লেখাটা একেবারে আমার মত নতুনদের জন্য। আমরা অনেকেই ব্লগিং করার ক্ষেত্রে কি নিয়ে করব এটা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় পরে যায়। কি নিয়ে করব, কিভাবে করব, কি রকম আয় হবে, আর্টিকেল ঠিক মত লিখতে পারবতো, ডোমেইন কি হবে, কোথা থেকে কিনব, হোস্টিং কোথা থেকে কিনব ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করতে করতে বলা যায় চুল পরে যাবার মত অবস্থা।
যাই হোক অনেক সিনিয়ার আছেন যারা নতুন দের সহযোগিতা করেন আবার অনেকেই আছেন সোজা Google.com দেখিয়ে দিয়ে আর কোন খোজ নেই। যাই হোক অনেক সংগ্রাম করে শুরু করল একজন নতুন ব্লগার ব্লগিং করা অনেক অনেক আয় হবে এই আশায়। কিন্তু এরপর কি হল, যা হয় বেশির নতুন ব্লগার এর ক্ষেত্রে।
১. অনেকেই নতুন একটি টপিক নিয়ে কিছুদিন শুরু করার পর আবার নতুন টপিক নিয়ে শুরু করেন, ভাবেন এটা আমি ভাল করতে পারব, আবার দুইদিন পর আবার নতুন একটা নিয়ে শুরু করেন, এতে দেখা যায় তার দিন যায়, মাস, বছর যায়, যুগ যায়, কিন্তু তার আয় আর হয় না।
২. ব্লগিং করার আগে যা যা দরকার সেসব ব্যপারে শুরুতে ভাল করে জেনে শুনে নিবেন। শুরু করার বার বার সিন্দান্ত পরিবর্তন করলে আম আর ছালা দুইটাই হারাবেন।
৩. ব্লগিং শুরুতে আপনাকে একটি নতুন ডোমেইন হোস্টিং নিতে হবে। বাংলাদেশের অনেকই ডোমেইন হোস্টিং এর সার্ভিস দিয়ে থাকেন। কিছু আছেন যারা আপনার ভাত খাবার আশায় বসে থাকেন। এখন বলেন কিভাবে - আপনার সাইটের রাঙ্ক ২ এবং আপনি দিব্যি আডসেন্স থেকে আয় করে যাচ্ছেন। তখন তার তো আর লোভ সামলাতে পারছে না। আছতে করে আপনার একটা বিপদে ফালিয়ে নানান ধরনের ভুগিচুগি বুঝিয়ে আপনাকে পথে বসিয়ে একটা থালা ধরিয়ে বললে - যান ভাই নতুন করে আবার শুরু করেন।
১. যার কাছ থেকেই নিবেন না কেন - শুরুতে আপনার ডোমেইন এর মালিকানা বুঝে নিবেন। বুজলেন না। আপনি যার সাইট থেকে কিনছেন সেই সাইটে আপনি শুধু মাত্র একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করছেন। আর বাকি গুলো করছেন সেই মালিক। সে Namecheap or Godaddy থেকে ডোমেইন নিয়ে আপনাকে দিচ্ছে। সুতারং যখন বলবে আপনার ডোমেইন নেয়া হয়েছে তখনই সাথে সাথে আপনি তাকে বলবেন আপই কোথা থেকে কিনেছেন। সে একটা জায়গা অবশই বলবে - আপনি তাকে বলবেন ঠিক আছে আপনি আমাকে আমার অ্যাকাউন্ট এ ডোমেইনটা পুস করে দিন আমই ঐ সাইটে অ্যাকাউন্ট করছি। আমি আগেই আবার বলছি ফুল পেমেন্ট করবেন না। তখন সে আপনাকে ডোমেইন দেয়া নেয়া নিয়ে ঘুরাবে। আপনি না নেয়া প্রজনত ছাড়বেন না।
২. ডোমেইন নেবার পর আপনি হোস্টিং সেটাআপের পর আপনি BackWPup নামে একটি প্লাগিং আছে সেটা ইন্সটল করে নিবেন এবং ড্রোপবক্স এর সাথে অ্যাড করে নিবেন এতে আপনি প্রতিস্পতাহে ব্যাকাপ রাখতে পারবেন। এবার বলবেন কেন ব্যাকআপ রাখব। ব্যাকআপ দুইটি কারনে আমি রাখি একঃ সাইট হাক হলে অথবা হোস্টিং এর মালিক ভেগে গেলে আপনি কি করবেন। আপনার সাইটের এত কষ্টের আর্টিকেল, রাঙ্ক সব তো শেষ। তখন এই ব্যাকআপ আপনাকে সাহায্য করবে। নতুন কোথাও থেকে আবার হোস্টিং নিয়ে সেই ব্যাপআপটা অ্যাড করে আবার নতুন করে শুরু করে দিন।
১. টপিক চেঞ্জ করবেন না
২. ডোমেইন নেম চেঞ্জ করবেন না।
৩. এস ই ও শুরু করার পর দুইদিন পর পর ডিজাইন চেঞ্জ করবেন না।
৪. এক সপ্তাহে দুইটা আরেক সপ্তাহে ১০ টা পোষ্ট এই কাজ করবেন না। এতে গুগল বিরক্ত হয়।
৫. লেখার মান ঠিক রাখবেন
৬. আর্টিকেল লিখবেন আয় এর জন্য না, আর্টিকেল লিখবেন ভিজিটর জন্য, ভিজিটর আপনার আয় এনে দিবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
Happy Blogging
বি. দ্র. ঃ আমার প্রথম লেখায় দেখলাম অনেকেই কমেন্ট করছেন সাথে তাদের লিঙ্ক জুড়ে দিচ্ছেন। আমি আবারও বলছি, নিজেকে ছাগল হিসাবে পরিচয় দিবেন না। এই কমেন্ট এর ভিতর এই লিঙ্ক দিয়ে আপানার কোন কাজে আসবে না। আপনি একবার নিজেকে প্রশ্ন করেন - কেন দিচ্ছেন এই লিঙ্ক?
সবাই লিঙ্ক দিচ্ছে একজন কিন্তু আরেকজন এর লিঙ্ক দেখছে না। আমাকে দেখানোর জন্য দিচ্ছেন। যার এতটুকু কমসেন্স নিয়ে কোথায় কিভাবে কমেন্ট করতে হবে, তার সাইট দেখে আমি কি করব।
সবশেষে মিইন্ড খাইয়েন না আমার কথায়। আমি একেবারে নতুন। আমি শুধু মাত্র আমার অর্জিত জ্ঞানটুকু শেয়ার করছি। যারা পড়বেন তাদের কাছ থেকে মন্তব্য আশা করছি। এতে আমার লেখা সার্থক হবে।
টেকটিউনস এর অ্যাডমিনদের বলছি - ভাইয়ারা এবং আপুরা আমি এখানে ছাড়া আর কোথাও লেখা শেয়ার করছি না। সুতারং আমার লেখা গুলো দেখশুনা আপনারাই করবেন। যদিও আমার লেখার মান অনেক খারাপ এবং বেশির ভাগই অনেকেই জানে। কিন্তু তারপরও।
আমি oldschool। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 5 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
valo laglo