অনেকেই আছেন যারা ভাল ইংরেজী লিখতে না পারলেও ইংরেজীতে লিখছেন এডসেন্স পাওয়ার জন্য। এডসেন্স যদিও বাংলা সাইটের জন্য খুব একটা ভাল না। বেশী দামী দামী যেসব বিজ্ঞাপন এডসেন্সে দেখান হয় সেগুলো মূলত ইংরেজী কি ওয়ার্ড এর জন্য। তারপরও সবাই এডসেন্স পেতে চায় মূলত কয়েকটি কারণে-
প্রথমত, বাংলাদেশে জনপ্রিয় কোন মাধ্যম নেই যারা বিজ্ঞাপন প্রকাশক(ওয়েবসাইটের মালিক যত ছোটই হোক) এবং যারা বিজ্ঞাপনদাতা(রবি, ফেয়ার এন্ড লাভলি ইত্যাদি) তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধিতে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করে।
আমাদের এড নামে একটা ওয়েবসাইট শুরু করেছিল কিন্তু এখন ওরা হারিয়ে গেছে। এছাড়া নুফা এড, পয়সা করি এরকম আরো কয়েকটা সাইট চেষ্টা করেছিল এখনো আছে কোনরকমে। গ্রীন রেড নামে আরেকটি সাইট এখনো মোটামুটি ভালভাবে টিকে আছে যারা খুবই কম টাকা দেয়।
দ্বিতীয়ত, গুগোলের প্রডাক্ট হচ্ছে এডসেন্স। স্বভাবতই এটার প্রতি সবাই আগ্রহী হবে। একটা এডে ক্লিকের জন্য ৫০ ডলার পর্যন্ত গুগোল দেয়। এই আশায় যে বাংলা সাইটে দেখালেও অন্তত একটা ক্লিকে ১ ডলারের দশ ভাগের এক ভাগ হলেও পাওয়া যাবে। বাস্তবে সেটার কোনটাই হয় না। আর বাংলা সাইটে এরা এড দেখায় না।
তৃতীয়ত, আরো কিছু সাইট আছে যেমন yllix, Revenuehits এবং আরো আছে এই মুহূর্তে নাম মনে পড়ছে না...পপক্যাশ, পপএড এরা শুধুই ভিজিটরদের বিরক্তি সৃষ্টি করে। জোর করে এড দেখায় যার ফলে ওই ভিজিটর আর আসে না। এতেও খুব একটা লাভ হয় না।
চতুর্থত, অল্প ভিজিটরের সাইটে সরাসরি বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে যোগাযোগ করে ওদের এড নিয়ে এড দেখান সম্ভব হয় না। নিজের রেফারেল লিংক দেখিয়েও খুব একটা লাভ করা যায় না।
কার্যত যেটা ঘটেঃ ছোট ছোট সাইটের মালিকেরা মানে ছোটখাট বানিজ্যিক উদ্দেশ্যের লেখকেরা কিছুদিন পরে হাল ছেড়ে দেন এবং বাংলা সাইটে লেখা ছেড়ে দেন। খুব কমই খুজে পাওয়া যাবে যারা লেখালেখিতে বানিজ্যিকভাবে সফল হয়েছেন।
আমার লেখা পুরোপুরি নেগেটিভ হয়ে গেল হয়ত। Adhitz বা, a-ads ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আপনার সাইটে প্রতিদিন ১০০০ এর মত ইউনিক ভিজিটর থাকলে আনুমানিক ১-৫ ডলারের মত আয় করতে পারবেন। আমি গবেষণা করে এখন এই দুইটিই ব্যবহার করছি। নিচের লিংক থেকে একাউন্ট খুলুন-
এই Anonymous Ads বা, A-ads কিন্তু টাকা দেয় Bitcoin এ। বাংলাদেশে যেহেতু Virtual Currency তে লেনদেন বৈধ না, সেহেতু বিটকয়েনে পাওয়া টাকা আপনি বাংলাদেশ থেকে তুলতে পারবেন না। এজন্য বিভিন্ন Exchanger এর শরণাপন্ন হতে পারেন। Exchanger গুলো যেহেতু বাংলাদেশের না সেহেতু ওদের মাধ্যমে বিটকয়েন লেনদেন বাংলাদেশে ঘটছে না। আপনি বাংলাদেশে আনবেন ডলার Payza এর মাধ্যমে। Payza নিজেই সাজেস্ট করে এরকম কয়েকটি Exchanger আছে।
আশা করি এই লেখাটা পড়ার পরে যারা নিজের বাংলাদেশী বাংলা সাইটে লেখালেখি করেন তাদের হতাশা কিছুটা হলেও কমবে। আরো কিছু জানার থাকলে টিউমেন্টে আপনার মতামত কিংবা প্রশ্ন জানাতে পারেন।
উল্লেখ্য, লেখাটি এর আগে tutorialsbangla.com এ প্রকাশিত
আমি Tutorialsbangla। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 27 টিউনারকে ফলো করি।
আমার ওয়েবসাইট চাইলে দেখতে পারেন- http://www.tutorialsbangla.com