীর ভাগ শিমুলের পিছনেই খরচ করতে হয় তাকে।
ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে কি করবে আজ সারাদিন ভেবে পেলনা ও। চোখে পড়লো সামনের বিল্ডিং এ একটা ইন্ডিয়ান ফেস ক্রিমের বিলবোর্ড। এরা এদেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়ে নিজেরা চুটিয়ে ব্যাবসা করতেছে। শিমুল যদি কোনভাবে দেশের হর্তাকর্তা কেউ হয়ে যেতে পারতো তাহলে এদের সবাইকে বের করে দিত এদেশ থেকে।
শিমুল একজন দেশপ্রেমিক। দেশ কে ভালোবাসে ও, দেশের কোন ক্ষতি দেখলে ওর ও মন কেদে উঠে । প্রতিবাদ করতে চায় ও। যদিও ওর অবস্থান এই সমাজে আর দশ জন সাধারন মানুষের মত ই। সীমান্তে স্বদেশী বোনের লাশ দেখে ওর ও বাকরুদ্ধ হয়ে যায়, তীব্র রাগ হয়, ইচ্ছে হয়ে মাটির সাথে মিষিয়ে ফেলতে ওদের।
বিলবোর্ড টা রাস্তায় আরো কযায়গায় চোখে পড়লো শিমুলের। একজন অর্ধনগ্ন মডেল কে দেখা যাচ্ছে, পাশে লেখা সেই ক্রিম ব্যাবহারের নানা সুবিধা। আর নিচে……
নিচে ওদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ! পেয়ে গেছে একটা প্রতিবাদ করার ভাষা শিমুল। আপাতত ওর দায়িত্ত্ব কর্তব্য একটা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে সীমাবদ্ধ। একটা অন্তত দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া যায় এবার। আজ রাতে দেখা যাবে ওদের টাকার ক্ষমতার কাছে ওর মাথা হার মানে কিনা।
একটা কম্পিউটার মার্কেটে ঢুকে দুটো গেমস এর সিডি কিনে বাসার পথ ধরলো ও। শিমুল ইন্টারনেটের পাশাপাশি গেমিং এর নেশাও খুব প্রবল।
বাসায় ফিরে নিজের রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো ও।এখানে ওর বাসার লোকেরাও ঢুকে না দম বন্ধ পরিবেশের কারনে। নিজের ডেক্স এ এই মুহুর্তে স্থান পাচ্ছে সর্বাধুনিক মানের দু দুটো ডেক্সটপ। এগুলো অবশ্য ও নিজে মানুষের ওয়েবসাইট বানিয়ে দিয়ে সে টাকা দিয়ে কিনেছে । প্রায় সারাক্ষন ই অন থাকে ওগুলো। নেয়া আছে সর্বোচ্চ মানের ইন্টারনেট কানেকশন। অন্তত হ্যাকার কে ডেভেলপার থেকে অনেক ফাস্ট হতে হবে, অনেক ফাস্ট।
বিভিন্ন প্রগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এ অসাধারন দক্ষ ও। ঐ ফেস ক্রিমের ওয়েবসাইট টার সোর্স কোড না দেখেই ও বুঝে গেলো এটা একটা ওয়ার্ডপ্রেস। মৃদু হাসি ফুটেই মিলিয়ে গেলো শিমুলের ঠোটের কোনে। মনে মনে একবার বললো পুরোনো ডায়ালগ, “খাইছি এইটারে………।“
(বাকিগুলো সামনের পর্বগুলোতে।ধারাবাহিক গল্প উপন্যাস যাই বলুন “হ্যাকার” আমার মস্তিষ্ক প্রসুত কাল্পনিক ।এর সাথে কোন জীবিত বা মৃত মানুষের মিল নাই।মিলে গেলে আমিও দায়ী না। সময় পেলেই লিখতে থাকবো এর পর্বগুলো।)))
সৌজন্যে : ফাইজলামি ডট কম
আমি শিমুল শাহরিয়ার। Founder, WebSea Internet Solutions, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 90 টি টিউন ও 497 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ব্র্যান্ড কনসাল্টেন্ট, ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার/ডিজাইনার। আমাকে পাওয়া যাবে @ https://ShimulShahriar.com
আরেহ ,জোটিল ত