গত মঙ্গলবার অ্যাডোব জানিয়েছে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ওয়েবের অন্যতম বিতর্কিত এলিমেন্ট অ্যাডোব ফ্ল্যাশ বন্ধ করে দিবে। ব্রাউজার নির্মাতা কোম্পানী গুগল ও মাইক্রোসফট ধীরে ধীরে বন্ধ করার পরিকল্পনা একসাথে ঘোষণা দিয়েছে।
অ্যাডোব জানিয়েছে, এইচটিএমএল৫ এর মত যথেষ্ট ওপেন ওয়েব স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে যে অ্যাডোব ফ্ল্যাশ বন্ধ করা সময়ের দাবি। এই কোম্পানি বড় একটি ব্লগ টিউনে প্রকাশ করেছে, "অ্যাডোব ও ম্যাক্রোমিডিয়া ব্রাউজার প্লাগিনের মাধ্যমে ওয়েবে অনেক নতুনত্ব দিয়েছে যা ভোক্তা ও প্রকাশকদের আকর্ষণীয় ও সৃজনশীল করেছে।" "আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ২০২০ সালের শেষে মিডিয়ার এই প্রয়োজনীয় সক্ষমতাগুলো ও মান ক্রেতাদের কাছে সহজভাবে বিস্তার লাভ করবে।"
বিশেষত, তারা জানিয়েছে ২০২০ হবে অ্যাডোব ফ্ল্যাশ প্লেয়ারের প্রয়াণকাল যা সহজভাবে বুঝায় ফ্ল্যাশ প্লেয়ার কাজ করবে না, কিছু
নিউগ্রাউন্ড এর মত অতিরঞ্জিত এফেক্ট দেখাবে।
ফেসবুকের ফ্ল্যাশভিত্তিক গেমগুলোও ২০২০ সাল পর্যন্ত চলবে, তাই ফেসবুকও বিষয়টি আমলে নিয়েছে এবং যত তারাতারি সম্ভব ডেভেলপারদের এইচটিএমএল৫ এ পরিবর্তিত হতে প্ররোচিত করবে।
ফ্ল্যাশ অনেকের জন্য সামান্য উপদ্রব আবার একই সাথে বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি। ফ্ল্যাশভিত্তিক গেমগুলোতে অ্যাডোব আর হ্যাকারদের মধ্যে ইদুর-বিড়াল সম্পর্ক। অ্যাপলেরে স্টিভ জবস আইফোন থেকে ফ্ল্যাশ বিলুপ্ত করেন এবং দাবি করেন যে, ফ্ল্যাশ ব্যাটারির আয়ু কমায় ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায়। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৫ সালে হ্যাকাররা ম্যালওয়ার ছড়ানোর উপায় হিসেবে ফ্ল্যাশ-এ ঝুকে পড়ে। এতে সারা দিয়ে, অ্যাডোব একটি প্যাচ ইস্যু না করা পর্যন্ত মজিলা তাদের ফায়ারফক্সে ফ্ল্যাশ সাধারণভাবে ব্লক রাখে। একটি নজরদারিতে দেখা যায়, ফ্ল্যাশ ব্রাউজারকে ৮০% পর্যন্ত ধীর গতির করতে পারে।
পরবর্তীতে ব্রাউজার নির্মাতারা হয় ডিফল্টভাবে ফ্ল্যাশ ব্লক করে নাহয় ব্যভারকারীদের জিজ্ঞেস করে তারা ফ্ল্যাশ কন্টেন্টটি চালাবেন কিনা। এখন গুগল ক্রম ও মাইক্রোসফট এজ এর ফ্ল্যাশ চালাতে ব্যবহারকারীদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এজ পরবর্তী সময়ের জন্য অনুমতি মনে রাখতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, সাইটগুলো যদি ওপেন ওয়েব স্ট্যান্ডার্ড এ যায় তাহলে কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যাবে না আর যদি ফ্ল্যাশ চালিয়ে যায় তবে তা ২০২০ সাল পর্যন্ত অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে ক্রেতারা দেখতে পাবেন।