আপনি কি আপনার দিনের জবের পাশাপাশি অন্য কোন আয়ের উপায় খুঁজছেন ? আপনি কি ইন্টারনেটের সাথে মোটামুটি ভাবে পরিচিত ? আপনার ইংরেজিতে দক্ষতা মোটামুটি ? আপনি কি পরিশ্রমী ? আপনি কি সপ্তাহে ৪ ঘণ্টা সময় দিতে পারবেন ?
উপরের প্রশ্ন গুলোর উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে আপনি এই পোষ্ট টি পড়ুন না হলে সার্চ বার ব্যবহার করে অন্য কিছু খুঁজুন ।
দেখুন টাকা রোজগার করা যে কতটা কঠিন সেটা আপনাকে বোঝাতে হবে না মনে করি । আর আপনি যদি এখনো পেশাজীবী না হয়ে থাকেন তবে বুঝবেন আপনার বাবা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অফিসে বসে থেকে কত কষ্ট করে মাসের শেষে কিছু টাকা পায় । আপনি অনলাইনে খুঁজলে বহু ওয়েব সাইট পাবেন যারা আপনাকে হাজার হাজার টাকার লোভ দেখাবে, এই ধরুন না এক ক্লিক করলে ১০ ডলার বা ২০ ডলার বা ১০০ ডলার । আপনি কি ভেবেছেন এই এক ক্লিক করলে যদি এত টাকা পাওয়া যেত তবে পৃথিবীর সব মানুষ শুধু ঘরে বসে ক্লিক ই করত । আপনার বাবা ও তাই করত অফিস বাদ দিয়ে কারণ একজন চাকুরীজীবী মানুষ কত টাকা আয় করতে পারে সেটা আপনি ভালো মতো জানেন । তাই কষ্ট না করে যে আপনাকে টাকার প্রলোভন দেখাবে তাকেই এড়িয়ে চলুন ।
কিছু দিন আগে বাংলাদেশে ঘটে গেল এই ক্লিক বিপ্লব, হাজার মানুষ এই লোভ সামলাতে না পেরে টাকা ইনভেস্ট করল, কিন্তু কি পেল শেষে ! শুধুই প্রতারণা । আপনারা যারা জানেন না তাদেরকে বলছি এই ক্লিক এর যে কাজ তারা আপনাদের দিত এটা আসলে কোন কাজ না, মাসের শেষে তারা আপনাকে আপনি যে টাকা তাদের দিয়ে ছিলেন সেই টাকা ই ফেরত দিত । আপনি যদি তাদের এই পলিসি বুঝতে চান তবে আপনাকে এল এম এল ব্যবস্যা সম্পর্কে জানতে হবে । আপনি গুগলে বা ইউকিপিডিয়াতে সার্চ দিয়ে পড়ে নিন দেখবেন খুব অল্প সময়ে কোটিপতি এবং মানুষকে ধোঁকা দেবার একটা খুব ভালো ব্যবস্যা । এটা প্রথম চালু হয় রাশিয়াতে । যা হোক অনলাইনে কিন্তু এই রকম আরও অনেক ক্লিক সাইট রয়েছে তারা কেউ কেউ এক ক্লিক করলে ১০০ ডলার ও দেয় ( আসলে ক্লিক করলে যে টাকা দেখায় ওটা ভারটুয়াল টাকা)। কিন্তু সব ক্লিক সাইট কি একই রকম ? না, কিছু কিছু সাইট আছে যারা টাকা দেয় এবং এরা খুবই বিশ্বাসী । নিয়মিত টাকা দিয়ে আসছে যারা কাজ করছে তাদের কে । কিন্তু এই টাকার পরিমান খুবই সামান্য । মানে ১ ডলার পূরণ হতে আপনার ১ মাসের ও বেশী সময় লাগতে পারে । কিন্তু একটা সুবিধা আছে, এই ১ ডলার আপনি আবার ইনভেস্ট করতে পারবেন । তাতে মোটামুটি আপনি যদি ভালো করে ওদের ব্যাপারগুলো বুঝতে পারেন তবে মাসে ৩০-৫০ ডলার আয় করা যায় । এই রকম একটা সাইট হচ্ছে ...ক্লিক সেন্স । আপনি চাইলে সাইন আপ করতে পারেন । তবে ধৈর্য ধরে প্রতিদিন ক্লিক করে যেতে হবে, পর পর ৩ মাস ক্লিক না করলে আপনার আই ডি ক্যান্সেল হয়ে যাবে । সময় লাগতে পারে ১৫ মিনিট ।
উপরের এত সব বলে আমি আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে বিনা কষ্টে কোন দিন কিছু হয়নি আর আজ ও হবে না । আর যারা বলে তারা মিথ্যা বলে । উপরে আমি আপনাদের পি টি সি থেকে আয় করার ব্যাপার নিয়ে একটু আলোচনা করেছি এবার আমি ব্লগিং নিয়ে আলোচনা করবো ।
আমি একজন ব্লগার এবং এটা আমার নেশা । আমি একটা দিন ও আমার ব্লগ এবং ইন্টারনেট ছাড়া কল্পনা করতে পারি না । রাতজাগা তারার মতো সারাটা রাত আমার নির্ঘুম কাটাতে ভালো লাগে, তাই সারা রাত ধরে শুধু পড়ি আর লিখি । আর আমি এটাকে খুবই উপভোগ করি ।
আমার এই পোষ্ট পড়ে যদি কারও এতটুকু উপকার হয়ে থাকে তবে আমি সার্থক । আমি জানি বাংলাদেশে এখন অনলাইন বিপ্লব চলছে, ফেসবুকে দেখি নতুন নতুন উঠতি বয়েসি ছেলে, মেয়েরা কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করবে তাই নিয়ে বিভিন্ন পোষ্ট শেয়ার করে । আর ওই সব ভুয়া জিনিস শেয়ার করে, যেমন == ১ ক্লিক করলে ১০ ডলার !!
দেখলে খুব খারাপ লাগে, এরা না জেনে না বুঝে শুধু শুধু মূল্যবান সময় নষ্ট করছে । অনেকে আবার কোর্স ও করছে কিভাবে অনলাইনে আয় করবে তার উপর । কেউ কেউ আবার পথ খুঁজে পাচ্ছে না, কোন কোর্স টা করবে । অনেকে আবার প্রশ্ন করছে, কত দিন পর আমি টাকা আয় করতে পারবো এই কোর্স করার পর ? এই কোর্স এর মেয়াদ ৩ মাস বা ৬ মাস এবং কোর্স ফি ৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা । কোর্স করার পর আপনি টাকা আয় করলেন না ছাই করলেন সেটা কোম্পানি দেখবে না । আমি যদি ভর্তি হই আর যদি আপনাকে ও ভর্তি করাতে পারি তবে কোম্পানি আমাকে ও কিছু টাকা দেবে কারণ আমি আপনাকে লোভ দেখিয়ে বা যে করেই হোক কোর্সে ভর্তি করিয়েছি এবং এর কারনে কোম্পানি ভর্তি ফি পেল যাতে কোম্পানির লাভ হল ।
অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে আমি দেখেছি অধিকাংশ ফ্রীলাঞ্চার (মানে যারা অনলাইন থেকে টাকা আয় করে) যুবক এবং এরা ছাত্র, টাকার পিছনে ছুটতে ছুটতে এরা নিজেদের পড়াশুনা ভুলে যায় এবং একসময় কলেজ দল ছুটদের দলে নাম লেখায়, ফলে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ অনেকাংশে অন্ধকারে ঢাকা পড়ে । এদেরই ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবার কথা ছিল ।
আমি অবশ্যই এদেরকে ফ্রীলাঞ্চিং করতে বলবো কারণ এতে একটা ভালো অঙ্কের টাকা পাওয়া যায় । কিন্তু প্রতিদিন যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করে ফ্রীলাঞ্চ ওয়েব সাইটে বসে কাজে বিড করার জন্য তাহলে পড়ার সময় কই !
আচ্ছা যদি এমন হয় যে একটা ছেলে একই সাথে জ্ঞান অর্জন করল এবং আয় করল এবং এই রোজগার দীর্ঘদিন ধরে চলতে লাগলো ।
হ্যাঁ, আপনি ঠিক ধরেছেন । আমি ব্লগিং এর কথা বলছি ।
ব্লগিং মানে হল আপনার একটা ব্লগ থাকবে আর আপনি সেই ব্লগে নিয়মিত লিখলেন (সপ্তাহে ১ দিন বা আপনার মর্জির উপর নির্ভর করবে ) আর যারা আপনার লেখা পড়লো তারা আপনাকে দিয়ে গেল কিছু টাকা । না, তারা নিজেদের গাঁট থেকে আপনাকে টাকা দেবে না ।
চলুন শুরু করি আমাদের যাত্রা...
ব্লগিং করার জন্য সর্ব প্রথমে দরকার একটা ব্লগ । আপনি এই লেখাটি এখন যেখানে পড়ছেন সেটি ও একটি ব্লগ । ব্লগ আপনি ফ্রী তে ও বানাতে পারবেন আবার টাকা খরচ করে বানাতে পারবেন । আপনি ব্লগস্পট থেকে ফ্রী ব্লগ বানাতে পারবেন, শুধু দরকার একটি মেইল এবং অবশ্যই জিমেইল হতে হবে । যদি আপনার জিমেইল আক্যাউন্ট থেকে থাকে তবে http://www.blogger.com এ যান এবং আপনার মেইলের আই ডি এবং পাস ওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করুন এবং Create a new blog বাটনে চাপ দিন এবার আপনার ব্লগের জন্য একটা নাম দিন এবং ব্লগের অ্যাড্রেস; আপনার পছন্দ মতো দিন এবং Create a new blog বাটনে চাপ দিলে আপনার ব্লগ তৈরি ।
এবার ব্লগে লিখুন এবং আয় করুন ।
একটা ব্লগ থেকে আয় করা যায় অনেক ভাবে তবে তার মধ্য সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ হল গুগল অ্যাড সেন্স। আমার মনে হয় আপনি অনেক ব্লগে এই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে শুনে থাকবেন । গুগল অ্যাড সেন্স হল গুগলের একটি সার্ভিস । এরা আপনার ব্লগ আপনার ব্লগের বিষয় বস্তুর উপর নির্ভর করে অ্যাড দেবে এবং যদি কেউ এই অ্যাড দেখে এবং ক্লিক করে তবে এরা আপনাকে টাকা দেবে ।
আমি জানি আপনার মনে মনে প্রশ্ন আসছে, এক ক্লিকে এরা আমাকে কত ডলার দেবে ?
আপনার এই প্রশ্নের সদুত্তর আমি দিচ্ছি, এরা আপনার এক ক্লিকে ০.০১ ডলার থেকে ১১৯ ডলার পর্যন্ত দিতে পারে । তবে এই ক্লিক রেট টাকার পরিমান নির্ভর করে আপনি কি বিষয় নিয়ে ব্লগে লিখছেন ।
আমি আপনাকে আরও সহজ করে বোঝাচ্ছি,
ধরুন আমি ক, আমার একটা “ খ ” নামে কফি হাউজ আছে খুলনাতে, আমি খুলনা জেলার সেই সব লোকদেরকে আমি আমার কফি হাউজ সম্পর্কে জানাতে চাই যারা কফি খায় বা কফি ইন্টারেস্টেড । ত আমি কি করলাম, আমি একটা অ্যাড কোম্পানির কাছে গেলাম এবং তাদেরকে বললাম যে আমার একটা কফি হাউজ আছে এবং আমার কফি হাউজের কাস্টমার বাড়িয়ে দিতে হবে অ্যাড দিয়ে । এবার অ্যাড কোম্পানি কি করলো, তারা খুলনা জেলাতে যেসব কফির দোকান আছে বা কফি নিয়ে যেখানে আলোচনা সেখানে এক একটা করে পোষ্টার দিয়ে দিলো আর যেসব দোকানে পোষ্টার লাগালো তাদের মালিককে বলল, কিছু মনে কর না ভাই, এই পোষ্টার দেখে যারা খ নামের কফি হাউজে যাবে তাদের প্রতি একজনের জন্য আমি তোমাকে ১০ টাকা করে দিবো ।
মানে গুগল ব্লগে বিভিন্ন ব্যাক্তি বা কোম্পানির অ্যাড দেবে আপনার ব্লগের বিষয়ের উপর নির্ভর করে এবং যারা এই অ্যাডে ক্লিক করে ওই ব্যাক্তি বা কোম্পানির ওয়েব সাইটে যাবে তাদের প্রতেকের জন্য গুগল আপনাকে টাকা দেবে । এই টাকা আসলে গুগল দেয় না, ক নামের ব্যাক্তি অ্যাড কোম্পানিকে যে টাকা দিল ওই অ্যাড কোম্পানি সেই টাকার ২২% কেটে রেখে বাকিটা দেয়, মানে ৬৮% দেয়।
আমার মনে হয় আপনি এবার বুঝতে পেরেছেন গুগল কিভাবে টাকা দিচ্ছে । শুধু ক্লিক থেকে না, আপনার ব্লগে যদি প্রতিদিন নতুন নতুন লোক আসে তবে ও গুগল আপনাকে টাকা দেবে, কারণ ওই নতুন লোক গুলো আপনার ব্লগের অ্যাড গুলো দেখছে ।
তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে লিখলে প্রতি ক্লিকে ১ থেকে ১১৯ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় । আমার ব্লগে এই লিস্টটি পাবেন । গুগল হাই সি পি সি কী ওয়ার্ড বলে এগুলোকে । তবে আমরা যেসব বিষয় নিয়ে ব্লগিং করি তাতে এই ক্লিক প্রতি রেট কম ১ থেকে ৩০ সেন্ট হয় মাত্র ।
কি ভাবছেন, এই ১ সেন্ট ১ সেন্ট করে আয় করা যায় কত টাকা ?
আপনাকে জানানোর জন্য আমি এই পোষ্ট লিখছি, শন হোগান প্রতি বছরে শুধু গুগল অ্যাড সেন্স থেকে আয় করে প্রায় ...............।।???? আপনি কেন পারবেন না ? আমি ও প্রথমে ভাবতাম এই করে ত ১ ডলার পূরন হতে ৩ মাস সময় লাগবে কিন্তু আসলে না । এখানে ব্লগের পাঠক বা ভিসিটর একটা বড় ব্যাপার । দেখুন, সব কিছু যদি ঠিক মতো হয় তবে ৩ মাসের মধ্য প্রতিদিন আপনার ব্লগ থেকে আয় হবে ৫ ডলারের মতো । তবে অনেক পরিশ্রম করতে হবে । আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ২ বছর পর প্রতিদিন ৫ ডলার করে আয় করতে পারবেন যদি প্রতি মাসে নিময় করে ব্লগিং করে যেতে পারেন। ৩ মাস হোক আর ২ বছর হোক, আপনার ত কোন সমস্যা নেই । কারণ এটা সুখের খবর যে, একবার ব্লগ থেকে আয় শুরু হয়ে গেলে আপনি প্রতি মাসে মাসে চাকুরীর মতো গুগল থেকে চেক পাবেন । তাই বলা চলে, এটা ও ২য় চাকুরী ।
অ্যাড সেন্স থেকে আয় করতে হলে শুধু ব্লগে লিখলেই হবে না, আপনি ব্লগে লিখলেন কিন্তু কেউ আপনার লেখা পড়ল না, কোন ক্লিক ও হল না তাই আয় ও হল না । তাই ব্লগের জন্য লিখে তার পর এর জন্য মার্কেটিং শুরু করতে হবে । মানে ব্লগের পাঠক ধরে আনতে হবে । এই কাজটি করার জন্য আপনি কোন ভালো এস ই ও এক্সপার্ট কে কিছু টাকা দিয়ে হায়ার করতে পারেন ।
আপনি হয়ত ভাবেছেন, কিন্তু আমি টাকা আয় করলাম কিন্তু টাকা পাবো কি করে ?
সঙ্গত কারনে এই প্রশ্ন আপনার মনে জাগাটাই স্বাভাবিক, দেখুন গুগল পৃথিবীর মধ্য সব থেকে বড় কোম্পানি, এরা সব সময় চেষ্টা করে আপনার সেবা করতে । আপনি পেপাল বা চেক এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন । আপনার যখন ১০০ ডলার আয় হবে তখন আপনি টাকা তোলার জন্য আবেদেন করতে পারবেন । কিছু দিনের মধ্য আপনার ঠিকানায় চেক এসে যাবে এবার যে কোন ব্যাঙ্ক থেকে চেক ক্যাশ করে নিন ।
আরও একটি বিষয় না বলে পারছি না, আপনার আয় যখন ২০ ডলার হবে তখন গুগল আপনাকে বলবে আপনার ঠিকানা যাচাই করতে । দেখবেন ৭-১৫ দিনের ভিতর গুগল থেকে একটা চিঠি আপনার বাসায় এসে হাজির ।
আমি একটা ছেলেকে চিনি যার বয়স ১২ বছর এবং সে একজন ব্লগার এবং ভালো টাকা আয় করছে এই বয়েসে । পড়াশুনার পাশাপাশি সে প্রতি সপ্তাহে ১ টি করে পোষ্ট লেখে তার ব্লগে । তার সাথে কথা হল... তার কাছ থেকে জানতে পারলাম তার বাবা তাকে এই কাজে হেল্প করে এবং অনুপ্রেরনা জোগায় । আরও বলল যে এতে করে সে প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু শিখতে পারছে । আমি অবাক হয়ে গেলাম বিশ্ব সম্পর্কে তার জ্ঞান দেখে । তার মূল্যবোধ, জ্ঞানের পরিধি আমাকে অবাক করে দিল । এই এত টুকু বয়েসে সে যা জানে তার ধারে কাছে আমি কিছুই জানি না ! ভালোই লাগছিল এই পুঁচকে ছেলেটার সাথে সময় কাটাতে ।
যাহোক অ্যাড সেন্স থেকে কিভাবে আয় করা যায় তাই আমরা দেখলাম । কিন্তু এই অ্যাড সেন্স একাউন্ট কিভাবে পাবো তাই নিয়ে একটু বলি ।
আমাদের মতো গরীব দেশের মানুষদের জন্য সব কিছু একটু কঠিন ই বটে । আমরা যখন জানলাম এই ভাবে আয় করা যায় অমনি একটা ব্লগ বানিয়ে, অ্যাড সেন্স বসিয়ে আয় করা শুরু করলাম । আমাদের ত অন্য কোন কিছু ভাবার সময় নেই, আমাদের দরকার শুধু দরকার টাকা । তাই ব্লগে হাবি-জাবি দিয়ে ভরে রাখলাম ।
কিন্তু এখানে গুগল বাধ সাধলো, গুগল চায় মানুষের সেবা করতে । গুগল দেখলো এই সব মানুষগুলো যেসব জিনিস নিয়ে ব্লগ করছে তাতে প্রচুর পরিমান গ্রামার ভুল, ভুল তথ্য এবং এতে মানুষের কোন উপকার হবে না । তাই তারা কিছু নিয়ম করে দিল, তারা বলল আপনি ব্লগ অ্যাড সেন্স থেকে আয় করতে পারবেন কোন সমস্যা নেই কিন্তু আপনার ব্লগের সব কিছু সুন্দর সাজানো গোছানো হতে হবে ।
১. ব্লগের বিষয় বস্তু ইউনিক হতে হবে । ইউনিক মানে, আপনার নিজের লেখা হতে হবে । অনেকে বিভিন্ন ব্লগ থেকে কনটেন্ট কপি করে এনে নিজের ব্লগে পেস্ট করে বা কনটেন্টের কিছু অংশ এডিট করে বা কিছু শব্দ পরিবর্তন করে । ইউনিক মানে এসব কিছু হবে না ।
২. ব্লগের লেখা হতে হবে ইংরেজিতে । কোন বানান ভুল, ভুল তথ্য, গ্রামার ভুল থাকবে না । আপনি যখন অ্যাড সেন্সের জন্য আবেদন করেন তখন অ্যাড সেন্স টিম এসব দেখবে, ভাববেন না ওরা বোকা । গুগল একটা বড় টেকনোলজির নাম । ওদের সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি গুগল গ্লাস সম্পর্কে একটু জেনে নিন গুগল থেকে তাহলে বুঝতে পারবেন ।
৩. ব্লগের ডিজাইন সুন্দর হতে হবে, আব্যাউট পেজ, প্রাইভেসি পেজ, কন্টাক্ট পেজ থাকতে হবে। আপনি চেষ্টা করুন একটা ভালো থিম আপনার ব্লগের জন্য ব্যাবহার করতে । মোট কথা আপনি আপনার ব্লগটাকে কতটা ভালো বাসেন সেটা ওদেরকে বুঝাতে হবে আর আপনার উদ্দেশ্য থাকবে আপনার লেখার মাধ্যমে মানুষকে সাহায্য করা আর গুগল এইটাই প্রত্যাশা করে আপনার কাছ থেকে ।
৪. ব্লগে ২০ টা ইউনিক পোষ্ট দিন এবং প্রতিটি পোষ্টে যেন ২৫০ টা শব্দ থাকে মিনিমাম । পোষ্ট গুলো আপনার ফেসবুক, টুইটার এবং গুগল প্লাসে শেয়ার করুন । কারণ অ্যাড সেন্সের আবেদনের জন্য ডেইলি কিছু ভিসিটর দরকার আপনার ব্লগে । আপনি বিভিন্ন বাংলা ব্লগে আপনার ব্লগের কনটেন্ট নিয়ে লিখতে পারেন আর তার ভিতর আপনার ব্লগের অ্যাড্রেস দিয়ে দিতে পারেন এতে করে আপনি কিছু ভিসিটর পাবেন সেই সাথে সাথে লিংক ।
৫. এবার কিছু দিন ওয়েট করুন, আপনার ব্লগে ডেইলি ৩০ -৫০ ভিসিটর হলে অ্যাড সেন্সের জন্য আবেদন করুন ।
আমি আগেই বলেছি, আমরা বাঙালি এবং ইংরেজি আমরা ভালো জানি না । কিন্তু কাজ চালানোর মত পারি। ইংরেজিতে লিখতে গেলে আমরা অনেক ভুল করে থাকি, যেমন—গ্রামার ভুল, বানান ভুল, প্রিপজিশান ভুল, ব্যাক্য সম্পূর্ণ হয় না ইত্যাদি । আমরা নিজেরা ত এই ভুল গুলো ধরতে পারি না তাই আমরা একটি টুলের ব্যাবহার করবো যেটি আমাদের ভুল গুলো ঠিক করে দেবে । এই টুলটি হল জিনযার (মানে আদা) নামের একটি সফটওয়্যার । এটি ফ্রী তে ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ যখন আপনার লেখা শেষ হবে এই ওপেন করে চালু করে দিন । এটি চালু করা অবস্তায় আপনার মনিটরের একেবারে উপরে মাঝ খানে থাকে, এমনিতে লুকানো থাকে কিন্তু মাউসের কার্সর নিয়ে গেলে সামনে আসে, এবার ওখান থেকে চশমা আইকনে ক্লিক করুন দেখেন কাজ শুরু হয়ে গেছে । এবার ভুল গুলো আপনি আপ্প্রভ করে নিন ।
কি এবার হয়ে গেল ত ইউনিক এবং গ্রামাটিক্যাল ত্রুটি মুক্ত আর্টিকেল ।
কোন প্রকার হেল্প লাগলে আমার ব্লগে কন্টাক্ট পেজ থেকে মেইল করুন ।
বিঃদ্রঃ ব্লগিং নিয়ে কি একটু অ্যাড ভান্সাড লেভেল নিয়ে আলোচনা করবো ? আপনারা কি বলেন ?
আমি Gautam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 30 টি টিউন ও 197 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সুন্দর পোস্ট 🙂 তবে একটি বিষয়ে আমি একটু কনফিউসড … দৈনিক ৩০-৫০ জন ভিজিটর থাকলে কি এডসেন্স আপ্রুভ করে নাকি? আমার জানা মতে ১০০+ ভিজিটর থাকতে হয়