গুগল এডসেন্স পাওয়ার কার্যকরী উপায় ২০২০:
গুগল অ্যাডসেন্স কোনও ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য অন্যতম সেরা বিজ্ঞাপণ নেটওয়ার্ক। এটি অন্য যে কোনও CPC বিজ্ঞাপণ প্রোগ্রামের চেয়ে 90% ভাল। এটি প্রতিটি ওয়েব পৃষ্ঠার জন্য প্রকাশকদের সর্বাধিক CTR প্রদান করে। প্রকাশকরা গুগল অ্যাডসেন্স থেকে প্রতিদিন প্রচুর উপার্জন করতে পারেন। প্রতিটি নতুন ওয়েবমাস্টারের গুগল অ্যাডসেন্স দিয়ে তার ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন রয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে, তাদের অনেকেই ব্যর্থ হন। অ্যাডসেন্স কিছু কঠোর নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা প্রবর্তন করেছে। আমাদের নিজের ব্লগে অ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়া কঠিন বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু, আমরা জানি অসম্ভব কিছুই না।
আপনি যদি নিজের ব্লগ শুরু থেকে কিছু প্রাথমিক নিয়ম অনুসরণ করেন তবে নতুন ব্লগের সাথে গুগল অ্যাডসেন্সের অনুমোদন পাওয়া এখন সত্যিই সহজ। আমি যখন প্রথম চেষ্টা করেছি তখন অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে, এই নিয়মগুলি অনুসরণ করে এখন আমার কাছে অনুমোদিত অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই বিষয়টির কথা চিন্তা করে, আমি অ্যাডসেন্সের প্রাথমিক নিয়মগুলি ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এডসেন্স এপ্রুভ করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি:
ব্লগ বা ওয়েবসাইট প্রস্তুত করা:
অ্যাডসেন্স মডারেটররা সর্বদা সেই ব্লগগুলিকে অনুমোদন দেয় যাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রথমত, আপনার এই ওয়েবসাইটটি এডসেন্স এপ্রুভ করার জন্য প্রস্তুত করা উচিত। আপনার ওয়েবসাইটটি এডসেন্স এর নিয়ম অনুসারে তৈরি হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। এখন, অ্যাডসেন্স টিম কর্তৃক ঘোষিত প্রাথমিক প্রাথমিক কিছু নীতিমালা রয়েছে এবং এমন কিছু হ্যাক এবং কৌশল রয়েছে যা কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, এই অফিশিয়াল পৃষ্ঠায় এটি উল্লেখ করা হয়েছে যে চীন ও ভারতের মতো দেশগুলির জন্য প্রকাশকদের নূন্যতম 6 মাসের জন্য সাইটের মালিক হওয়া দরকার, এটি কোনও থাম্ব-রুল নয়। অনেক ভারতীয় ব্লগার এক মাস বয়সী ডোমেনের অনুমোদন পেয়েছেন। এখানে কেবলমাত্র জিনিসটি হ'ল গুণমান। আসুন এমন কারণগুলি দেখুন যা আপনার ব্লগকে অ্যাডসেন্স তৈরি করবে:
ডোমেইন:
ডোমেইন হল প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট নাম যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি ওই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে। অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভ এর জন্য একটি ডোমেইন কিনতে হবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি ডোমেইন পাওয়া যায়, কিন্তু এসব দোকান থেকে এডসেন্স এপ্রুভ পাওয়া অনেক কষ্টকর তাই অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভ এর জন্য একটি কাস্টম ডোমেইন কিনতে হবে। বাৎসরিক ৭০০ টাকা খরচ করে খুব সহজেই একটি ডোমেইন ক্রয় করা যায়। ডোমেইন ক্রয় এর বিষয় জানতে এখানে ক্লিক করুন। তবে অ্যাডসেন্স এর আবেদনের পূর্বে আপনার ডোমেইন এর বয়স এক মাসের বেশি হতে হবে। এক মাসের কম বয়সী ডোমেইন দিয়ে অ্যাডসেন্স এর আবেদন না করা ভালো।
হোস্টিং:
ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন এর পাশাপাশি একটি ভালো হোস্টিং সার্ভার প্রয়োজন। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ফ্রী হোস্টিং সার্ভার রয়েছে। ফ্রী হোস্টিং সার্ভার থেকে অ্যাডসেন্স এর এপ্রুভ পাওয়া অনেক কষ্টকর, কারণ অনেক সময় ফ্রি হোস্টিং সার্ভার গুলো ডাউন থাকে। আপনাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে সাথে সাথে ভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যাবে। এজন্য একটি পেইড হোস্টিং সার্ভার ক্রয় করতে হবে। নতুনদের জন্য blogger.com এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করে কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করা সুবিধাজনক, কারণ এক্ষেত্রে হোস্টিং সেবার জন্য কোন অর্থ প্রদান করতে হবে না এবং পরে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে অন্য কোন পেইড হোস্টিং সার্ভারের পরিবর্তন করতে পারবেন। Blogger.com এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য এই পোস্টটি দেখে আসতে পারেন
ওয়েবসাইটের জন্য থিমস নির্বাচন:
ওয়েবসাইটের জন্য থিম নির্বাচন করা অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভেদ জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ব্লগার Blogger.com অথবা WordPress যেখানে ওয়েবসাইট তৈরি করেন না কেন ওয়েবসাইটের জন্য একটি ভালো থিম নির্বাচন করতে হবে। ভালো থিম বলতে সাধারণ লে-আউট এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর থিমকে বোঝায়। আপনি একটি ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করলেন কিন্তু মানুষের কাছে তা ভালো না লাগলে মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে না। আপনাদের ওয়েবসাইটের থিমটি এমন হতে হবে যেন মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য খুব সহজে পায়। আপনি ফ্রী অথবা পেইড যেকোনো ধরনের থিম ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ক্রাক থিম পাওয়া যায় এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। কাজের শুরুতে ফ্রি থিম দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা ভালো।
পেইজ:
এডসেন্স এপ্রুভ করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে কিছু পেইজ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ওয়েবসাইটটি অ্যাডসেন্সের যাবতীয় নিয়মাবলী অনুসরণ করলেও নিচের পেইজ গুলো না থাকলে অ্যাডসেন্সের এপ্রুভ পাওয়া সম্ভব নয়। পেইজ গুলো হল:
Contact us
Privacy policy
Terms and condition
About us
টিউন:
ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ওয়েবসাইটের টিউন। অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য ২০ থেকে ২৫টি ইউনিক টিউন লিখতে হবে। প্রতিটি টিউন কমপক্ষে ৫০০ শব্দের হতে হবে শব্দ যত বেশি হবে ততো ভালো। অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে কপি পেস্ট করে টিউন লিখা যাবে না। গুগল কখনো কপি পেস্ট পছন্দ করেনা। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে নিজে টিউন লিখতে হবে। টিউন অবশ্যই উপযোগী ছবি ব্যবহার করতে হবে। ছবিও কঁপিরাইট ফ্রী হতে হবে। অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল কঁপিরাইট ফ্রী টিউন ও কঁপিরাইট ফ্রী ছবি। ওয়েবসাইটে নিয়মিত টিউন লিখতে হবে। ওয়েবসাইটে টিউনের সংখ্যা যত বেশি হবে অ্যাডসেন্স পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। এডসেন্স সম্পর্কে আরো জানতে আমার ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন
আমি শাহিনুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সুন্দর লিখছেন