হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি, যেটা শুধু টেক দুনিয়া নয়, আমাদের সমাজকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। রিসেন্টলি যা ঘটছে, তাতে মনে হচ্ছে যেন ক্ষমতার একটা জটিল খেলা চলছে, যেখানে আমরা সাধারণ মানুষগুলো খেলার পুতুল মাত্র। একটা কাল্পনিক দ্বিতীয় Trump Administration-এর ছায়ায় Big Tech Company-গুলো যেভাবে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করছে, তাতে অনেক প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। তাই আজ একটু গভীরে গিয়ে বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করব, যাতে আমরা সবাই মিলে একটা পরিষ্কার চিত্র তৈরি করতে পারি।
গত কয়েক Weeks ধরে টেক Company-গুলোর মধ্যে যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তার মূল কারণ হল একটা Uncertainty। Donald Trump পরবর্তী সময়ে Internet-এর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, সেটা একটা বিশাল প্রশ্ন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সবকিছুই এখন Internet-এর ওপর নির্ভরশীল। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত, প্রতিটি মুহূর্তে আমরা কোনো না কোনোভাবে Internet ব্যবহার করছি। আমাদের শিক্ষা, ব্যবসা, বিনোদন, যোগাযোগ – সবকিছুই এখন Internet-নির্ভর। তাই এর নিয়ন্ত্রণ যার হাতে, তার হাতেই যেন একটা অদৃশ্য Power Switch থাকে।
ঠিক এই পরিস্থিতিতে Meta তাদের Policy পরিবর্তন করে Platforms-গুলোতে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য (Hate Speech), কুরুচিপূর্ণ গালিগালাজ (Slurs) এবং আরও আপত্তিকর Content-এর অনুমতি দিয়েছে! আগে যেখানে একটা Minimum Standard ছিল, একটা Respect-এর জায়গা ছিল, এখন সেটাও যেন ভেঙে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, যেন কোনো বাঁধা নেই, যা খুশি তাই করা যাবে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে কী কারণ থাকতে পারে, সেটাই এখন আলোচনার মূল বিষয়। কেন Meta হঠাৎ করে এমন একটা Controversial Step নিলো?
অন্যদিকে, TikTok-কে প্রথমে ব্যান করা হয়েছিল, কিন্তু পরে কোনো এক রহস্যজনক কারণে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। যেন কেউ একজন ডিরেকশন দিচ্ছেন, আর সবকিছু তার Control-এ চলছে। একদল Tech CEOs Trump-এর দ্বিতীয় Inauguration-এও যোগ দিয়েছেন! পুরো ব্যাপারটা কেমন যেন একটা ধোঁয়াশার মতো, তাই না? সবকিছু যেন পর্দার আড়ালে ঘটছে, আর আমরা শুধু Result দেখছি। আমরা শুধু জানতে পারছি যে Tiktok ব্যান হয়েছে, আবার ব্যান তুলে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কেন – সেটা আমরা অনেকেই জানি না।
আসলে এখানে Billionaire Power আর রাষ্ট্রীয় Power-এর মধ্যে একটা Merger হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। দুটো Powerhouse একসঙ্গে মিশে গেলে কী হতে পারে, সেটা সহজেই অনুমেয়। এটা যেন দুই হাতির লড়াই। আর আমরা যারা Internet ব্যবহার করি, মানে Basically Everyone, আমরা সবাই যেন এদের মাঝে আটকা পড়ে গেছি। আমাদের Data, আমাদের Opinion, আমাদের Voice – সবকিছুই যেন এই Power Play-এর অংশ। আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে Company-গুলো নিজেদের Profit বাড়াচ্ছে, আর আমরা যেন নীরবে সেই Process-এর অংশ হয়ে যাচ্ছি।
Mark Zuckerberg রিসেন্টলি Meta Platforms-এ Content Moderation নিয়ে একটা Announcement করেছেন। তিনি Fact-checking-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়কে বাদ দিয়ে Community Notes-এর ওপর ভরসা রাখার কথা বলছেন। এখন প্রশ্ন হল, Community Notes কতটা Reliable? সাধারণ মানুষের Review-এর ওপর ভিত্তি করে কি Fact-এর Standard Maintain করা সম্ভব? Fact-checking-এর জন্য Expert-দের দরকার হয়, যারা Subject Matter Expert, কিন্তু Community Notes-এর ক্ষেত্রে সেই সুযোগটা থাকে না।
শুধু তাই নয়, Meta-র নতুন Terms Of Service-এ এমন অনেক বিদ্বেষপূর্ণ (Hate Speech) ও Transphobic Content-এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা আগে Nominally হলেও Rules-এর বাইরে ছিল। তার মানে, আগে যেটুকু Respect দেখানোর চেষ্টা করা হতো, এখন সেটাও আর নেই। এখন সবকিছু Open, যা খুশি তাই বলা যাবে।
অনেকে হয়তো ভাবছেন, Zuck কি Maga-র দিকে ঝুঁকছেন? তার নতুন Haircut দেখে অনেকে সেই আলোচনা করছেন। কিন্তু আমার মনে হয়, এর পেছনে আরও বড় একটা Gameplan আছে। এটা শুধু একটা Political Alignment নয়, এর পেছনে Business-এর স্বার্থও জড়িত। এর একটা International Scope-ও আছে। Eu-এর Digital Services Act (Dsa) Social Media Platforms-গুলোর ওপর কঠিন Regulations আরোপ করতে পারে। এই Regulations-এর ফলে Company-গুলোর Business Model-এ বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, যা তাদের Profit-এ সরাসরি Impact ফেলবে। Zuckerberg হয়তো ভাবছেন, Trump-কে হাতে রাখলে তিনি Meta-কে বাঁচাতে Eu-এর বিরুদ্ধে Trade War ঘোষণা করবেন!
বিষয়টা অনেকটা এরকম – Zuckerberg হয়তো ভাবছেন Trump-এর সমর্থন পাওয়ার জন্য Transphobia-কে একটা Bargaining Chip হিসেবে ব্যবহার করবেন। তিনি হয়তো মনে করছেন, Trump-এর Administration-এর কাছে Freedom Of Speech-এর নামে যা খুশি বলার Permission পাওয়া গেলে Eu-এর কঠিন Rules থেকে বাঁচা যাবে। এটা যেন একটা Chess Game, যেখানে Zuckerberg একটা Risky Move করছেন।
এটা শুধু আমার ধারণা নয়। Politico-র একটা Article-এ Zuckerberg নিজেই Trump-এর কাছে এমনটাই চাইছেন! তিনি চান Trump যেন Eu-কে Us Tech Companies-গুলোর ওপর জরিমানা করা থেকে বিরত রাখেন। তার মানে, খুব ঠান্ডা মাথায় একটা Plan করা হচ্ছে, যেখানে Transphobia-কে ব্যবহার করে Trade-এ সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা খুবই Sad একটা Reality, যেখানে Human Rights-কে Business-এর স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শুধু Meta নয়, TikTok নিয়েও পানি ঘোলা হচ্ছে। Congress একটা Law পাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে TikTok-কে চীনা Control থেকে আলাদা করতে না পারলে ব্যান করা হবে। কিন্তু Trump নাকি Political Gain-এর জন্য সেই Law উপেক্ষা করছেন। শোনা যাচ্ছে, তিনি Tiktok-এর Sale বাধ্য করতে চান এবং US Government-এর হাতে ৫০ শতাংশ Ownership রাখতে চান!
এই Idea-টা এতটাই Problematic যে, এটা First Amendment-এর কতগুলো Issues তৈরি করবে, সেটা হিসাব করাও কঠিন। US Government যদি কোনো Social Media Platform-এর মালিক হয়, তাহলে Free Speech-এর কী হবে? সরকার কি তাহলে Content Control করতে পারবে? এটা তো একটা Dark Scenario! ভাবুন, সরকার যদি Decide করে যে কোন News প্রচার করা যাবে আর কোনটা যাবে না, তাহলে কী হবে?
Apple আর Google-এর মতো Company-গুলোও TikTok-কে তাদের App Stores-এ ফিরিয়ে আনার ঝুঁকি নিচ্ছে না। কারণ তারা জানে, Trump-এর Policy যে কোনো মুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে। Business-এর ক্ষেত্রে Stability খুব দরকার, আর Trump Administration-এর সঙ্গে সেটা পাওয়া কঠিন। তারা হয়তো ভাবছে, Political Risk না নেওয়াই ভালো।
এই পুরো Situation-টাকে বলা যায় – “Gangster Tech Regulation”। এখানে Outcomes-কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, Fairness বা Legitimacy-কে নয়। যার Power আছে, সে Rules Change করে নিজের Benefit আদায় করে নিচ্ছে। ফলে Corruption আর স্বৈরাচারী কাজকর্মের সুযোগ বাড়ছে। Internet-এর Control নিয়ে একটা Geopolitical War চলছে, আর আমরা সাধারণ User-রা যেন সেই যুদ্ধের Victim। এটা যেন একটা Jungle Law, যেখানে যার শক্তি বেশি, সেই টিকে থাকবে।
এই জটিল পরিস্থিতিতে আমাদের কী করা উচিত? আমার মনে হয়, আমাদের Critical Thinking-এর ওপর জোর দেওয়া উচিত। Questioning Attitude-টা খুব জরুরি। Fact-Checking Site-গুলো ব্যবহার করে Information Verify করা উচিত। Social Media-র ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর না করে Alternative Source থেকে News নেওয়া উচিত। বিভিন্ন Newspaper, Magazine আর News Channel-গুলো Follow করা উচিত। আর অবশ্যই, নিজেদের Voice Raise করা উচিত। Company-গুলোর কাছে Demand করা উচিত যেন তারা Ethics ও Responsibility-এর সঙ্গে Business করে। Boycott করা উচিত সেই Company-গুলোকে, যারা Human Rights Violate করে।
আমাদের Educate হতে হবে, Aware হতে হবে আর Active হতে হবে। তবেই আমরা একটা Positive Change আনতে পারব।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। Big Tech Company-গুলো, Billionaire Power আর State Power-এর এই জটিল খেলায় আমরা সাধারণ User-রা যেন পীষে যাচ্ছি। Content Moderation-এর পরিবর্তন আর TikTok-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা আমাদের Platform ব্যবহারের Experience-কে প্রভাবিত করবে, তা বলাই বাহুল্য।
তবে হতাশ নয়। আমাদের সচেতন থাকতে হবে, নিজেদের Rights সম্পর্কে জানতে হবে এবং প্রয়োজনে আমাদের Voice তুলতে হবে। কারণ Internet আমাদের সকলের, আর এর ভবিষ্যৎ আমাদের হাতেই।
আশাকরি, আজকের টিউন-টা আপনাদের ভালো লেগেছে। এরকম আরও Interesting Topic নিয়ে খুব শীঘ্রই হাজির হবো। ততক্ষন পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন! আর অবশ্যই, টিউমেন্ট করে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 208 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।