আমরা অনেকেই হয়তো একটার পর একটা এন্টি ভাইরাস ইন্সটল করে বিরক্ত অথবা বারবার XP সেটআপ দিয়ে ক্লান্ত। কেননা কদিনের মধ্যে ঠিকই পেনড্রাইভ দিয়ে ভাইরাস ঢুকে পড়ে। এজন্য আজ কয়েকটা সহজ কিন্তু কাযর্কর সমাধান দিই।
আগে আমরা দেখি ভাইরাস ছড়ায় কেমন করে। ভাইরাস আক্রান্ত পিসিতে পেনড্রাইভ লাগালে ভাইরাসটি পেনড্রাইভে তার একটা কপি তৈরি করে। আর একটা autorun.inf ফাইল তৈরি করে দেয়। এই আক্রান্ত পেনড্রাইভটি অন্য পিসিতে লাগানোর পর এর সাথে জড়িত যেকোন “Event” ঘটলে (যেমন open বা explore করলে) autorun.inf ফাইলটি সক্রিয় হয়ে ভাইরাসটিকে Execute করে দেয়। তার মানে কোনভাবে এই autorun.inf ফাইলকে তৈরি হতে দেয়া না হলে, ভাইরাস পেনড্রাইভে থাকলেও Execute করবে না।
এখন সমাধান হল আগে থেকে আপনি আপনার পেনড্রাইভে একটা autorun.inf নামে “ফোল্ডার” (ফাইল নয়) তৈরি করে রাখুন। তাহলেই তাকে রিপ্লেস করে আক্রান্ত পিসির ভাইরাসটি নিজস্ব autorun.inf ফাইল তৈরি করতে পারবে না। কারণ, বেশিরভাগ ভাইরাস নির্মাতারা এই বিদঘুটে সমভাবনাটা এড়িয়েই যান।
২. সবসময় সিস্টেম ফাইল Show করুন
ভাইরাসের এক্সিকিউটেবল (*.exe) ফাইলগুলোর Attibute হয় সাধারনত Hidden এবং System File যা সাধারনত Show করা থাকে না। তাই আপনি বুঝতেও পারেননা আপনার পেনড্রাইভে ভাইরাস আছে কিনা। এধরনের ফাইল চিহ্নিত করতে Tools মেনু থেকে Folder Options এ গিয়ে View ট্যাব থেকে Show Hidden Files and Folders রেডিও বাটন সিলেক্ট করুন। এবার ঠিক তার নিচের Hide Extensions for known File Types এবং Hide Protected Operating System Files লেখা দুটি চেকবক্স আনচেক করে Apply দিয়ে Ok করে বেরিয়ে আসুন।
এবারে পেনড্রাইভে সন্দেহজনক কোন Hidden এক্সিকিউটেবল (*.exe) ফাইল দেখলে ডিলিট করে দিন।
ভাইরাস আক্রান্ত বা সন্দেহজনক পেনড্রাইভ কখনোই ডাবলক্লিক করে অথবা রাইট বাটনে ক্লিক দিয়ে (Open বা Explore করে) খুলবেন না। Address Bar থেকে Drive Letter (যেমনঃ D:\ বা I:\) টাইপ করে খুলবেন। এতে ভাইরাস থাকলেও তা আপনার পিসিকে আক্রান্ত করার সুযোগ পাবে না।
একইভাবে হার্ডডিস্কের অন্যান্য পার্টিশনে ভাইরাস থাকলে তা ডিলিট করুন এবং পিসি রিস্টার্ট দিন।
আপনার পিসি Boot করার পর যেসব প্রোগ্রাম লোড করে তা থাকে স্টার্টআপে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো ছাড়া অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর চেকবক্স আনচেক করে দিন। এটি আপনি পাবেন উইন্ডোজের Run থেকে msconfig লিখে এন্টার দিলে যে ডায়ালগ বক্স আসবে তার Startup ট্যাব থেকে। এবারে পিসি রিস্টার্ট দিন।
অনেকসময় ভাইরাস ফাইল চিহ্নিত করার পরেও তা ডিলিট করতে গেলে এরর দেয় বা “Access is Denied” দেখায়। এরকম হলে বুঝতে হবে ভাইরাস Process টি বর্তমানে Running অবস্থায় আছে যা আগে বন্ধ করতে হবে। আপনি Ctrl+Alt+Delete চেপে Task Manager থেকে প্রসেসটি বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন প্রসেসটি থাকে Hidden যা Task Manager এ Show করে না। এক্ষেত্রে আপনি HijackThis নামের সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন যা বেশ ভাল একটি Spyware Remover।
টি আপনি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। HijackThis স্টার্ট করে Scan করে তৈরি করা লগ ফাইলটি http://www.hijackthis.de/ এই সার্ভিসের মাধ্যমে সাবমিট করে কোন প্রোগ্রামের প্রসেস কিরকম বা রেটিং জেনে আপনি অনায়াসে Hidden Process গুলো দূর করতে পারবেন।
পেন ড্রাইভের মাধমে যে ভাইরাস গুলো ধরে সেগুলো সাধারণ কিছু সমস্যা সৃষ্টি করে এই যেমন Disk Access নষ্ট করা, Folder Option Access নষ্ট করা ইত্যদি। ডিস্ক হিল ব্যবহার করে খুব সহজেই এইসব সমস্যার সমাধান করা যায়। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন টিউনার মেহদির এই টিউনটিতে।
তাহলে শুরু করে দিন আপনার নিজে নিজে ভাইরাস নিধন অভিযান। আর কোন সমস্যায় পরলে আমি তো আছিই. 😉
আমি জীয়নতরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এপার ভেঙ্গে ওপার গড়ে জীবন নদীর বাঁকে, জীয়ন তরী বাইছি শুধু ভাঙ্গা গড়ার ফাঁকে।
এন্টিভাইরাস পিসিকে স্লো করবেই। কারণ বেশ পরিমাণ মেমরি নিয়ে তাকে কাজ করতে হয়.. এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আসলেই খুব স্মুথ ভাবে কাজ করা যায়। যদিও আরও কিছু টেকনিকিউ আছে ম্যানুয়ালি ভাইরাসের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়ার .. আপনাকে ধন্যবাদ দরকারি এই টিউনটির জন্য।
আমি শিকার করছি যে, এই পদ্ধতিতে পিসি স্মুথ চলে। কিন্তু এত্তো নিয়ম-কানুন পালন করতে গেলে আমার নিজের কাজ করব কখন?
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার কাছে কিছূ প্রশ্ন।
1. ভিবি 6 দ্বারা কি প্রসেস ক্রিয়েট করা যায়? কিভাবে? আমার প্রাথমিক ধারণা আছে। শর্টকার্টে বললেই হবে।
2. প্রসেসগুলো মূলত কি? ভিজুয়াল ভিত্তিক প্রোগ্রামের সাথে এদের বেসিক পার্থক্য কোথায়?
3. বেসিক দ্বারা ইউনিকোড বাংলা রাইটার(আমি নিজেই যেটাতে বাংলা লিখতে পারবো) বানানোর কোন ওয়েবের কোন লিঙ্ক আছে?
4. স্টার্টআপের যে প্রোগ্রামগুলো থাকে সেগুলো থাকে স্টার্টআপে, এমএসকনফিগারেশন মেনুতে। এছাড়া আর কোন পদ্ধতি আছে যেটার মাধ্যমে প্রতিবার ভাইরাস স্টার্ট আপের সময় চালু হতে পারে?
5. সার্ভিসগুলো মূলত কি? এগুলোর স্টার্টআপ লিস্ট কি রেজেডিটে থাকে? একটি ভাইরাস যদি সার্ভিসে নিজেকে যুক্ত করে নিয়ে প্রতিবার চালু হতে পারে কি?
এত ঝামেলা করার কি দরকার? আরও সহজ সমাধান আছে। ভাবছি এই ব্যাপারে 2/1 দিনের মধ্যেই একটা টিউন করবো। আশা করি সবার কাজে লাগবে।
ami akta motherboard checker kinechi (pci,iso slot) kintu motherboard checker er code gulo shob amar antena-r upor diye jachche, kichui bujtesina, karon divicetar shathe kono menual nei. google a search dio kichui pachchi na, keu ki bolte parben menual ta ami kivabe pete pari ? Please ….
othoba karo jodi motherboard checker er code golu jana thake tahole please amake janan
আমি আজকে প্রথম এই সাইটে signin করলাম।
আমার প্রশ্ন হল ——আমি যে বাংলা software (ফোনেটিক) দিয়ে লিখছি সেটির কোন সফটওয়্যার আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে আমাকে link পাঠাবেন।