Toyota, যা শুধু গাড়ি তৈরি করে না, বরং বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই Company-টি যেন অটোমোবাইল শিল্পের এক জীবন্ত কিংবদন্তি, যার প্রতিটি পদক্ষেপে লেখা আছে নতুন সাফল্যের গল্প। কেউ কেউ হয়তো Toyota-কে শুধুই একটি Manufacturer Of Automobiles হিসেবে দেখেন, কিন্তু বাস্তবে তারা যেন উদ্ভাবন, নির্ভরযোগ্যতা এবং গ্রাহক-কেন্দ্রিকতার প্রতিচ্ছবি। ২০২৩ সালের দিকে তাকালে দেখবেন, তারা বিশ্বব্যাপী ১১.২৩ Million Vehicles বিক্রি করেছে।
এই সংখ্যাটা এতটাই বিশাল যে, তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেয়। যদিও Toyota আর Volkswagen-এর মধ্যে এক নম্বরের স্থান নিয়ে প্রায়ই তীব্র প্রতিযোগিতা চলে, তবে গত কয়েক বছরে Toyota নিজেদের অবস্থান বেশ শক্ত করে ধরে রেখেছে। আর Toyota Corolla-এর কথা তো আমরা সবাই জানি, তাই না? এটি শুধু একটি Car নয়, বরং সর্বকালের Best-Selling Car। ১৯৬০-এর দশকে এর যাত্রা শুরু, আর Toyota এরপর থেকে বিভিন্ন Generations-এ এটিকে বাজারে এনেছে। ২০২১ সালে, এটি প্রথম Car হিসেবে ৫০ Million Units বিক্রির একটি অবিশ্বাস্য মাইলফলক স্পর্শ করে। এই সংখ্যাটা কত বিশাল! এই রেকর্ড এখনো পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি। প্রায় $300 Billion Annual Sales নিয়ে Toyota আজ বিশ্বের ১৯তম বৃহত্তম Company, যেখানে ৩, ৭৫, ০০০-এর বেশি Employees কাজ করে।
Toyota সময়ের সাথে সাথে নিজেদের যেভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বিশেষ করে যখন আমরা তাদের Humble Beginnings এবং কঠিন সময়ের কথা ভাবি, তখন তাদের সাফল্য আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়। আজকের এই টিউনে Toyota-এর Foundation, Growth, এবং তিনটি Major Struggles নিয়ে আলোচনা করব। Toyota-এর Journey-টা যেন একটা সিনেমার মতো, যেখানে অনেক বাধা-বিপত্তি, চ্যালেঞ্জ, এবং ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প রয়েছে। একটা Driving Metaphor ব্যবহার করে যদি বলি, তাহলে Toyota-এর এই পথটা যেন বন্ধুর, যেখানে তারা অনেক ‘Bumps In The Road’ পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে।
Toyota-এর পথ চলা শুরু হয়েছিল Kichiro Toyota-এর হাত ধরে, ১৯৩০-এর দশকে। তার Father ছিলেন জাপানের Textile Industry-এর একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি Automatic Loom আবিষ্কার করেন এবং নিজের Company প্রতিষ্ঠা করেন। Kichiro প্রথমে তার Father-এর Company-র একটি অংশ হিসেবে Automotive Segment শুরু করেন। ১৯৩৬ সালে তারা Model Aa Sedan নামে তাদের প্রথম Car তৈরি করেন। এরপর তারা Toyota Motor Company প্রতিষ্ঠা করেন। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, নামের বানানে D-এর পরিবর্তে T ব্যবহার করা হয়েছে। কেন এমনটা করা হয়েছিল, তা নিয়ে অনেক রকম কথা প্রচলিত আছে। শোনা যায়, Chinese এবং Japanese Culture-এ আট সংখ্যাটিকে খুব Lucky মনে করা হয়। Toyota-এর নাম জাপানিতে লেখার সময় ৮টি Strokes লাগে, যেখানে আগে লাগত ১০টি। তবে, অনেকে মনে করেন, International Market-এ আরও বেশি Appeal করার জন্যই এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল। আমার ধারণা, দুটি কারণই এখানে কাজ করেছে। এই নামের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে Toyota যেন তাদের ভবিষ্যৎ যাত্রার একটি দিকনির্দেশনা তৈরি করে নিয়েছিল।
যাই হোক, এটা তো আমরা সবাই মানি যে, ১৯৩০-এর দশকে জাপানে একটি Car Company শুরু করাটা খুব সহজ ছিল না। World War II-এর কারণে Toyota-এর ওপর অনেক Negative Impact পড়েছিল, যা ছিল তাদের প্রথম Major Setback। যুদ্ধের সময়, দেশের সব Production সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। Toyota Consumer Cars তৈরি করা বন্ধ করে দেয় এবং Military-এর জন্য Trucks বানানো শুরু করে। কিন্তু প্রয়োজনীয় Materials-এর অভাবে বেশিরভাগ Truck-এর Quality ভালো ছিল না। কোনোটা Wooden Seats দিয়ে তৈরি হতো, আবার কোনোটাতে শুধু একটি Headlight থাকত। যুদ্ধের শেষ দিকে, তারা পুরোনো Trucks থেকে Part Salvage করে নতুন Truck তৈরি করত। Toyota-এর এই শুরুর দিনগুলো ছিল সংগ্রাম আর উদ্ভাবনের এক মিশ্রণ, যেখানে তারা সীমিত সম্পদ দিয়েও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিল।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে ওঠে। একদিকে Supply-এর অভাব, অন্যদিকে জাপানের Economy-র অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। বেশিরভাগ মানুষের কাছে খাবার কেনার মতো টাকাও ছিল না, সেখানে Car কেনার কথা তো ভাবাই যেত না। Government Policy-এর কারণে Loan পাওয়া কঠিন হয়ে যায়, ফলে Company-তে Money-র Flow একেবারে কমে যায়। Employees-দের ঠিকমতো বেতন দিতে না পারায়, তারা Strike-এ যায়, যার কারণে Production আরও কমে যায়। Company-র Founder এবং President Kichiro Toyota পদত্যাগ করেন এবং এর দুই বছর পর Brain Hemorrhage-এ মারা যান।
তখন জাপানের Economy এতটাই খারাপ ছিল যে, Toyota Bankruptcy-এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। এটা প্রায় একটা Miracle ছিল যে তারা কোনোমতে টিকে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত Labor Unions-এর সাথে একটি Agreement করে তারা Workforce-এর ২৫% কমিয়ে দেয়। এছাড়া, তারা একটি Loan পায়, যেখানে Sales Division-কে আলাদা Company হিসেবে চালানোর শর্ত ছিল। কিন্তু Toyota-এর ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে Korean War। যুদ্ধের শুরুতে Us Military Toyota-কে প্রায় ৪, ৭০০ Truck-এর Order দেয়, যা Company-টিকে নতুন করে শুরু করতে সাহায্য করে। World War II যেখানে Toyota-কে প্রায় ডুবিয়ে দিচ্ছিল, সেখানে Korean War যেন তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে। এই সময়টা Toyota-এর জন্য ছিল টিকে থাকার লড়াই, যেখানে তারা তাদের দুর্বলতাগুলোকে শক্তিতে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছিল।
এবার আসা যাক Toyota-এর দ্বিতীয় Setback-এর কথায়, আর তা হল Us Market-এ তাদের প্রথম Entry। ১৯৫০-এর দশকে যখন US-এ নতুন Roads তৈরি হচ্ছিল, তখন Car Company-গুলোর জন্য এটি ছিল একটি খুবই আকর্ষণীয় Market। Toyota সবসময়ই US-এর সাথে একটি Strong Connection বজায় রেখেছিল। তারা তাদের প্রথম Car বানানোর আগেই US-এর Production Plants-এ গিয়ে দেখে এসেছিল, কীভাবে সেখানে Car তৈরি করা হয়। এরপর ১৯৫৮ সালে Toyota Toyopet Crown নামে তাদের প্রথম Car Us Market-এ Introduce করে। কিন্তু এটি ছিল একটি Total Disaster। Car-টি ছিল Underpowered, Unreliable, আর Us Market-এর জন্য একেবারেই উপযুক্ত ছিল না। এর Maximum Speed ছিল মাত্র 75 Mph, আর নামটাও ছিল তেমন Appeal করার মতো না। মাত্র ৪ বছরে ৩, ০০০-এর কম Unit বিক্রি হওয়ার পর Car-টি Discontinued করে দেওয়া হয়। এটা ছিল Toyota-এর জন্য একটি বড় ধাক্কা, যা তাদের শিখিয়েছিল যে, প্রতিটি Market-এর নিজস্ব চাহিদা থাকে এবং সেই অনুযায়ী নিজেদের প্রস্তুত করতে হয়।
তবে Toyota হাল ছাড়েনি। তারা নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নেয় এবং নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৬৫ সালে তারা Toyota Corona নিয়ে US Market-এ ফিরে আসে, যা ছিল আগের চেয়ে অনেক উন্নত। এই Car-টিতে ছিল একটি 90 Horsepower Engine এবং এটি 0 থেকে 60 Mph-এ যেতে পারত মাত্র ১৬ সেকেন্ডে। তারা Toyopet Name বাদ দিয়ে আরও Powerful Engine ব্যবহার করে এবং Car-টিকে American Market-এর জন্য Tailor Made করে তোলে।
এই Car টি খুব Popular হয় এবং Sales অনেক বেড়ে যায়। ১৯৭০-এর দশকে Toyota Volkswagen-কে ছাড়িয়ে Us-এর সবচেয়ে বেশি Imported Car Brand হয়ে ওঠে। ১৯৮০-এর দশকে তারা General Motors-এর সাথে Joint Venture-এর মাধ্যমে US-এ Car Manufacturing শুরু করে। ১৯৮৯ সালে তারা Lexus নামে একটি Luxury Brand Introduce করে, যা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই Country-র Best-Selling Luxury Brand হয়ে ওঠে।
একই বছর তারা তাদের পরিচিত Logo Introduce করে, যা তাদের Global Identity-কে প্রকাশ করে। আর Prius Hybrid Vehicle-এর কথা তো আমরা সবাই জানি। Scion এবং Camry-ও US-এর Best-Selling Cars-এর তালিকায় ছিল।
২০২১ সালে Toyota, General Motors-কে ছাড়িয়ে US-এর Top-Selling Car Maker হয়ে ওঠে। যদিও পরে তারা সেই Title ধরে রাখতে পারেনি, তবুও US এখনো Toyota-এর সবচেয়ে বড় Market। Toyota-এর এই ঘুরে দাঁড়ানো ছিল তাদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং উদ্ভাবনী চিন্তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
Toyota-এর শেষ Setback-টি ছিল Recalls-এর সাথে জড়িত। ২০০৯ সালে Floor Mats-এর সমস্যার কারণে Toyota-কে Millions Of Cars Recall করতে হয়। এর কারণে Accelerator আটকে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রায় ৮৯ জন মানুষ মারা যায়। এই ঘটনার জন্য Toyota-কে Class Action Lawsuit এবং US Government-কে Criminal Penalties বাবদ প্রচুর Money দিতে হয়।
এরপর ২০১০ সালে Japan-এ Earthquake এবং Tsunami-র কারণে তাদের Supply Chain ভেঙে পরে এবং Production কমে যায়। ২০১৪ সালে জানা যায়, Toyota-এর Supplier-এর Faulty Airbags-এর কারণে তাদের Car-গুলোতে সমস্যা হয়েছে। ২০১৬ সালে Toyota Truck Owners-দের সাথে Rust Protection-এর অভাবে হওয়া Damages-এর জন্য Settlement করে।
এমনকি ২০২৪ সালেও Diesel Engine-এর Certification Tests এবং Safety Tests-এর Results Forge করার মতো ঘটনাও ঘটে। এই সব ঘটনার কারণে Toyota-এর Reputation-এর ওপর অনেক Negative Impact পড়ে। কিন্তু এত কিছুর পরেও Toyota আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় Car Maker।
তারা বারবার নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে এবং ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই সময়গুলোতে Toyota তাদের গ্রাহকদের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতা প্রমাণ করেছে।
Toyota-এর এই Journey-টা সত্যিই অনেক অনুপ্রেরণামূলক। তাদের এই পথটা সহজ ছিল না। কিন্তু তারা বারবার প্রমাণ করেছে যে, ইচ্ছা থাকলে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। Toyota-এর গল্প আমাদের শেখায় যে, কঠিন পরিস্থিতিতেও কিভাবে নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হয়। তারা দেখিয়ে দিয়েছে, কিভাবে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসা যায়। তাই, Toyota শুধু একটি Car Company নয়, বরং একটি Inspiration-এর Source।
টিউমেন্ট এ জানান, আপনারা Toyota সম্পর্কে কি ভাবেন। আর আপনাদের Toyota কেনার অভিজ্ঞতা থাকলে সেটাও জানাতে পারেন। Toyota-এর এই Journey আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সাফল্য কোনো সরল পথে আসে না, বরং এটি সংগ্রাম, উদ্ভাবন এবং ঘুরে দাঁড়ানোর এক সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 208 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।