ডুল্যান্সার বন্ধ হয়েছে দেখে আউটসোর্সিং নিয়ে প্রতারনা বন্ধ হয়েছে, এটা বলা ঠিক হবেনা। এখনও কুচক্র মহল আউটসোর্সিং নিয়ে নতুন নতুন ফাঁদ পাতছে। অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ইনকামের প্রতি সবার আগ্রহ অনেক বেশি। অনেক জায়গাতে শুনি, অ্যাডসেন্স একাউন্ট কেনা বেচা হয়।আবার অনেক ট্রেনিং সেন্টারের অফার থাকে, কোর্সে ভর্তি হলে অ্যাডসেন্স একাউন্ট ফ্রি কিংবা এটাও শুনেছি, ঢাকার কিছু কিছু ট্রেনিং সেন্টার অ্যাডসেন্সের কোর্স করায় যার ফি ৮,০০০টাকা।
আপনি ২০০০-৫০০০ টাকা দিয়ে অ্যাডসেন্স কিনলেন, কিনে খুবই সন্তুষ্ট হলেন। বাঙ্গালীরা কাজ না করে কিছু পেলেই সবচাইতে বেশি খুশি হয়। এবার আপনার নিজের ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্সের অ্যাড বসালেন। দেখে এবার খুব খুশি। দুইুদন পর দেখলেন, অ্যাডসেন্স উধাও। তার মানে বিসমিল্লাহ বলে ২০০০-৫০০০ টাকা পুরো জলে ফেলে দিলেন। অ্যাডসেন্সের ব্যাপারে না শিখে কাজ করলে এ অবস্থা হবেই।
তারমানে এখন আপনার ভাবনাতে আসল নতুন ভাবনা। খোজ শুরু করলেন, কারা অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করা শিখায়? যারা এটি ট্রেনিং দেয়, তারা অন্তত প্রতারকনা। একটি ট্রেনিং সেন্টার পেলেন, যেখানে ৮০০০ টাকাতে অ্যাডসেন্স শেখায়। এরকম একজন এসেছিল সেদিন আমার কাছে। সে বলছিল, কোন একটি ট্রেনিং সেন্টার নাকি একাজ করে। আসলে অনেক ট্রেনিং সেন্টার এ ধরনের লোভনীয় ফাঁদ পেতে নিজেদের পকেট ভরাট করছে।
কারন অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য কিংবা অ্যাডসেন্স হতে আয়ের জন্য ট্রেনিং দরকার হয়না। আপনার ইনকামের জন্য ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনা শিখতে হবে, যেটাকে বলা হয় এসইও। সুতরাং শিখতে হবে এসইও কোর্স। এস ই ও এমন একটা জিনিস যেঁটা শিখতে গেলে আপনার সব সেক্টর থেকে মোটামুটি একটু একটু করে শিখা হবে। তারপর অ্যাডসেন্স কিভাবে পেতে হবে সেটা এমনি এমনি আপনি শিখে যাবেন। কারন তখন আডসেন্স এর নিয়ম কানুন গুলো আপনার জানার ইচ্ছে জাগবে। আপনার সাইটের ভিজিটর নেই আডসেন্স দিয়ে কি পূজা করবেন। তাই ভিজিটর কথা মাথায় রেখে এস ই ও করতে হবে।
যখন এসইও শিখে গেলেন, মানে ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে পারেন্। তখন আপনি অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েশন্স, ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়, লিংক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে আয়, ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আবার পুরো ওয়েবসাইটকে গুগলের সার্চের ফলাফলে টপ পজিশনে আনার কাজও করতে পারবেন। এসইও করার পর আবার আলাদা টাকা দিয়ে অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েশন্স কেন শিখতে হবে? যারা এ কাজ করে তারা শেখানোর মানসিকতার চাইতে ব্যবসা করার মানসিকতা বেশি।
আয়ের ব্যপারে আরও বিশালভাবে চিন্তা করুন। অনলাইন আয় করার ক্ষেত্রে কেন আপনার লক্ষ্য হবে মাত্র ডাটা এন্ট্রি করে ২০০০-৩০০০ টাকা আয়। আউটসোর্সিং করার কারনে অনেক স্টুডেন্টের বর্তমান মাসিক আয় ৫০,০০০ টাকা থেকে ১লাখ টাকা। তারাও একসময় আপনার মত অবস্থানে ছিল। সেখান থেকে ৩-৪ মাসের চেষ্টাতে আজকের এ অবস্থান। সেই স্টুডেন্টগুলো পারলে আপনি না পারার কোন কারন নাই।
তারপরও আপনি পারছেননা। কারন আপিন খুজছেন ক্লিক করে ইনকাম, ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে ইনকামের মত পথগুলো। এগুলো মাধ্যমে হয়ত আপনি পারবেন ইনকাম করতে। কিন্তু সেটা হবে মাত্র ২-৩ মাসের জন্য। কিন্তু আপনার লাইফ ২-৩মাসের না। আপনার আয়ু ৮০-৯০ বছরের। সুতরাং কমপক্ষে ৫০ বছর যাতে আয় করতে পারেন, সেভাবে প্রস্তুতি নিন।
সচেতন হউন। নিজেকে ঠকানোর সুযোগ যদি আপনি নিজেই করে দেন, তাহলেতো কারও কিছুই করার নাই।
কোন পরামর্শের জন্য, ফেসবুক গ্রুপে প্রশ্ন করুন।
আমি মোঃ ইকরাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 102 টি টিউন ও 130 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নিজেকে অনলাইন ব্রান্ড এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করলেও গ্রাফিকস, ওয়েবডিজাইন এবং অ্যানিমেশন বিষয়েও প্রচুর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগিংটা নেশার কারনে করি। নিজের ব্লগের লিংকঃ http://genesisblogs.com/
একদম ফাটাফাটি পোষ্ট !