সকল প্রশংসা একমাত্র বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর এবং তারই সুন্দরতম নাম আল-আমিন (মহাজ্ঞানী) নামে শুরু করছি।
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন ? আশা করি ভালো। আজ এই টিউনে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব লেখাটিকে অনেক সুন্দর করে সাজাতে যাতে প্রিয় পাঠক ভাই-বোনদের ও বন্ধুদের উপকারে আসে। তাহলেই আমার পোস্টের সার্থকতা। (মনে রাখবেন, প্রত্যেকটা সার্থকতাই অনেক ত্যাগ ও সাধনার ফল) এই লেখাটিতে যা উল্ল্যেখ থাকবে তার বেশীরভাই আমার কম্পিউটার বিষয়ক পড়াশোনা বা এ ব্যাবসার অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। যারা কম্পিউটার লাইনে ব্যাপক অভিজ্ঞ তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকল যে তারা আমার লেখার যদি কোন ভুলত্রুটি পান তাহলে তা নির্দিধায় ধরিয়ে দিবেন । আশা করছি আপনাদের তথ্যগুলো আমার লেখায় সংযুক্ত করে পোষ্টকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারব। অনিচ্ছাকৃত কোন ভুল বা অজ্ঞতার কারণে কোন ভুল হলে তার ক্ষমা আমি আগেই চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের পরামর্শ, কটুক্তি, গালি অথবা দোয়া, সকল কমেন্টই সাদরে ও আদরে গ্রহণীয়। বেশী বাঁচলামি করে আর আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার সাহস পাচ্ছিনা।
আপনি কি একটা মিড-বাজেটের হাই-কনফিগারড কম্পিউটার কিনতে চান / কেনার কথা ভাবছেন ? যা আপনার সকল আশা পূরন করতে সক্ষম ,দাম ও মানের দিক থেকে !!!!!!!
আপনি কি একজন ভালো গেমার ? হাই কোয়ালিটি গেম আপনি খেলতে চান ? অথবা ভালো পারফমেন্সের পিসি কিনতে আগ্রহী ? অথবা উপরের কোনটাই না আপনি জাষ্ট এমন একটা কম্পিউটার কিনতে চান যা আগামী ৫-৭ বছর বা তার উপরেও আপনি ইজিলি ইউজ করতে পারবেন ? ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করি অর্থাৎ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আপনি শখ করে মোটামুটি একটা ভালো দামের কম্পিউটার কিনেছিলেন এই চিন্তা করে যে আগামি ৪-৫ বছর বাজারে যত নতুন গেম আসবে বা নতুন উইন্ডোস বা পাওয়ারফুল সফ্টওয়্যার অথবা হাই-ডেফিনেসনের মুভি আসবে তা ইজিলি চালাতে পারবেন। কিন্তু দেখা গেল বর্তমানে যে ১৯০০ পিক্সেলের মুভি তা আটকে আটকে চলছে , একটা গেমও হাই পারফমেন্সে খেলতে পারছেন না, কপি-পেষ্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা কাজেই অনেক সময় ব্যায় করে, মাঝে মাঝে হ্যং করে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এটার কারন হতে পারে আপনার র্যামের স্বল্পতা বা প্রসেসরের গতি বা মদারবোর্ড এমন যে আপগ্রেড সাপোর্ট করছে না ,ফলে আপনি না পারছেন র্যাম বাড়াতে ; না পারছেন প্রসেসর চেন্জ করতে। এর মানে দাঁড়ালো যে হয় আপনাকে পুরো সিপিইউ বদলাতে হবে না হয় নামমূল্যে কম্পিউটারটি বিক্রয় করতে হবে।
আহা,কি দু:খ! যাক্ যা হবার তা হয়েছে। যদি নতুন করে ভালো মানের কম্পিউটার কিন্তে চান তাহলে আমার এ লেখা হয়ত আপনাদের উপকারে আসতে পারে।
মোট কথা আপনার কম্পিউটার কেনার পেছনে যে উদ্দেশ্য ছিল তা পূরণ হলো না। কেননা বর্তমান বাংলাদেশ এর একটা মিডিল আয়ের মানুষ এই স্বপ্নই দেখে যে তার কষ্টের টাকার কেনা পন্যটি নির্দিধায় অনেক বছর চলবে ফলে সাহসাই তাকে আর এর পেছনে আবার টাকা ঢালতে হবে না।
এখন আমি এই লেখাটিতে আপনাদেরকে এমন একটা কনফিগারেশনের কম্পিউটার সম্পর্কে বলব যা হতে পারে দামের ও মানের দিক থেকে আপনার সমস্যার সুন্দর একটি সমাধান এছাড়াও যারা রাফফুলি কম্পিউটার ব্যাবহার করেন তাদের জন্য কম্পিউটার কিভাবে সুন্দর করে যত্ন নিয়ে অনেক দিন ব্যাবহার করবেন তার সম্ভব্য পরামর্শ দিয়ে লেখাটিকে একটা মানসম্পন্ন ও প্রানবন্ত পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করব: (আমি নিচে যাষ্ট একটা মিজ বাজেটের সিপিইউ এর কথা বলছি আর এটাও বলছি না যে এর চেয়ে ভালো ও দামি নাই।)
প্রসেসর: 2nd Gen. INTEL CORE i3 2100 LGA 1155 WITH 3.1GZ and 3MB CACHE
ইন্টেলপ্রসেসর : টু বি অনেস্ট ইন্টেলের প্রসেসর আমার মতে অন্যান্ন প্রসেসর থেকে অনেক বেটার মনে হয় যদিও এটা নিয়ে অনেকে আর্গুমেন্ট করে। আমি সে দিকে যাব না। আমি অনেক দিক থেকেই একে বেটার বলি। এই Core i3 প্রসেসর যেহেতু সেকেন্ড জেনারেশনের তাই বলার অপেক্ষারাখে না এটা এখনও বাজারে কিভাবে দাঁপটে চলছে ,যদিও থার্ড জেনারেশন আছে বা Core i5 বাট আমি আগেই বলেছি এটা মিড বাজেটের এবং কমের মধ্যে সবচেয়ে বেটার। Core i3 বাজেট এর মধ্যে চেষ্টা করুন এই Core i3 প্রসেসর 3.00 Plus GZh.এর স্পিড ক্রয় করতে,ফলে বালার অপেক্ষা রাখেনা এই জাতীয় প্রসেসর দিয়ে কত দ্রুত মাল্টি-টাস্কিং, কপি-পেষ্ট, ওভারক্লকিং , হাই-ডেফিনেশন ভিডিও সহ ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারবেন। আপনার মূল্যবান সময় নষ্টের হাত থেকে অনেকাংশে বেঁচে যাবেন। এই প্রসেসরে অনেক গুলো Advanced Technology ইউজ করা হয়েছে। যেমন ধরুন Hyper-Threading Technology, Virtualization Technology, Enhanced Intel SpeedStep® Technology, Thermal Monitoring Technologies সহ আরো অনেক কিছু। আরও বিস্তারিত জানতে দেখুন এখানে ক্লিক করুন । আর তিন বছরের ওয়ারেন্টি তো আছেই। বাজেট কিছু বাড়াতে পারলে Core i5 ও কিনতে পারেন। তবে Core i3 ও বেটার উইথিন মিড বাজেট।
যত্ন : প্রসেসরের বিশেষ কোন যত্ন নেই তবে প্রসেসরের এবং কুলিং ফ্যানের মাঝখানে একটা মেটালিক পেষ্ট থাকে যা প্রসেসরকে ঠান্ডা রাখে এছাড়াও অনেক কাজের এটা (এটা নিয়ে লিখতে গেলে একটা বড় টিউনই লেখা যায় যা এখানে নিষঃপ্রয়োজন তবে ভবিষ্যতে এটা নিয়ে বিস্তারিত টিউন করব ইন্শাআল্লাহ) । তাই ৬ মাস পরপর এটা পাল্টালে আপনি ভালো পারফমেন্স পাবেন। দাম কিন্তু নিতান্তই কম তাই ভয়ে কিছু নাই।
মাদারবোর্ড: GIGABYTE H61M S2PV
মাদারবোর্ড : মাদারবোর্ড হল কম্পিউটারের এমন একটি হার্ডওয়্যার যা বাকি সব হার্ডওয়্যারের সমন্বয় সাধন করে আর এটিই মূলত নির্বাচন করা সবচেয়ে কঠিন কাজ কেননা এটাই কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার। আপনি ভবিষ্যতে যদি কম্পিউটার আপগ্রড করতে চান তাহলে তা ডিপেন্ড করবে আপনার এই মাদারবোর্ড এর উপর। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই মাদারবোর্ড যেমন Awesome তেমন দামও নাগালের বাইরে না। বর্তমানে মাদারবোর্ডের মধ্যে গিগাবাইট ই আমার মতে বেষ্ট কেননা সহজে সমস্যা করে না আর পারফমেন্সেও সন্তুষ্ট। এই মাদারবোর্ডে আছে ULTRA DURABILITY , DUAL UEFI BIOS , POWER FAILURE PROTECTION, HIGH TEMPERATURE PROTECTION সহ নানা সুবিধা এক কথায় সেরকম। সন্তুষ্টজনক পারফমেন্স পাবেন আপনি এতে। আরে ভাই এখানেই শেষ না কেবলতো শুরু। এটার বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স হচ্ছে {প্রসেসর ইন্টিগ্রেডেশনের মাধ্যমে HD Graphics 2000/3000}১.৫ গিগা থেকে ২.০০ গিগার মধ্যে (এক্সাকলিভাবে মনে করতে পারছি না) ফলে গ্রাফিকাল পারফমেন্স যে কেমন হবে তা বুঝতেই পারছেন আর নরমাল গেমতো গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়াই খেলা যায় আরামসে। এবার আসি এর আপডেট প্রসংগে, এটা DUAL CORE থেকে 2nd GENERATION ও 3rd GENERATION এর CORE i7 পর্যন্ত সাপোর্ট করবে। সাপোর্ট করে তৃতীয় প্রজন্মের PCI-Express interface ও এছাড়াও DVI interface রয়েছে smoother HD video playback এর জন্য। বলে ছিলাম না শুরুতে , পাঁচ-সাত বছরেও আপনার কম্পিউটার এর পারফমেন্স থাকবে অটুট। আর আপডেট করতে চাইলে সেতো সময়ের ব্যাপার মাত্র। এবার আসি ওয়ারেন্টির ব্যাপারে, এটার ওয়ারেন্টিও তিন বছরের। সো তিন বছর নো চিন্তা। আরও বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন এখানে দেখুন।
যত্ন : মাদারবোর্ডের যত্ন নিতে আপনাকে ইলেক্ট্রিসিটির উঠানামা থেকে বাচাঁতে ইউপিএস ব্যাবহার করা উচিৎ হবে।
হার্ডডিক্স: ANY BRAND 500 GB HARD-DISK DRIVE
হার্ডডিক্স: অনেকে বলতে পারেন ৫০০ গিগা হার্ডডিক্সতো অনেক কম আবার কারও কাছে এটাই অনেক। তাই আমি মোটামুটি বাজেটের কথা মাথায় রেখে ৫০০ গিগাবাইটই আপনাদেরকে ক্রয় করতে বলব। তবে কারও যদি অনেক বেশী ষ্টোরেজ করার মত ডকুমেন্ট থেকে তবে সে ২ টেরাবাইটও কিনতে পারেন তাতে আমার কোন আপত্তি নাই কেননা এই মাদারবোর্ডে আপনি যদি ২ টেরাবাইট করে হার্ডডিক্স বাকি তিনটা সাটা স্লটে লাগান তাতেও এর পারফমেন্স স্লো হবে না। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর কথা হল বর্তমানে হার্ডডিক্স এর প্রবলেম সবচেয়ে বেশী হয় ফলে অনেক সময় আপনার গুরুপ্তপূর্ন ডকুমেন্ট সহ হার্ডডিক্স নষ্ট হয়ে গেলে আপনার মাথায় হাত। আমি অনেককেই এই হার্ডডিক্স এর ব্যাপারে কৃপনতা করে এক বছরের ওয়ারেন্টিওয়ালা হার্ডডিক্স ক্রয় করতে দেখি । তবে এটা ঠিক না । আমি দুই বছরের ওয়ারেন্টিওয়ালা হার্ডডিক্স কেনাকে প্রাধান্য দেই। এগুলার মান ও ভালো থাকে। সেক্ষেত্রে যে কোন ব্রান্ডের দুই বছরের ওয়ারেন্টির হার্ডডিক্স কিনুন।
যত্ন : হার্ডডিক্স এর জায়গা অনেক দিন অব্যাবহৃত থাকলে তাতে ব্যাড সেক্টর পড়ে এছাড়া কোন কাজের মাঝখানে হঠাৎ বিদ্যুত-বিভ্রাট হলে এতেও ভালো চাপ পড়ে। আবার বার বার ফরম্যাট দিলে সমশ্যা দেখা দিতে পারে তাই এগুলো যাথাসম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শই আপাতত দিলাম। এছাড়া মাঝে মাঝে ব্যাড সেক্টর দুর করার জন্য ভালো সফ্টওয়্যার দিয়ে স্ক্যান করুন। কোনরুপ ঝাঁকি থেকে বাঁচিয়ে রাখুন এটা। এভাবে ব্যাবহার করলে আপনাকে আর সাহসা হর্ডডিক্স মেরামত করা লাগবে না।
র্যাম: RAM WITH A HIGH BUS SPEED DDR-3
র্যাম: এটাও কম্পিউটারের একটা গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার। সামান্য দামের পার্থক্য থাকলেও অনেকে মনে করে থাকেন র্যাম দুই গিগাই যথেষ্ট। যেহেতু আপনি এমন একটা কম্পিউটার কিনবেন যা অনেক বছর পর্যন্ত আপনি ইজিলি ইউজ করতে পারবেন আর পার্ফমেন্স থাকবে সেরকম তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনি যেহেতু হাই স্পিডের কোর আই ৩ প্রসেসর ইউজ করবেন সেহেতু আপনি অবশ্যই চার গিগার একটি ভালো বাস স্পিডের (1333) র্যাম লাগান। মাদার বোর্ডে র্যামের আরো একটি স্লট আছে যা ভবিষ্যতে র্যাম বাড়াতে কাজে আসবে। ৬৪ বিট এর উইন্ডোস ইন্সষ্টল করেও আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়িযে নিতে পারেন আরো এক ধাপ। আর গেমাররা নিশ্চই জানেন বর্তমানে ৪ গিগা র্যাম ই হল পারফেক্ট হাই-এন্ড গেমিং পারফমেন্স এর জন্য । এটার ওয়ারেন্টি লাইফটাইম। এর সাথে 64 BIT এর উইন্ডোস ইন্সষ্টল করলে আপনি আরো অনেক বেশী স্পিড পাবেন আপনার পিসির । তবে এটা সাধারন ইউজারদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা করে যখন তারা সফ্টওয়্যার খুজে পায় না বা আধুনিক সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করে না।
যত্ন : র্যাম যেভাবে আছে সেভাবে থাকতে দিন তবে মন চাইলে মাঝে মাঝে র্যামটা খুলে মাদারবোর্ডের আরেক র্যামের স্লটে (যদি সেটা অকেজো পড়ে থাকে) ঢুকিয়ে আবার খুলে আগের জায়গায় লাগান কেননা মাদারবোর্ডের আরেকটা র্যামের স্লট অনেক দিন অব্যাবহৃত থাকলে তাতে ময়লা পড়ে। এতে করে সেটা দুর হয়। তবে এটা করা না করা নেহায়েতই আপনার ইচ্ছা। এটা কোন জরুরী ব্যাপার না।
মাল্টিমিডিয়া: DVD WRITER OR RE-WRITER WITH HI-SPEED READ CAPABILITY
মাল্টিমিডিয়া : প্রত্যেকেই ডিভিডি কি কাজ করে তা জানেন। বর্তমানে মানুষ আর আগের মত ডিভিডি সিডি কেনেনা কারন আজকাল দোকানে দোকানে টাকা দিলেই পছন্দের সব পাওয়া যায় আর যারা অত কষ্ট করতে চান না তারা তো নেট থেকেই নামিয়ে নেন। আপনি হয়ত ভাবছেন তাহলে আমি কি ডিভিডি না কেনার কথা বলছি। জ্বি না ভাই! ডিভিডি তো একটা গুরুপ্তপুর্ন পার্টস কম্পিউটারের। তবে অনেকে শুধু ডিভিডি রোম কেনেন টাকা বাচাঁনোর জন্য ভাবেন আমার শুধু ডিভিডি দেখলেই হল আমার রাইট-টাইট করা লাগবে না। উইন্ডোস ইন্সষ্টল না হয় পেনড্রাইভের মাধ্যমে দিলাম । নতুবা আমার উপরের উল্লেখিত কথা চিন্তা করে আর কেনেন না। ভাই সামান্য কটা টাকা না বাঁচিয়ে, আপনার মূল্যবান সময় বাঁচান। একটা 24X SPEED এর ডিভিডি রাইটার বা রি-রাইটার কেনেন। ভবিষ্যতে যদি কোন কিছু ডিভিডি থেকে কপি করা লাগে রাইট করা লাগে তা দ্রুতই করতে পারবেন। আর এই আধুনিক মানের ডিভিডি রাইটার গুলো কোন নষ্ট সিডিও ভালো ভাবে রিড করতে পারে।
যত্ন :ডিভিডি ভালোভাবে ব্যাবহার করতে সিডি/ডিভিডি, ডিভিডি রোমে প্রবেশের আগে ভালো করে দেখে নিন তাতে কোন ময়লা লেগে আছে কিনা। থাকলে তা পরিস্কার করে তারপর তা ডিভিডি রোমে প্রবেশ করান। এভাবে যত্ন নিয়ে ব্যাবহার করলে অনেক দিল এটা লাষ্টিং করবে। তাছাড়া অনেকে আবার অনেক দিন ডিভিডি রোম আনইউজড ফেলে রাখেন ,এটা না করে মাঝে মাঝে একটা-দুটো সিডি তাতে প্রবেশ করিয়ে চালান।
অন্যান্ন: অন্যান্ন বলতে আমি কেসিং এর কথা বলব। কেসিং চুজ করার ব্যাপারে আমি হাই মেটালিক বা ভারী কেসিং এর সামর্থন করি না। অনেকে ভাবেন ভারী হলে কম্পিউটারে কোন ক্ষতি হবে না। আছাঁড়-পাছাড় খেলেও বাঁকিয়ে যাবে না। ভাই কম্পিউটার নিয়ে কি রাগবি খেলবেন নাকি বাসায় চেয়ার নাই তাই মানুষজন এলে সিপিইউ এর উপর বসতে দিবেন। নরমাল কিন্তু ষ্টাইলিশ এবং খোলামেলা (বেশী বাতাস চলাচলের উপযোগী) কেসিং চুজ করেন। যাতে নিজের কাছে দেখতে ভালো লাগে আপনার শখের কম্পিউটারটি । আফটার অল সে আপনার আগামী কতগুলো বছরের সঙ্গী। আর একটা জিনিষ পারলে ব্যাক ফ্যান ও ফ্রন্ট ফ্যান সহ কেসিং কিনুন। তাতে আপনার পিসি আরও ঠান্ডা থাকবে। তবে আমি যে কনফিগার বললাম তাতে এগুলা ছাড়াই পিসি ঠান্ডা থাকবে। যদি গেমার হোন তাহলে গ্রাফিক্স কার্ড কেনার সময় একটা ভালো পাওয়ার সাপ্লাই কিনবেন তা নাহলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যাবে।
যত্ন : কেসিং এর পেছনে নিচের দিকে যেখানে গ্রাফিক্সকার্ড লাগানোর স্লট থাকে তিন চারটা লম্বা-গোল ফাকা জায়গা থাকে যাতে বিভিন্ন কার্ড লাকানো যায়। যদিও সেখানে হল্কাভাবে একটা ইস্টিলের দরজা দেওয়া থাকে। ওটা খোলা থাকলে কিছু একটা দিয়ে ঢেকে দিন (যদি কারও বাসায় ইদুঁরের উপদ্রব থাকে)। তা নাহলে ওটা কোন প্রবলেম না। কেসিং খোলা-মেলা স্থানে রাখুন যাতে বাতাস সহজে যাতাযাত করতে পারে। অকারনে কেসিং এর ঢাকনা খোলা থেকে বিরত থাকুন। যদি খোলেন তাহলে লাগাবার আগে ভালো করে তারগুলো ফ্যান থেকে দুরে আছে কিনা দেখে লাগান। অনেক সময় সিপিইউ এর ভেতরে কাজ করার পর ছোট ছোট তার গুলো সরে গিয়ে ফ্যানের সাথে বেধেঁ যায়। তাই সাবধান ! এছাড়াও যত্নের সাথে ইউএসবি পোর্টে ঢোকানো-বার করার কাজ গুলো করুন।
সর্বপরি, একটা কথা যেটাও গুরুপ্তপূর্ন আর তা হল "আফটার সেল সার্ভিসিং ওয়ারেন্টি" পেতে চাইলে নির্দিষ্ট কোন দোকান থেকে সবগুলো প্রোডাক্ট কিনুন তাহলে আপনি ওদের দেওয়া ওয়ারেন্টি পাবেন, স্থানভেদে এই ওয়ারেন্টি ১ বছর, ২ বছর ও ৩ বছর দিয়ে থাকে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান। চেষ্টা করুন ৩ বছর ওয়ারেন্টি দেয় এমন জায়গা থেকে কিনতে।
এতক্ষনতো শুধু সি.পি.ইউ নিয়ে আলোচনা করলাম এবার এর বাইরের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছি।
মনিটর: বাজারে অনেক ভালো ভালো ব্রান্ডের মনিটর পাওয়া যাচ্ছে। যেমন SAMSUNG , ASUS , VIEWSONIC , AOC , BEN-Q , DELL ইত্যাদি । একটা থেকে আরেকটা কম্পেয়ার করা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন (এখানে আমি CRT মনিটর নিয়ে কোন কথা বলব না কেননা এটা অনেক জায়গা নষ্ট করে। তবে রাফ ইউজের জন্য ও দামের দিক থেকে এটা এখনও বাজার ধরে রাখতে পেরেছে ) । কেউ SAMSUNG বলবেন ,কেউ ASUS , কেউবা অন্য কিছু। কেউ আবার LCD , LED , SQUIRE , WIDE SCREEN ইত্যাদি। আসলে কিছু ব্রান্ড আছে যা বাজারে তুলনামূলক দাম কম এবং মানের দিক থেকেও সন্তুষ্টজনক। আপনি কি কাজে ইউজ করবেন সেটা বিবেচনা করে মনিটর সিলেক্ট করুন। নরমাল কাজের জন্য ১৯" ইন্চিকেই আমি প্রিফার করছি। এটা দিয়ে আপনি আরামসে দেখা-দেখির কাজ, গেম খেলা সহ অন্নন্য কাজ করতে পারবেন। তবে হাই-এন্ড গেম-গ্রফিক্স ইত্যাদির জন্য হয়ত এর চেয়ে বড় সাইজ আপনি বেছে নিতে পারেন এটা আপনার ব্যাপার। তবে বাজেটের দিক তাকালে ১৯" ইন্চিই বেটার। কেননা বাজারে ১৯" ইন্চি মনিটরের পরের সাইজের মনিটরের দাম গুলো সাধারন চক্রাকারে দাম বৃদ্ধির নিয়ম মানে নি। বরন্চ তা এক লাফ দিয়ে বেড়ে গিয়েছে। উদাহরণ বশতঃ ১৫" যদি ১৫ টাকা হয় ১৭" -- ১৭ টাকা। এভাবে ১৯" -- ১৯ টাকা কিন্তু সেই হিসাব অনুযায়ী ২২" এর দাম বাইশ টাকা না হয়ে ধরেন হয়েছে ৩০ টাকা। এজন্যই আমি ১৯" প্রেফার করেছি তানা হলে ২২ ইন্চিই নিতে বলতাম। যাহোক এর পর যে ব্যাপারটি লক্ষ রাখবেন তা হল LED ( Light-emitting diode ) প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে একই সাথে বেটার রেজুলেশন, বেটার পিকচার কোয়ালিটি, লোয়ার পাওয়ার ইউজ সহ ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায়। (ইচ্ছা করেই সংক্ষেপ করলাম)। বাজারে সম্ভবত কেবলের দিক থেকে দুই ধরনের মনিটর পাওয়া যায় DVI ( Digital Visual Interface ) কেবল সহ আর DVI কেবল ছাড়া। কেবল ছাড়াটার দাম কয়েকশো টাকা কম। তাই বলে আবার ওটা ছাড়াই কিনে নিয়ে আসবেন না। ওটা দিয়ে আপনি হাই ডেফিনেশন/হাই-এন্ড ভিডিও (Digital Video Interface) দেখার সুবিধা পাবেন। যা সাথে দেওয়া নরমাল VGA ক্যাবল এ পাবেন না। আরেকটা কথা, অনেককেই দেখি মনিটর ঢেকে রাখেন। যা ভালো নয় কারন মনিটরের ছিদ্রগুলো এতে বন্ধ হয়ে ভেতরকে গরম করে তোলে। যদি কয়েক দিন বন্ধ করে রাখেন তাহলে দিতে পারেন নচেৎ ঢেকে রাখা ভালো নয়। আর একান্তই যদি ঢেকে রাখার দরকার পড়ে তবে কম্পিউটার সাট-ডাউন করার কিছুক্ষন পরে ঢাকুন, সাথে সাথে নয়। মাঝে মাঝে হাল্কা ও পাতলা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরা দ্বারা মনিটরের স্কিৃন পরিষ্কার করুন তবে পানির বদলে গ্লাস ক্লিনার দ্বারা পরিষ্কার করুন। মনিটর টেবিলের এমন স্থানে রাখুন যাতে হাল্কা নড়াচড়ায় টেবিল থেকে পড়ে না যায়। কারন LCD মনিটরগুলো খুবই হাল্কা। কেমন যেনো ফুঁ-তেই পড়ে যাবে।
স্পিকার: কম্পিউটার ব্যাবহারের ক্ষেত্রে স্পিকার নির্বাচন ও একটি গুরুপ্তপূর্ন ব্যাপার। যারা সাউন্ডের কোয়ালিটির ক্ষেত্রে কোন রুপ ছাড় দিতে পছন্দ করেন না তাদের মধ্যে আমি একজন। যারা নরমালি বাসায় ব্যাবহাররের জন্য স্পিকার কিনবেন তাদের সাউন্ড সিষ্টেম হয়ত খুব হাইফাই দরকার নেই। আবার একেবারে লোয়ার কোয়ালিটি ও কিনবেন না। অন্তত ওয়েফারসহ(ব্যাস) দুই থেকে চার স্পিকার ওয়ালা স্পিকার কিনুন। অবশ্যই কেনার সময় ভালো করে শুনে কিনুন। ফুল ভলিয়মে চালিয়ে দেখুন, ফুল ভলিয়ম দেওয়াতে যদি শব্দে কোন খারাপ পরিবর্তন দেখেন বা ফাটাফাটা আওয়াজ দেয় তবে আরেকটু ভালো ব্রান্ডের কিনুন। অনেক স্পিকারের সাথেই বিল্টইন ভাবে সাউন্ড বাড়ানো-কমানোর অপশন থাকে ওটা না কিনে যেটাতে আলাদা সাউন্ড বাড়ানোর জন্য বাড়তি তার দেয়া থাকে সেটা কিনুন (উপরে ছবির মত)। কারন স্পিকার (ওয়েফার/বিটার) মনিটরের কাছে বা হাতের কাছে সেট করলে স্পিকারের চুম্বক অনেক সময় ইফেক্ট করে ফলে মনিটররের রং ও বদলে যায়। এছাড়াও অনেক সময় দুরে স্পিকার রেখে শুনলে ভালো শুনতে পারবেন আর বিট ও ভালো পাবেন। ভালো ও শক্ত বডি দেখে কিনুন যাতে আছাড়ঁ খেলেও আস্ত থাকে। আরেকটা খুবই গুরুপ্তপুর্ন ব্যাপার হচ্ছে এই যে, অনেকেই ভালো স্পিকার কিনে বাসায় নিয়ে যখন চালান তখন আর দোকানে যেভাবে শুনে খুশি মনে কিনে নিয়ে এসেছেন ওরকম সাউন্ড কোয়ালিটি পান না। এটা কোন সমস্যা নয়। সাউন্ড শুধু ভালো স্পিকারের উপর ডিপেন্ড করে না পাশাপাশি কিছু ভালো মানের অডিও সফ্টওয়্যারের ও আপনার পছন্দ মত সাউন্ড সেটিংসের উপরও ডিপেন্ড করে। এছাড়া যে ফাইলটি আপনি প্লে করেছেন তার মানের দিক ও দেখতে হবে। আবারও বলছি একটা স্পিকার অনেক অনেক দিন চলে তাই একবারই কিনুন কিন্তু ভালোটা কিনুন। যদি দেখেন স্পিকারের পিছনে তার ছিড়েঁ ঢোকানোর সিষ্টেম আছে তাহলে আরো ভালো। খেয়াল রাখবেন বাসায় যদি তেলাপোকা বা ইঁদুরের উপদ্রব থাকে তাহলে আপনার ওয়েফারের ছিদ্র ওদের টার্গেট হতে পারে। যার ফলে আপনার স্পিকারের তার বা ভিতরে নষ্ট হবার আশংকা থাকে। কারন ওরা আবার অন্ধকার পছন্দ করে। সো বি কেয়ারফুল।
মাউস: মাউস ব্যাবহারের ক্ষেত্রে, দেখতে সুন্দর স্টাইলিশটাকে প্রাধান্য না দিয়ে আপনি প্যাডলেস অপটিকাল মাউস কিনুন যা আপনি মাউস প্যাড ছাড়া যেখানে সেখানে ব্যাবহার করে সাচ্ছন্দ বোধ করবেন। এছাড়াও মাঝখানে ডবল ক্লিক করার অপশন সহ কিনুন। এটা অনেক সময় বাচায় আর এটার সর্টকার্ট ইন্টারনেট ও মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার ইউজ করার সময় অনেক দরকার পড়ে। A4tech মাউস গুলো আমার কাছে এক্ষেত্রে ভালো মনে হয়েছে এটা আছাড়ঁ খেয়ে ও কোন সমস্যা করেনি আমার ক্ষেত্রে। আর সাইজটাও পারফেক্ট, পুরো হাতে এটেঁ যায়। তবে অন্যন্ন গুলো যাচাইয়ের সুযোগ এখনও হয়নি। ওয়্যারলেস মাউস ও কিনে দেখতে পারেন। হার্ডকোর গেমারদের জন্য গেমিং মাউস। যার দাম একটু বেশী।
কি-বোর্ড: অবশ্যই নরমাল কি-বোর্ড নয়। ভালো মানের টাইপিং করা যায় এমন কিবোর্ড। যা দিয়ে টাইপ করলে আপনার প্রতিটি ক্লিকেই টাইপ হয়েছে এমন অনুভূতি পাবেন সেরকম কিনুন। অনেক কি-বোর্ডেই একেবারে কি-গুলো মেশানো থাকে ফলে একটা ক্লিক যে কার্যকর হয়েছে তা বোঝা যায়না আবার অনেক গুলো এমনই হার্ড যে একটু চেপে চেপে টাইপ না করলে এ্যালফাবেট মিস করে। যারা লেখালেখি খুব একটা করেন না কিন্তু মাল্টিমিডিয়ার কাজ বেশী করেন তারা ভালো মানের মাল্টিমিডিয়া কি-বোর্ড কিনুন। সস্তা গুলো এড়িয়ে চলুন। নারমাল গেমিং এর জন্য এসব কি-বোর্ডই যথেষ্ট তবে হার্ড গেমার যারা তারা গেমিং কি-বোর্ড কিনুন।
ইউ-পি-এস: বাংলাদেশের ইলেক্ট্রিসিটি জনিত প্রবলেমের মত অবস্থায় UPS বা (Uninterruptible power supply) কম্পিউটার যত্নের সাথে ব্যাবহরের জন্য একটি অতি গুরুপ্তপূর্ন পার্টস। আফ্সোস অনেকে এটাকে কম্পিউটারের একটা অংশই মনে করে না আর যারা মনে করে, তারা হয়ত টাকার ভয়ে না হয়, এই কথা ভেবে কেনেনা যে ইলেক্ট্রিসিটি গেলে কি হবে বড়জোর কোন আনসেভড ফাইল সেভ হবে না। ভাই আপনার জন্য সমবেদনা রইলো শুধু এই একটা কারনে না আরো অনেক কারনে। প্রিয় পাঠক এই একটা ক্ষেত্রে আমি আপনাদের বাজেট বাড়াতে অনুরোধ করবো। তবে কম্পিউটার যেদিন কিনবেন সে দিনই যে এটা কিনতে হবে এমনটা বলছি না। আপনি সময় করে টাকা জমিয়েও কিনতে পারেন। বাংলাদেশের ইলেক্ট্রিসিটি সারা বছর নিয়মিত করে পালাবদল করলেও বছরের এমন একটা সময় আসে যখন অনেক এলাকায়ই ঘন্টায় ঘন্টায় লোড সেডিং দেখা দেয়। তবে VIP এলাকার হালচাল আবার অন্যরকম। থাক সেদিকে আমরা না যাই। আমাদের দেশের উন্নয়নে উনাদের অবদান অনস্বীকার্য। তো যেকথা বলছিলাম,UPS এর অভাবে যে শুধু মাত্র কষ্ট করে তৈরি করা আনসেভড ফাইলই হারায় তা নয়। বরন্চ সেই সময় পিছিতে বিশেষ ইলেক্ট্রিক চাপ পড়ে। এতে আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কারন অনেক বাসায় ইলেক্ট্রিসিটি আপ-ডাউন করে যার প্রভাব সরাসরি হার্ডওয়্যারের উপর পড়ে। আপনারা যারা UPS ব্যাবহার করেন তারা জানেন যে এটাতে ফিউজ লাগানো থাকে ফলে অনাকাঙ্খিত পাওয়ার প্রবলেমের সময় ফিউজটি কেটে গিয়ে আপনার কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও বছরের সেই বিশেষ সময়ে, যখন আপনি সামান্য একটা দুমিনিট কাজের জন্য পুরো এক ঘন্টা ইলেক্ট্রিসিটির অপেক্ষায় কাটাবেন তখন বুঝবেন প্রয়োজনের সময় অপেক্ষা করাটা কতোটা বোরিং। যাক্ এ ব্যাপারেতো আর কম কথা হল না এর পরও যদি কেউ এটাকে এড়িয়ে যেতে চান তাহলে এটা তার একান্ত ডিসিশন আমারা এবার মূল কথায় ফিরি তাহল কিধরনের ইউপিএস আপনি আপনার বাজেটের মধ্যে কিনবেন !! নরমালি এক ব্যাটারির বা ৬০০VA বা কিছু প্লাস পাওয়ারের UPS কিনলেই নতুন অবস্থায় ২০-২৫ মিনিটের উপরে ব্যাকআপ পাবেন। কারন LED মনিটর বেশী পাওয়ার খরচ করে না যা আমি আগেই বলেছি। বাজারে অনেক ধরনের UPS দেখা যায়,ভালো মানের গুলো কিনুন তাতে যদি সামান্য দাম বাড়ে তাতে কি, আপনি নিশ্চিন্তে ব্যাবহার করবেন এটাই মূল বিষয়। অনেক UPS এ বিপ খুব সব্দ করে হয় যা খুবই বিরক্তকর। তাই হাল্কা সাউন্ডের বিপ ওয়ালা দেখে কিনুন। আমি শুনেছি এমন UPS আছে যেগুলো শুরুতে কিছুক্ষন বিপ দিয়ে আবার বিরতি নিয়ে চার্জ কমে এলে বিপ দেয় এতে বার বার বিরক্তিকর বিপ থেকে মুক্তি মেলে। কিন্তু এখনও কোথায় এমন UPS পাইনি। তাই সিওরলি জানিনা এটা কতখানি সত্যি!! । তো ৬০০ ভিএ বা এক ব্যটারির UPS গুলোই আমি প্রিফার করছি। কারও যদি এর চেয়ে বেশী ব্যাক-আপ দরকার হয় তাহলে তাকে বাজেট বাড়াতে হবে যা আমার পোষ্টের বাইরের বিষয়। কারন আমি এখানে মিড বাজেটের একটা ফুল পিসি নিয়ে আলোচনা করছি। ভালো ভাবে ব্যবহার করলে একটা ব্যাটারি (২-৩ বছর) অনেক দিন যায়। তাই একেবারে ব্যাকআপ ফুরিয়ে গিয়ে বারবার বিপ দেওয়ার আগেই আপনি আপনার পিসি বন্ধ করুন। আর ইলেক্ট্রিসিটি আসলে প্রথমে সামন্য সময় চার্জ নিতে দিন। তারপর অন করুন।
ক্যাবল: ক্যাবল নির্বাচন !! ? অনেকের কাছে এটা একটা নতুন বিষয় হতে পারে। আনেকেই হয়ত আমাকে বলবেন এটা আবার মাথা ব্যাথার মত কোন বিষয় নাকি। হয়ত আপনি ঠিক যে, এটা তেমন কোন গুরুপ্তপূর্ন ব্যাপার না কিন্তু আমি যেহেতু নিজে কম্পিউটার এর বিজনেস করি সেই অভিজ্ঞতা থেকে এছাড়াও পাশাপাশি আপনাদের ইউনিক কিছু লেখা/ট্রিকস (যা আগে এই ব্লগে আসেনি) দেওয়ার জন্য এই সামান্য বিষয়টিকেও ছাড়তে নাঁরাজ। তো, কি সেই ট্রিকস? মনে করে দেখুনতো আপনারা যারা প্রথম কম্পিউটার কেনেন তখন কতজন বাসার নরমাল মাল্টিপ্লাগ থাকা সত্বেও দামি গুলো কিন্তে বাধ্য হয়েছেন। আমার মনে হয় ৫০% ভাগের উপরে হবে এই সংখ্যাটা। কারন কি বলুন তো, কারন হলো আপনি যে কেবল পেয়েছেন তা তিন পিন বিশিষ্ট আর সাইজে খুব ছোট তার। কিন্তু বাসার নরমাল মাল্টিপ্লাগে তো আবার তিন পিনের পয়েন্ট একটা কি দুইটা আর তারও যে কম। ফলে দামি মাল্টিপ্লাগ কিনতে হয়েছিল আপনাকে। আপনারা আবার ভাববেন না যে আমি দামি মাল্টিপ্লাগের বিপক্ষে। বরং আমি নিজেও দামিটা কেনার পক্ষে কেননা তাতে প্রতিটা পয়েন্টে আলাদা আলাদা পাওয়ার সুইচ থাকে যা অনেক উপকারী এবং ইলেকট্রিক বিল কমানোর জন্য বিশেষ কার্যকরি। "বলেন কি ভাই {ইলেকট্রিক বিল কমানোর জন্য বিশেষ কার্যকরি}"? জ্বি হ্যা ! ব্যাপারটা কেউ না বুঝলে কমেন্ট করবেন তাহলে এক্সট্রাভাবে বিস্তারিত বলা যাবে । এবার আসি মূল পয়েন্টে, বাজারে কেসিং এর সাথে যে কেবল আসে তা মোটামুটি মানের তবে তাতেও কাজ চলে। কিন্তু একটু ভালো মানের দুই পিন বিশিষ্ট তিন মিটারের পাওয়ার কেবল কিনলে দুর থেকেও আপনি লাইন কানেক্ট করতে পারবেন। যা অনেক সময় ছোট ক্যাবলে হয় না। আর ছোট কেবল আমার বেক্তিগত ভাবে অপছন্দ কেননা তা একই সাথে পাতলা ও অনিরাপদ। তবে আগেই বলেছি কাজ চলে। দুই পিন হওয়াতে যে কোন প্লাগে ইউজ করতে পারবেন। অনেকেই হয়ই এতদিন জানতেন তিন পিনে তিনদিকে ইলেক্ট্রিক কানেকশন থকে যা ঠিক নয়। আসলে ওটা দেওয়া হয় যাতে তারটি ভালো ভাবে পাওয়ার পয়েন্টে লেগে থাকে আর নড়াচড়া করলে অনেক সময় লাইন পায়না সেজন্য।
আগামী পর্বে ইন্শাআল্লাহ প্রিন্টার, গ্রাফিক্স কার্ড, পেন-ড্রাইভ সহ বিভিন্ন ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস যা নরমালি কম্পিউটারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয় সেসব নিয়ে আলোচনা করবো অথবা কম্পিউটারের সুরক্ষার জন্য অত্যান্ত কার্যকরি সফ্টওয়্যার নিয়ে আলোচনা করব। লেখা আর দীর্ঘায়িত করব না। সবাইকে ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ....আপনারা সবাই ভালো থাকুন এবং আমার জন্য দোয়া করুন। শীঘ্রই সবাইকে আবারও আমার পরবর্তী লেখা পড়ার আমন্তন জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
কম্পিউটার এর যেকোন বিষয়ে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট সেকসনে তা বিস্তারিত উল্লেখ করুন........যেহেতু আমি নিজেও কম্পিউটার ব্যাবসা করছি এবং পাশাপাশি অন্যান্ন ব্যাবসার সাথে জড়িত সেহেতু অনেক সময় হয়ত কমেন্টের উত্তর দিতে দেরী হতে পারে কিন্তু সবার উত্তরই ইনশাআল্লাহ দিব। ওহ্ আরেকটা কথা, আমি যতটা না হার্ডওয়্যার বুঝি তার চেয়েও হয়ত বেশী সফ্টওয়্যার, ইন্টারনেট বুঝি অর্থাৎ এর উপর টুকিটাকি পড়াশোনা করেছি। সো যদি কোন প্রবলেম ফেস করেন এবং সমস্যার সমাধানে চেষ্টা চালিয়েও ব্যার্থ হন সেক্ষেত্রে আমাকে আমার মেইলে একবার নক্ করে দেখতে পারেন। আশা করি আপনাকে একটা না একটা সমাধানের পথ বের করে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ । আমার e-mail : [email protected]
আগ্রহী থাকলে ৩ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ এই কনফিগারেশনের কম্পিউটার সহ কম্পিউটারের বিভিন্ন পন্য কিনতে যোগাযোগ করতে পারেন।
এছাড়াও Facebook-এ Page of Everything. গুরুপ্তপূর্ন তথ্য ও জ্ঞান সমৃদ্ধ পেজ নামে জানা-অজানা বিভিন্ন বিষয়, বিনোদন, কম্পিউটার ট্রিকস, বিভিন্ন ব্লগ সাইট থেকে বাছাই করা লেখা, খেলাধুলা, বিভিন্ন রকম বিষয় নিয়ে সাজানো আমি একটা পেজ চালাচ্ছি। পেজটি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গুরুপ্তপূর্ন তথ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে আপনাদের সামনে। প্রয়োজনে বা অবসরে পেজটি দেখে আসতে পারেন।
বি:দ্র (বিশেষ দ্রষ্টব্য).....
প্রিয় পাঠক, আমি চেষ্টা করি আমার পোষ্ট বা লেখালিখি ইউনিক আইডিয়া ও আনকমন বিষয় নিয়ে লেখার জন্য যা নিতান্তই সাধারন থেকে এক্সপার্ট টেকনোলজি প্রিয় পাঠকদের জন্য। তবে এটা ঠিক টেকনিক্যালি আমার পোষ্টে বিজ্ঞাপনের কিছুটা ছাপ রয়েছে। তবে আপনারা যদি এভাবে কমেন্ট সেকশনে কোনটা কত দাম বা আমি কত রাখতে পারবো এমন কমেন্ট করেন, তাহলে ব্যাপারটা এমন দেখা যায় যে আমি টিউনের মাধ্যমে মনে হয় বেচা-বিক্রির দোকান খুলে নিয়েছি। যা আমার কাছে বিরক্তিকর এবং আমার পোষ্টের গ্রহনযোগ্যতারও পরিপন্থি।দয়া করে আমাকে ভুল বুঝবেন না, আমার লেখার বা টিউনের গ্রহনযোগ্যতা ধরে রাখতেই আমি এটা বলছি।
আপনাদের মধ্যে যারা আমার ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে চান তাদের জন্য কিন্তু টিউনের শেষে আমার মেইল ও ফেসবুক পেজ দিয়েছি যেখানে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার কোন আপত্তি নাই। আবারও ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি AfiA Multifarious Biz। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 61 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কম্পিউটার, ইন্টারনেট সার্ফিং, ব্লগিং এর প্রতি বিশেষ এক আকর্ষন বোধ করি। কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ব্যাবসার পাশাপাশি ব্লগিং এর এই প্লাটফর্মে নিজের ভেতরকার জ্ঞানের দ্বারা আপনাদের যদি সামান্য উপকারে আসি তবে সেটুকুই আমার প্রাপ্তি। আপনাদের নিকট দোয়া কামনা করছি।
Graphics Card?
আর ভাইয়া অনেস্টলি বলতে গেলে কোর আই থ্রির পারফমেন্স আমার কাছে Dual Core এর মতই মনে হয়। পার্থক্য শুধু Integrated GPU। 🙂